«يَا مَعْشَرَ النِّسَاءِ، تَصَدَّقْنَ، فَإِنِّي أُرِيتُكُنَّ أَكْثَرَ أَهْلِ النَّارِ» فَقُلْنَ: وَبِمَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «تُكْثِرْنَ اللَّعْنَ، وَتَكْفُرْنَ العَشِيرَ، مَا رَأَيْتُ مِنْ نَاقِصَاتِ عَقْلٍ وَدِينٍ أَذْهَبَ لِلُبِّ الرَّجُلِ الحَازِمِ مِنْ إِحْدَاكُنَّ»، قُلْنَ: وَمَا نُقْصَانُ دِينِنَا وَعَقْلِنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «أَلَيْسَ شَهَادَةُ المَرْأَةِ مِثْلَ نِصْفِ شَهَادَةِ الرَّجُلِ» قُلْنَ: بَلَى، قَالَ: «فَذَلِكِ مِنْ نُقْصَانِ عَقْلِهَا، أَلَيْسَ إِذَا حَاضَتْ لَمْ تُصَلِّ وَلَمْ تَصُمْ» قُلْنَ: بَلَى، قَالَ: «فَذَلِكِ مِنْ نُقْصَانِ دِينِهَا».
[صحيح] - [متفق عليه] - [صحيح البخاري: 304]
المزيــد ...
আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিতঃ একবার ঈদুল আযহা অথবা ঈদুল ফিতরের সালাত আদায়ের জন্য আল্লাহ্র রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদগাহের দিকে যাচ্ছিলেন। তিনি মহিলাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বললেন:
“হে নারী সমাজ! তোমার সদাক্বাহ করতে থাক। কারণ আমি দেখেছি জাহান্নামের অধিবাসীদের মধ্যে তোমরাই অধিক”। তাঁরা জিজ্ঞেস করলেনঃ কী কারণে, হে আল্লাহ্র রাসূল? তিনি বললেনঃ “তোমরা অধিক পরিমানে অভিশাপ দিয়ে থাক আর স্বামীর অকৃতজ্ঞ হও। বুদ্ধি ও দ্বীনের ব্যাপারে ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও একজন সদাসতর্ক ব্যক্তির বুদ্ধি হরণে তোমাদের চেয়ে পারদর্শী আমি আর কাউকে দেখিনি”। তারা বললেনঃ আমাদের দ্বীন ও বুদ্ধির ত্রুটি কোথায়, হে আল্লাহ্র রাসূল? তিনি বললেনঃ “একজন মহিলার সাক্ষ্য কি একজন পুরুষের সাক্ষ্যের অর্ধেক নয়”? তারা উত্তর দিলেন, ‘হ্যাঁ’। তখন তিনি বললেনঃ “এ হচ্ছে তাদের বুদ্ধির ত্রুটি। আর হায়েয অবস্থায় তারা কি সালাত ও সিয়াম হতে বিরত থাকে না”? তারা বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ “এ হচ্ছে তাদের দ্বীনের ত্রুটি”।
[সহীহ] - [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।] - [সহীহ বুখারী - 304]
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের দিন ঈদগাহে বের হলেন, ইতোপূর্বে তিনি কেবল নারীদের ওয়াজ করার ওয়াদা করেছিলেন, সেদিন তিনি সেটি বাস্তবায়ন করলেন এবং বললেন: হে নারী সমাজ, তোমরা সদকা কর এবং বেশী ইস্তেগফার কর; এই দু’টি গুনাহ মোচনকারী সবচেয়ে বড় উপায়; কারণ আমি ইসরার রাতে অধিকাংশ জাহান্নামী তোমাদেরকেই দেখেছি।০
তাদের থেকে বুদ্ধিমান, সিদ্ধান্তের অধিকারী ও মর্যাদাবান একজন নারী বলে উঠল: হে আল্লাহর রাসূল, আমরা কেন অধিকাংশ জাহান্নামী?
তিনি বললেন, কায়েকটি কারণে: তোমরা বেশী অভিসম্পাত ও গাল-মন্দ কর এবং স্বামীর হক অস্বীকার কর। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এভাবে তাদের বিশেষিত করলেন, আমি তোমাদের মত বিবেক ও দীনে ত্রুটিপূর্ণ কাউকেই বুদ্ধিমান, বিবেকি, দৃঢ়চেতা, সুশৃঙ্খল ও নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠাকারীর উপর বিজয়ী হতে দেখেনি!
সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল, বিবেক ও দীনের ত্রুটি কী?
তিনি বললেন, বিবেকের ত্রুটি হল: দু’জন নারীর সাক্ষ্য একজন পুরুষের সাক্ষ্যের সমান; এটি বিবেকের ত্রুটি; আর দীনের ত্রুটি হল, নেক আমলের ত্রুটি, যেখানে তারা ঋতুর কারণে বেশ কিছু রাত-দিন সালাত আদায় করে না এবং ঋতুর কারণে রমযানের বেশ কিছু দিন ইফতার করে, এটি দীনের ত্রুটি-হ্রাস, কিন্তু এর উপর তারা ভর্ৎসনার অংশী হবে না এবং তার উপর তাদের পাকড়াও করা হবে না, কারণ এটি তার সৃষ্টিগত স্বভাব, যেমন মানুষকে সম্পদের মুহাব্বত, তার প্রবণতা ও জাহুল প্রভৃতি স্বভাবের উপর সৃষ্টি করা হয়েছে; তবে এটি স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে যেন এগুলোর দ্বারা ফিতনায় পতিত না হয়।
قال ابن حجر في قوله: "e;ما رأيت من ناقصات... إلخ"e; ويظهر لي أن ذلك من جملة أسباب كونهن أكثر أهل النار؛ لأنهن إذا كُنّ سببًا لإذهاب عقل الرجل الحازم حتى يفعل أو يقول ما لا ينبغي فقد شَارَكْنَه في الإثم وزِدْن عليه.قوله ﷺ الله عليه وسلم:" أذهب للب الرجل الحازم منكن" أليس هذا مدح لمعشر النساء؟ لأن باستطاعتها ذهاب عقل الرجل الحازم.