«مَنْ قَالَ حِينَ يَسْمَعُ النِّدَاءَ: اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ، وَالصَّلاَةِ القَائِمَةِ، آتِ مُحَمَّدًا الوَسِيلَةَ وَالفَضِيلَةَ، وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَحْمُودًا الَّذِي وَعَدْتَهُ، حَلَّتْ لَهُ شَفَاعَتِي يَوْمَ القِيَامَةِ».
[صحيح] - [رواه البخاري] - [صحيح البخاري: 614]
المزيــد ...
জাবির ইবন আব্দুল্লাহ রদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
“যে ব্যক্তি আযান শুনে এই দু‘আ বলবে, اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ، وَالصَّلاَةِ القَائِمَةِ، آتِ مُحَمَّدًا الوَسِيلَةَ وَالفَضِيلَةَ، وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَحْمُودًا الَّذِي وَعَدْتَهُ (হে আল্লাহ এই পূর্ণাঙ্গ আহবান ও প্রতিষ্ঠিত সালাতের তুমিই রব! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তুমি জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান ও মর্যাদা দান করো এবং তাঁকে সেই প্রশংসিত স্থানে পৌঁছাও, যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাঁকে দিয়েছো)। তার জন্য কিয়ামতের দিন আমার সুপারিশ অনিবার্য হয়ে যাবে।”
[সহীহ] - [এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন।] - [সহীহ বুখারী - 614]
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বার্তা দিচ্ছেন যে, মুয়াযযিনের আযান শোনার পর যে বলবে:
(اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ) এটি হল আযানের শব্দাবলি যার মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদত ও সালাতের দিকে আহ্বান করা হয়। (التَّامَّةِ) পরিপূর্ণ, তাওহীদ ও রিসালাতের দাওয়াত (وَالصَّلاَةِ القَائِمَةِ) স্থায়ী সালাত যা শীঘ্রই পতিষ্ঠা করা হবে। আর (آتِ) প্রদান করুন, (مُحَمَّدًا الوَسِيلَةَ) মুহাম্মাদকে জান্নাতের সুউচ্চ স্থান যা তাকে ছাড়া কারো জন্যই উপযুক্ত হবে না। (وَالفَضِيلَةَ) সকল মাখলুকের উপর অতিরিক্ত ফজিলত, وَابْعَثْهُ) তাকে দান করুন, (مَقَامًا مَحْمُودًا) প্রসংশিত স্থান যেখানে দণ্ডায়মান ব্যক্তিকে প্রশংসা করা হয়। আর তা হল কিয়ামতের দিন বড় সুপারিশ, (الَّذِي وَعَدْتَهُ) যার ওয়াদা আপনি তাকে দিয়েছেন আপনারই বাণী: {عسى أن يبعثك ربك مقامًا محمودًا} এর মাধ্যমে যে, তার হকদার হবেন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
যে এই দোয়াগুলো বলবে সে কিয়ামতের দিন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের শাফায়াতের হকদার হবে এবং তার জন্য তা ওয়াজিব হয়ে যাবে।