1. আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোন এক যুদ্ধে জনৈক মহিলাকে নিহত অবস্থায় পাওয়া যায়। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহিলা ও শিশুদের হত্যা করতে নিষেধ করেন। 2. মানত করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, “তা কোন রকম কল্যাণ বয়ে আনে না। তবে এর মাধ্যমে কৃপণ লোকের থেকে কিছু বের করা হয়”। 3. আল্লাহর শপথ! -ইনশাআল্লাহ্- আমি যখন কোন ব্যাপারে শপথ করি আর তার উল্টোটির মাঝে কল্যাণ দেখতে পাই তখন কসমের কাফ্ফারা আদায় করি। আর যেটি কল্যাণকর সেটিই করি”। - 2 ملاحظة 4. “যে লোক দুনিয়ায় রেশমী কাপড় পরবে, আখিরাতে সে তা পরতে পারবে না”। 5. “সবচেয়ে মহান জিহাদ হচ্ছে জালিম শাসকের সামনে ন্যায্য কথা বলা”। 6. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন রাতে (সালাতের জন্য) উঠতেন তখন মিসওয়াক দিয়ে মুখ কচলিয়ে পরিষ্কার করতেন। 7. আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের পর সূর্য উজ্জ্বল হয়ে না উঠা পর্যন্ত এবং ‘আসরের পর সূর্য অস্তমিত না হওয়া পর্যন্ত সালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন। - 1 ملاحظة 8. এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল, কিয়ামত কখন হবে? তিনি বললেন, “তুমি তার জন্য কী জোগাড় করেছ?” 9. “মানুষ তার বন্ধুর দ্বীনের উপর হয়। অতএব তোমাদের প্রত্যেককে দেখা উচিত কাকে বন্ধু বানাবে”। 10. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে দু’আ অধিক পাঠ করতেনঃ«يَا مُقَلِّبَ القُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِينِكَ» “হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী! আমার অন্তরকে তোমার দীনের উপর প্রতিষ্ঠিত (দৃঢ়) রাখো। - 2 ملاحظة 11. “যখন তোমাদের কারো পাত্রে কুকুর পান করে, সে তা সাতবার ধুয়ে নিবে” 12. “লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ"। (আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন মাবূদ নেই) আরবের লোকেদের জন্য সেই অনিষ্টের কারণে ধ্বংস অনিবার্য যা নিকটবর্তী হয়েছে। আজ ইয়াজুজ ও মাজুজের প্রাচীর এ পরিমাণ খুলে গেছে”। 13. ‘আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্দরমহলে থাকা কুমারীর চেয়ে বেশি লজ্জাশীল ছিলেন। যখন তিনি কোন জিনিস অপছন্দ করতেন আমরা তাঁর চেহারায় তা বুঝতে পারতাম। 14. “যে ব্যক্তি সত্যি কারে আল্লাহর নিকট শাহাদাত প্রার্থনা করে আল্লাহ তা’আলা তাকে শহীদের মর্যাদায় অভিষিক্ত করবেন যদিও সে আপন শয্যায় ইন্তিকাল করে”। 15. বিপদাপদ মু’মিন পুরুষ ও নারীর নিজের জান, সন্তান-সন্ততি ও সম্পদে লেগেই থাকে, যতক্ষণা সে তার ওপর পাপ না থাকাবস্থায় আল্লাহর সাক্ষাত করেন। 16. “আল্লাহ তা’আলা শেষ রাতে তার বান্দার সবচেয়ে নিকটবর্তী হন। 17. “কিয়ামতের দিন এক ব্যক্তিকে আনা হবে। অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। তখন তার পেটের নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যাবে। এ সময় সে ঘুরতে থাকবে যেমন গাধা চাকির চারপাশে ঘুরতে থাকে 18. “এ একটি পাথর যা সত্তর বছর আগে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। তারপর তা কেবল নিম্নে পতিত হতে হতে এখন সেটা তার তলদেশে গিয়ে পৌঁছেছে”। 