হাদীস: “যখন ব্যক্তি তার পরিবারের জন্য সাওয়াবের উদ্দেশ্যে খরচ করে, তবে তা তার জন্যে সদাকা।”
عن أبي مسعود رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال:
«إِذَا أَنْفَقَ الرَّجُلُ عَلَى أَهْلِهِ يَحْتَسِبُهَا فَهُوَ لَهُ صَدَقَةٌ».
[صحيح] - [متفق عليه] - [صحيح البخاري: 55]
المزيــد ...
আবূ মাস‘ঊদ রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
"c2">“যখন ব্যক্তি তার পরিবারের জন্য সাওয়াবের উদ্দেশ্যে খরচ করে, তবে তা তার জন্যে সদাকা।”
সহীহ - মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হাদীসে সংবাদ দিয়েছেন, যখন কোন ব্যক্তি তার পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় খরচ করে, যেমন: তার স্ত্রী, সন্তান, পিতামাতা ও অন্যান্য আত্মীয়, আর এর দ্বারা সে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও তাঁর কাছে সাওয়াবের আশা করে, তবে তা তার জন্যে সদাকা হিসেবে গণ্য হবে।
হাদীসের শিক্ষা
- পরিবারের জন্য ব্যয় করলে এর দ্বারা পুরষ্কার ও সাওয়াব অর্জিত হয়।
- মুমিন যেন তার আমল দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং তাঁর নিকট যে সাওয়াব ও বিনিময় রয়েছে তা তালাশ করে।
- প্রত্যেক আমলের ক্ষেত্রে সঠিক নিয়াত উপস্থিত রাখা উচিত। অনুরূপ পরিবারের জন্য ব্যয় করার ক্ষেত্রেও ।
শ্রেণিবিন্যাসসমূহ
আরো
- হাদীস: মহান আল্লাহ বলেছেন, হে আদম সন্তান! তুমি খরচ কর, তোমার ওপরও খরচ করা হবে।
- হাদীস: রেওয়াজ অনুযায়ী তুমি তার সম্পদ থেকে গ্রহণ কর যা তোমার ও তোমার সন্তানদের জন্য যথেষ্ট হয়।
- হাদীস: উপরের হাত নিচের হাত থেকে উত্তম; উপরের হাত হলো দানকারীর এবং নিচের হাত হলো যাচ্ঞাকারীর।
- হাদীস: হে আল্লাহর রাসূল! আমি যদি (আমার প্রথম স্বামী) আবূ সালামাহর সন্তান-সন্ততির ওপর ব্যয় করি, তাতে কি আমি নেকী পাব? আমি তো তাদেরকে এভাবে ছেড়ে দিতে পারছি না, তারা তো আমারই সন্তান।’ তিনি বললেন, হ্যাঁ, তুমি তাদের ওপর ব্যয় করার দরুন নেকী পাবে।
- হাদীস: যে দিনার তুমি আল্লাহর রাস্তায় খরচ করেছ, যে দিনার তুমি গোলাম আযাদ করতে খরচ করেছ, যে দিনার তুমি মিসকিনের উপর খরচ করেছ এবং যেটি তুমি পরিবারে খরচ করেছ, তার মধ্যে তুমি যেটি পরিবারের জন্য সেটর সাওয়াবই সবচেয়ে বেশী।
- হাদীস: নিশ্চয় যামানা (কাল) নিজের ঐ অবস্থায় ফিরে এল যেদিন আল্লাহ তা‘আলা আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন। (অর্থাৎ দুনিয়া সৃষ্টি করার সময় যেরূপ বছর ও মাসগুলো ছিল, এখন পুনর্বার সে পুরাতন অবস্থায় ফিরে এল এবং আরবের মুশরিকরা যে নিজেদের মন মত মাসগুলোকে আগে-পিছে করেছিল তা এখন থেকে শেষ করে দেওয়া হল।) বছরে বারটি মাস; তার মধ্যে চারটি হারাম (সম্মানীয়) মাস।