«لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَيْلٌ لِلْعَرَبِ مِنْ شَرٍّ قَدِ اقْتَرَبَ، فُتِحَ اليَوْمَ مِنْ رَدْمِ يَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ مِثْلُ هَذِهِ» وَحَلَّقَ بِإِصْبَعِهِ الإِبْهَامِ وَالَّتِي تَلِيهَا، قَالَتْ زَيْنَبُ بِنْتُ جَحْشٍ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ: أَنَهْلِكُ وَفِينَا الصَّالِحُونَ؟ قَالَ: «نَعَمْ إِذَا كَثُرَ الخَبَثُ».
[صحيح] - [متفق عليه] - [صحيح البخاري: 3346]
المزيــد ...
যায়নাব বিনতে জাহাশ রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় তাঁর নিকট আসলেন এবং বলতে লাগলেন:
“লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ"। (আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন মাবূদ নেই) আরবের লোকেদের জন্য সেই অনিষ্টের কারণে ধ্বংস অনিবার্য যা নিকটবর্তী হয়েছে। আজ ইয়াজুজ ও মাজুজের প্রাচীর এ পরিমাণ খুলে গেছে”। এ কথা বলার সময় তিনি তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলির অগ্রভাগকে তার সঙ্গের শাহাদাত আঙ্গুলির অগ্রভাগের সঙ্গে মিলিয়ে গোলাকার করে ছিদ্রের পরিমাণ দেখান। যায়নাব বিনতে জাহাশ বলেন, তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মধ্যে পুণ্যবান লোকজন থাকা সত্ত্বেও কি আমরা ধ্বংস হয়ে যাব? তিনি বললেন, “হ্যাঁ যখন পাপকাজ অতি মাত্রায় বেড়ে যাবে”।
[সহীহ] - [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।] - [সহীহ বুখারী - 3346]
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যায়নাব বিনতে জাহাশের নিকট ভীত ও সন্ত্রস্ত অবস্থায় প্রবেশ করলেন। আর কোনো খারাপ ঘটনা অতিশীঘ্র সংঘটিত হবে তার সংবাদ স্বরূপ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলছিলেন, যার থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাওয়া ছাড়া মুক্তির কোনো উপায় নেই। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: আরবের লোকেদের জন্য সেই অনিষ্টের কারণে ধ্বংস অনিবার্য যা নিকটবর্তী হয়েছে। আজ ইয়াজুজ ও মাজুজের প্রাচীর, যেটি যুল কারনাইন নির্মাণ করেছেন, এ পরিমাণ খুলে গেছে। এ কথা বলার সময় তিনি তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলির অগ্রভাগকে তার সঙ্গের শাহাদাত আঙ্গুলির অগ্রভাগের সঙ্গে মিলিয়ে গোলাকার বৃত্ত তৈরি করলেন। যায়নাব রাদিয়াল্লাহু আনহা বললেন: আমাদের মধ্যে সৎ ঈমানদার থাকাবস্থায় আল্লাহ কীভাবে আমাদের উপর ধ্বংস চাপিয়ে দিতে পারেন? নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ যদি অনৈতিকতা, অশ্লীলতা, পাপ, ব্যভিচার, মদ প্রভূতি বৃদ্ধি পায়, তাহলে সবাই ধ্বংস হয়ে যাবে।