19. “যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে জিহাদকারীর আসবাবপত্র সরবরাহ করল সে যেন জিহাদ করল। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে কোন জিহাদকারীর পরিবার-পরিজনকে উত্তমরূপে দেখাশোনা করল, সেও যেন জিহাদ করল”। 20. মানুষ বাচ-বিচার না করে এমন কথাবার্তা বলে ফেলে, যার ফলে সে জাহান্নামের ভেতর পূর্ব-পশ্চিমের মধ্যবর্তী দূরত্ব থেকেও বেশি দূরত্বে গিয়ে পতিত হয়। 21. “আমার পূর্বে আল্লাহ তা’আলা যে নবীকেই কোন উম্মতের মধ্যে পাঠিয়েছেন, তাদের মধ্যে তার জন্য একদল অনুসারী ও সাহাবা ছিল। তারা তার সুন্নাতকে সমুন্নত রাখত এবং তার নির্দেশের অনুসরণ করত 22. “আমাকে এমন পাঁচটি বিষয় দান করা হয়েছে, যা আমার পূর্বে কাউকে দেওয়া হয়নি 23. আমি তোমাকে ওয়াসিয়াত করছি, তুমি প্রত্যেক সালাতের পর এ দু’আটি কখনো পরিহার করবে নাঃ اللَّهُمَّ أَعِنِّي عَلَى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ “আল্লাহুম্মা আঈন্নী ’আলা যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ’ইবাদাতিকা” (অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনার স্মরণে, আপনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশে এবং আপনার উত্তম ’ইবাদাতে আমাকে সাহায্য করুন)”। 24. “আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, সওম ব্যতীত আদম সন্তানের প্রতিটি কাজই তার নিজের জন্য, কিন্তু সিয়াম আমার জন্য। তাই আমি এর প্রতিদান দেব - 10 ملاحظة 25. “তোমাদের কেউ যখন তার ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে, তখন সে যেন তাকে সালাম দেয়। অতঃপর দু’জনের মাঝে যদি গাছ, দেয়াল বা পাথর আড়াল হয়ে যায় এবং তারপর আবার সাক্ষাৎ হয়, তাহলেও যেন তাকে সালাম দেয়”। 26. “যখন তোমাদের কেউ নিদ্রা যায় তখন তার গ্রীবাদেশে শয়তান তিনটি করে গাঁট বেঁধে দেয়; প্রত্যেক গাঁটে সে এই বলে মন্ত্র পড়ে যে, ‘তোমার সামনে রয়েছে দীর্ঘ রাত, অতএব তুমি ঘুমাও 27. দুটি চোখ জাহান্নাম স্পর্শ করবে না, যে চোখ আল্লাহর ভয়ে কাঁদে আর যে চোখ আল্লাহর পথে পাহারায় বিনিদ্র রাত যাপন করে। 28. “মিরাজের রাতের সফরে ইবরাহীম ‘আলাইহিস সালামের সঙ্গে আমার সাক্ষাত হয়। তখন তিনি বললেন, হে মুহাম্মদ! আপনার উম্মতকে আমার পক্ষ থেকে সালাম জানাবেন এবং তাদের জানিয়ে দিবেন যে জান্নাতের মাটি উত্তম আর এর পানি সুমিষ্ট - 2 ملاحظة 29. “তুমি তো আমাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রশ্ন করেছো। তবে সেই ব্যক্তির জন্য এ ব্যাপারটা অতি সহজ যে ব্যক্তির জন্য আল্লাহ তা’আলা তা সহজ করে দেন 30. “হে লোক সকল, আল্লাহ তা’আলা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ তা’আলা তার প্রেরিত রাসূলদের যে হুকুম দিয়েছেন মুমিনদেরকেও সে হুকুম দিয়েছেন - 2 ملاحظة 31. আমার বন্ধু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে তিনটি বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন: প্রতি মাসে তিন দিন করে সওম পালন করা এবং দু‘রাক‘আত সালাতুয-যুহা এবং ঘুমানোর পূর্বে বিতর সালাত আদায় করা। 32. “যখন তোমরা তা দেখবে তখন সিয়াম রাখবে, আবার যখন তা দেখবে তখন সিয়াম ছাড়বে। আর যদি আকাশ মেঘলা থাকে তবে সময় হিসাব করে (ত্রিশ দিন) পূর্ণ করবে”। 