উপ-শ্রেণিবিন্যাসসমূহ

হাদীসসমূহের তালিকা

“আমি সাতটি অঙ্গের দ্বারা সিজদা করার জন্য নির্দেশিত হয়েছি।* কপাল দ্বারা এবং তিনি হাত দিয়ে নাকের প্রতি ইশারা করে এর অন্তর্ভুক্ত করেন, আর দু’ হাত, দু’ হাঁটু এবং দু’ পায়ের আঙ্গুলসমূহ দ্বারা। আর আমরা যেন চুল ও কাপড় গুটিয়ে না নেই।”
عربي ইংরেজি উর্দু
: اللهم اغفر لي، وارحمني، وعافني، واهدني، وارزقني :
عربي ইংরেজি উর্দু
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাত শুরু করতেন, তখন উভয় হাত তাঁর কাঁধ বরাবর উঠাতেন।* আর যখন রুকূ‘তে যাওয়ার জন্য তাকবীর বলতেন এবং যখন রুকূ‘ হতে মাথা উঠাতেন তখনও একইভাবে দু’হাত উঠাতেন এবং سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ(সামিয়াল্লাহু লিমান হামেদাহ,রব্বানা ওয়ালাকাল হামদু) বলতেন। কিন্তু সাজদার সময় তিনি এমন করতেন না।
عربي ইংরেজি উর্দু
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার হাত তাঁর উভয় হতের মধ্যে রেখে আমাকে এমনভাবে তাশাহহুদ শিখিয়েছেন, যেভাবে তিনি আমাকে কুরআনের সূরা শিখাতেন*,তা হলো : التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ الله وَبَرَكَاتُهُ السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا الله وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ “সকল বড়ত্ব ও প্রশংসা,সালাতসমূহ:এমনকি সকল মৌখিক, দৈহিক,আর্থিক ও অন্তর্গত ‘ইবাদত এবং সকল পবিত্রতা-উত্তমতা আল্লাহরই জন্য। হে নবী ! আপনার উপর আল্লাহর পক্ষ থেকে সবধরনের নিরাপত্তা, রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক।বর্ষিত হোক সকল বিপদ থেকে নিরাপত্তা-সালাম আমাদের এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের উপর। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোনো মা‘বূদ নেই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল। অপর বর্ণনায় বর্ণিত, «إِنَّ اللهَ هُوَ السَّلَامُ، فَإِذَا قَعَدَ أَحَدُكُمْ فِي الصَّلَاةِ فَلْيَقُلْ: التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِينَ، فَإِذَا قَالَهَا أَصَابَتْ كُلَّ عَبْدٍ لِلَّهِ صَالِحