হাদীস: হে বৎস! বিসমিল্লাহ বলো এবং ডান হাতে আহার কর আর তোমার কাছে থেকে খাও
عن عُمر بن أبي سلمة رضي الله عنه قال:
كُنْتُ غُلَامًا فِي حَجْرِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَتْ يَدِي تَطِيشُ فِي الصَّحْفَةِ، فَقَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا غُلَامُ، سَمِّ اللهَ، وَكُلْ بِيَمِينِكَ، وَكُلْ مِمَّا يَلِيكَ» فَمَا زَالَتْ تِلْكَ طِعْمَتِي بَعْدُ.
[صحيح] - [متفق عليه] - [صحيح البخاري: 5376]
المزيــد ...
’উমার ইবনু আবূ সালামাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন:
আমি ছোট বেলায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর তত্ত্বাবধানে ছিলাম। খাবার বাসনে আমার হাত ছুটাছুটি করত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, "c2">“হে বৎস! বিসমিল্লাহ বলো এবং ডান হাতে আহার কর আর তোমার কাছে থেকে খাও”। এরপর থেকে সেটাই আমার খাদ্য গ্রহণ করার স্থায়ী অভ্যাস ছিল।
সহীহ - মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রী উম্মু সালামাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহার ছেলে ‘উমার ইবনু আবূ সালামাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা সংবাদ দিচ্ছেন,—সে সময় তিনি তাঁর লালন-পালন ও তত্ত্বাবধানে ছিলেন— খাওয়ার সময় খাবার তোলার জন্য তার হাত বাসনের এপাশে-ওপাশে নিয়ে যেতেন, তাই নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে আহার করার শিষ্টাচারসমূহ হতে তিনটি শিষ্টাচার (আদব) শিখালেন:
প্রথমটি হলো: খাওয়ার শুরুতে "c2">“বিসমিল্লাহ” বলা।
দ্বিতীয়টি হলো: ডান হতে খাওয়া।
তৃতীয়টি হলো: যে পাশের খাবার তাঁর নিকটে সে পাশ থেকে খাওয়া।
হাদীসের শিক্ষা
- খাওয়া ও পান করার আদব হলো তার শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা।
- বাচ্চাদেরকে আদব শিক্ষা দিতে হবে, বিশেষ করে যার তত্ত্বাবধানে বাচ্চা থাকবে তাকে।
- শিশুদের শিক্ষাদান ও তাদের শাসনে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের উদারতা ও কোমলতা প্রদর্শন।
- খাবার গ্রহণ করার আদব হলো মানুষের নিজের কাছ থেকে খাবার গ্রহণ করা, তবে যদি বিভিন্ন প্রকার খাবার হয়, তাহলে যে প্রকার ইচ্ছে তা গ্রহণ করতে কোনো দোষ নেই।
- সাহাবীগণকে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে আদব শিক্ষা দিয়েছেন তা তারা অক্ষরে অক্ষরে আঁকড়ে ধরেছেন। আর তা উমারের কথা থেকে প্রমাণিত: “তারপর থেকে এটিই ছিল আমার খাবারের নিয়ম।
শ্রেণিবিন্যাসসমূহ
আরো
- হাদীস: পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, এক জুমু‘আ থেকে আরেক জুমু‘আ এবং এক রামাযান থেকে আরেক রামাযান এর মধ্যবর্তী সময়ের জন্য কাফফারা হয়ে যায়, যদি কবীরা গুনাহ থেকে বিরত থাকা হয়।
- হাদীস: কিছু লোক আল্লাহর মাল অন্যায়ভাবে ব্যয়-বন্টন করবে। সুতরাং তাদের জন্য কিয়ামতের দিন জাহান্নামের আগুন রয়েছে।
- হাদীস: তোমরা মৃতদের গালি দিও না; কারণ, তারা স্বীয় কর্মফল পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।
- হাদীস: কোন মুসলিমের জন্য এটা বৈধ নয় যে, সে তার ভাইয়ের সাথে তিন দিনের বেশি কথাবার্তা বলা বন্ধ রাখে। যখন তারা পরস্পর সাক্ষাৎ করে, তখন এ এদিকে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং ও ওদিকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। আর তাদের দু’জনের মধ্যে উত্তম ব্যক্তি সেই হবে, যে সাক্ষাৎকালে প্রথমে সালাম পেশ করবে।
- হাদীস: আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
- হাদীস: আল্লাহর নিকট সেই লোক সবচেয়ে বেশি ঘৃণিত, যে অতি ঝগড়াটে।
- হাদীস: যে লোক তার কোনো ভাইয়ের মান-সম্মানের ওপর (তার অনুপস্থিতে) আঘাত প্রতিরোধ করবে, কিয়ামত দিবসে আল্লাহ তা‘আলা তার মুখমণ্ডল হতে (জাহান্নামের) আগুন প্রতিরোধ করবেন।