33. “পূর্বেকার নবুওয়াতের বাণীসমূহ থেকে লোকেরা যা লাভ করেছে তন্মধ্যে একটি হচ্ছে: যখন তুমি লজ্জা করবে না তখন যা ইচ্ছা তাই কর।” 34. “যে বিষয়ে তোমার সন্দেহ হয়, তা ছেড়ে দিয়ে যাতে সন্দেহের সম্ভাবনা নেই তা গ্রহণ কর। যেহেতু, সত্য হলো শান্তি ও স্বস্তি এবং মিথ্যা হলো দ্বিধা-সন্দেহ”। 35. “তুমি দুনিয়াতে থাক যেন তুমি একজন প্রবাসী অথবা পথচারী” - 2 ملاحظة 36. “সর্বদা তোমার জিহ্বা যেন আল্লাহ তা’আলার যিকরের দ্বারা সিক্ত থাকে”। 37. না, তুমি তাকে হত্যা করবে না। কেননা, তুমি তাকে হত্যা করলে হত্যা করার পূর্বে তোমার যে মর্যাদা ছিল সে সেই মর্যাদা লাভ করবে, আর ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দেয়ার আগে তার যে স্তর ছিল তুমি সেই স্তরে পৌঁছে যাবে”। 38. “যে ব্যক্তি রসুন বা পিঁয়াজ খায় সে যেন আমাদের হতে দূরে থাকে অথবা বলেছেন, সে যেন আমাদের মাসজিদ হতে দূরে থাকে আর নিজ ঘরে বসে থাকে” 39. “নিশ্চয়ই আমি ঐ লোকের হাতে পতাকা তুলে দিবো, যে লোক আল্লাহ ও তার রসূলকে ভালবাসে। তার হাতেই আল্লাহ তা’আলা বিজয় দেবেন” 40. “তোমরা শুনবে এবং মানবে। কেননা তাদের উপর আরোপিত দায়িত্বের বোঝা তাদের উপর বর্তাবে আর তোমাদের উপর আরোপিত দায়িত্বের বোঝা তোমাদের উপর বর্তাবে”। 41. “মুসলিমকে গালি দেওয়া ফাসেকী এবং তার সাথে লড়াই করা কুফুরী।” 42. “তোমরা ইহুদী ও খৃস্টানদের শুরুতে সালাম দিবে না, যখন তোমরা তাদের কারো সাথে সাক্ষাত করবে তাকে সংকীর্ণ রাস্তায় বাধ্য করবে”। 43. “যারা (মৃত ব্যক্তির জন্য শোক প্রকাশে) গন্ডে চপেটাঘাত করে, জামার বক্ষ ছিন্ন করে এবং জাহিলী যুগের মত চিৎকার দেয়, তারা আমাদের দলভুক্ত নয়”। 44. “তোমাদের মধ্যে যে জুমু‘আয় উপস্থিত হয় সে যেন গোসল করে”। 45. প্রকৃত কৃপণ সেই ব্যক্তি, যার কাছে আমি উল্লিখিত হলাম [আমার নাম উচ্চারিত হল], অথচ সে আমার প্রতি দরূদ পাঠ করল না”। - 2 ملاحظة 46. যে ব্যক্তি সকাল অথবা সন্ধ্যায় মসজিদে গমন করে, আল্লাহ তার জন্য আপ্যায়ন সামগ্রী জান্নাতে প্রস্তুত করেন। সে যতবার সকাল অথবা সন্ধ্যায় গমনাগমন করে, (আল্লাহও তার জন্য ততবার আতিথেয়তার সামগ্রী প্রস্তুত করেন।) 47. “আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী দোয়া প্রত্যাখ্যান করা হয় না”। - 2 ملاحظة 48. “হে আল্লাহ! আপনি আমার দীনকে শুধরে দিন যা আমার সকল কর্মের হিফাযতকারী - 2 ملاحظة 49. “হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমা করে দিন আমার অনিচ্ছাকৃত গুনাহ, আমার অজ্ঞতা, আমার কাজের সকল বাড়াবাড়ি এবং আমার যেসব গুনাহ আপনি আমার চেয়ে অধিক জানেন। হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমা করে দিন আমার ভুল-ত্রুটি, আমার ইচ্ছাকৃত গুনাহ ও আমার অজ্ঞতা এবং আমার উপহাসমূলক গুনাহ আর এ রকম গুনাহ যা আমার মধ্যে আছে। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন যেসব গুনাহ আমি আগে করেছি ও পরে করেছি এবং যা আমি গোপন করেছি ও প্রকাশ্যে করেছি। আপনিই অগ্রবর্তী করেন, আপনিই পশ্চাদবর্তী করেন এবং আপনিই সব বিষয়োপরি সর্বশক্তিমান”। 50. ’’হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট দুনিয়া ও আখিরাতে নিরাপত্তা চাই - 2 ملاحظة 51. “হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আমার জানা-অজানা ইহকাল ও পরকালের যাবতীয় কল্যাণ প্রার্থনা করি। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আমার জানা-অজানা ইহকাল ও পরকালের যাবতীয় অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি 52. হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই নি’আমাত দূর হয়ে যাওয়া হতে, তোমার দেয়া সুস্থতা পরিবর্তন হয়ে যাওয়া থেকে, তোমার অকস্মাৎ শাস্তি আসা হতে এবং তোমার সকল প্রকার অসন্তুষ্টি থেকে"। 53. হে আল্লাহ, আমি ঋণের বোঝা, শত্রুর জয়ী হওয়া এবং শত্রুদের উল্লাস থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি। 54. “হে আল্লাহ! আপনার অনুগ্রহে আমরা ভোরে উপনীত হই, সন্ধ্যায় উপনীত হই এবং বাঁচি ও মরি। আর আপনার দিকেই আমাদের প্রত্যাবর্তন” 55. “তোমরা স্ত্রীলোকদের কাছে প্রবেশ করা থেকে দূরে থাক”। এক আনসারী সাহাবী জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল! দেবর সম্পর্কে আপনার অভিমত কী? তিনি বললেন, “দেবর তো মৃত্যু সমতুল্য”। - 4 ملاحظة 56. “স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণ নগদ নগদ বিক্রি না হলে সুদ হবে, গমের বিনিময়ে গম নগদ নগদ এবং হাতে হাতে বিক্রি না হলে সুদ হবে, যবের বিনিময়ে যব নগদ নগদ না হলে সুদ হবে এবং খেজুরের বিনিময়ে খেজুর নগদ বিক্রি না হলে তাও সুদে পরিণত হবে”। 57. “বল اللَّهُمَّ اهْدِنِي وَسَدِّدْنِي (হে আল্লাহ! আপনি আমাকে সঠিক পথপ্রদর্শন করুন, আমাকে সোজা পথে পরিচালিত করুন)।” তিনি আমাকে আরও বলেছেন, “আপনার হিদায়াতকে সঠিক পথের মাধ্যমে এবং তীর সোজা করাকে সরলতার মাধ্যমে স্মরণ করুন। 58. “তোমার শরীরের যে অংশ ব্যথাযুক্ত হয়, তার উপরে তোমার হাত রেখে তিনবার ’বিসমিল্লা-হ’ বলবে এবং সাতবার বলবে-أَعُوذُ بِاللَّهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ وَأُحَاذِرُ "আল্লাহ এবং তার ক্ষমতার আশ্রয় প্রার্থনা করছি- যা আমি অনুভব করি এবং যা ধারণা করি তার অনিষ্ট হতে। 59. “যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় তিনবার বলবেঃ سْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ ’আল্লাহর নামে যাঁর নামের বরকতে আসমান ও যমীনের কোনো বস্তুই ক্ষতি করতে পারে না, তিনি সর্বশ্রোতা ও মহাজ্ঞানী।’’ সকাল হওয়া পর্যন্ত তার প্রতি কোনো হঠাৎ বিপদ আসবে না 60. “এমন কোন ব্যক্তি জাহান্নামে যাবে না, যে সূর্যোদয়ের পূর্বে এবং সূর্যাস্তের পূর্বে সালাত অর্থাৎ— ফাজর ও আসরের সালাত আদায় করে”। 61. “কোন মুসলিম আমার উপর সালাম দিলে আল্লাহ তা‘আলা আমার নিকট আমার রূহটি ফেরত দেন যাতে আমি তার সালামের উত্তর দিতে পারি”। 62. “মানুষের মাঝে দুটি স্বভাব রয়েছে, যে দুটি তাদের ভেতর কুফর বলে গণ্য: বংশের বদনাম করা এবং মৃতের জন্য বিলাপ করা”। 63. “সোনা-রূপার অধিকারী যেসব লোক এ হক (যাকাত) আদায় করে না, কিয়ামতের দিন তার ঐ সোনা-রূপা দিয়ে তার জন্য আগুনের অনেক পাত তৈরি করা হবে - 4 ملاحظة 64. বান্দা যখন কাউকে অভিশাপ করে তখন অভিশাপটি আকাশের দিকে অগ্রসর হয়। অতঃপর তার জন্য তার দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। অতঃপর যমীনের দিকে নেমে আসে। তখন তার জন্য দুনিয়ার দরজাসমূহও বন্ধ করে দেওয়া হয়। যখন সে কোথাও সুযোগ না পায় তখন যাকে অভিশাপ করা হয়েছে তার নিকট ফিরে আসে। সে যদি অভিশাপের যোগ্য হয়, তার ওপর পতিত হয়। অন্যথায় অভিশাপকারীর ওপরই পতিত হয়। 65. “কোন আহবানকারী জান্নাতী লোকেদেরকে আহ্বান করে বলবে, এখানে সর্বদা তোমরা সুস্থ থাকবে, কখনো অসুস্থ হবে না। তোমরা স্থায়ী জীবন লাভ করবে, কখনো তোমরা মরবে না। তোমরা যুবক থাকবে, কখনো তোমরা বৃদ্ধ হবে না। তোমরা সর্বদা সুখস্বাচ্ছন্দ্যে থাকবে, কখনো আর তোমরা কষ্ট-ক্লেশে পতিত হবে না 66. “জান্নাতীগণ যখন জান্নাতে প্রবেশ করবে তখন আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে বলবেন, তোমরা কি চাও, আমি আরো অনুগ্রহ বাড়িয়ে দেই? 67. “সমুদ্রের পানি পবিত্র এবং তার মৃত প্রাণী (খাওয়া) হালাল”। 68. “পানি যখন দুই ‘কুল্লা’ হবে তখন তা নাপাক হবে না”। 69. “যখন তোমাদের কেউ তার ঘুম থেকে জাগ্রত হয় সে যেন তিনবার নাকে পানি দেয়। কারণ শয়তান তার নাসারন্ধ্রে রাত যাপন করে”। 70. “যখন তোমাদের কেউ অযু করে তার দু’টি মোজা পরিধান করে সে যেন তাতে সালাত আদায় ও তার ওপর মাসেহ করে তারপর তা জানাবত ছাড়া খুলবে না”। 71. সেটি তো তার এক টুকরো গোশত বৈ কিছু নয়। 72. “একজন অপর জনকে ফাসিক বলে যেন গালি না দেয় এবং একজন অন্যজনকে কাফির বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের উপরই আপতিত হবে”। 73. “আরব ভূখণ্ডে মুসল্লীগণ শাইতানের (শয়তানের) উপাসনা করবে, এ বিষয়ে শাইতান (শয়তান) নিরাশ হয়ে পড়েছে। তবে তাদের একজনকে অন্যের বিরুদ্ধে উসকিয়ে দেয়ার ব্যাপারে নিরাশ হয়নি”। 74. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কু-লক্ষণ নিতেন না। - 3 ملاحظة 75. তোমরা মুনাফিকদের সাইয়েদ বলবে না। কেননা তোমরা যদি তাদের সাইয়্যেদ বলো তবে তোমরা তোমাদের মহান রবকে অসন্তুষ্ট করবে। 76. “যে ব্যক্তি আমানতের ওপর কসম খাবে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়”। 77. “হে নারী সমাজ! তোমার সদাক্বাহ করতে থাক। কারণ আমি দেখেছি জাহান্নামের অধিবাসীদের মধ্যে তোমরাই অধিক”। তাঁরা জিজ্ঞেস করলেনঃ কী কারণে, হে আল্লাহ্‌র রাসূল? তিনি বললেনঃ “তোমরা অধিক পরিমানে অভিশাপ দিয়ে থাক আর স্বামীর অকৃতজ্ঞ হও। বুদ্ধি ও দ্বীনের ব্যাপারে ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও একজন সদাসতর্ক ব্যক্তির বুদ্ধি হরণে তোমাদের চেয়ে পারদর্শী আমি আর কাউকে দেখিনি” - 2 ملاحظة 78. “যে ব্যক্তি আযান শুনে এই দু‘আ বলবে, اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ، وَالصَّلاَةِ القَائِمَةِ، آتِ مُحَمَّدًا الوَسِيلَةَ وَالفَضِيلَةَ، وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَحْمُودًا الَّذِي وَعَدْتَهُ (হে আল্লাহ এই পূর্ণাঙ্গ আহবান ও প্রতিষ্ঠিত সালাতের তুমিই রব! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তুমি জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান ও মর্যাদা দান করো এবং তাঁকে সেই প্রশংসিত স্থানে পৌঁছাও, যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাঁকে দিয়েছো)। তার জন্য কিয়ামতের দিন আমার সুপারিশ অনিবার্য হয়ে যাবে।” 79. “তোমাদের কেউ যেন এক কাপড়ে সালাত আদায় না করে যে অবস্থায় তার গর্দানের ওপর কোন কিছুই থাকে না”। 80. “যখন তুমি সিজদা করো তোমার হাতের তালু মাটিতে রাখো এবং উভয় কনুই উচু করে রাখো”। 81. আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সালাত আদায় করেছি। তিনি ডান দিকে সালাম ফিরানোর সময় বলতেন ’’আসসালামু ’আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু’’ এবং বাঁ দিকে সালাম ফিরানোর সময় বলতেন ’’আসসালামু ’আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ’’। 82. আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবু বকর ও উমর-কে বললেন: “নবী ও রাসুলগণ ব্যতীত এরা দু’জনই জান্নাতের পূর্বাপর সকল বুড়োদের সরদার”। 83. আল-হাসান এবং আল-হুসাইন হলেন জান্নাতবাসী যুবকদের সরদার”। 84. নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের পূর্বে চার রাকাত এবং ফজরের পূর্বে দুই রাকাত সালাত ত্যাগ করতেন না। 85. “যে ব্যক্তি জোহরের পূর্বে চার রাকাত এবং তার পরে চার রাকাত সালাত রীতিমত আদায় করবে তার উপর আল্লাহ জাহান্নাম হারাম করে দিবেন”। 86. আল্লাহ সে ব্যক্তির উপর রহমত বর্ষণ করেন যে আসরের (ফরযের) পূর্বে চার রাক‘আত (নফল) সালাত আদায় করে। 87. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের দুই রাকাতে {قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ} এবং {قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ} পাঠ করেছেন। 88. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে কাতারের পিছনে একা সালাত আদায় করতে দেখলেন এবং তিনি তাকে তার সালাত পুনরায় পড়তে নির্দেশ দিলেন। 89. “কোনো নারী তার অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করলে তার সে বিয়ে বাতিল। তিনি একথাটি তিনবার বলেছেন। আর সে যদি তার সাথে সহবাস করে, তাহলে এজন্য তাকে মোহর দিবে। যদি উভয় পক্ষের (অভিভাবকদের) মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়, তাহলে শাসক হবেন তার অভিভাবক। কারণ যাদের অভিভাবক নাই তার অভিভাবক শাসক”। 90. “যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে গুহ্যদ্বারে সঙ্গম করে সে অভিশপ্ত”। 91. আল্লাহ এমন পুরুষের দিকে তাকান না যে পুরুষ বা মহিলার গুহ্যদ্বার দিয়ে যৌন মিলন করে। 92. একদা আমি বলি, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের কারো উপর তার স্ত্রীর কি হক রয়েছে? তিনি বললেনঃ “তুমি যখন আহার করবে তাকেও আহার করাবে। তুমি পোশাক পরিধান করলে তাকেও পোশাক দিবে। তার মুখমণ্ডলে মারবে না, তাকে গালমন্দ করবে না এবং পৃথক রাখতে হলে ঘরের মধ্যেই রাখবে”। 93. যার দু'জন স্ত্রী আছে এবং সে তাদের একজনের দিকে ঝুঁকে গেল, সে কিয়ামতের দিন কাত হয়ে আসবে। 94. “তোমরা তোমাদের সম্পদ, নফস ও মুখ দিয়ে মুশরিকদের সাথে জিহাদ কর”। 95. “মুসলিমের লুঙ্গি অর্ধ গোছা পর্যন্ত ঝুলানো উচিত। গাঁটের উপর পর্যন্ত ঝুললে ক্ষতি নেই। যে অংশ লুঙ্গি পায়ের গাঁটের নিচে ঝুলবে, তা জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। আর অহংকারবশত যে ব্যক্তি পায়ের গাঁটের নিচে ঝুলিয়ে লুঙ্গি পরবে, তার দিকে আল্লাহ (করুণার দৃষ্টিতে) তাকিয়ে দেখবেন না।”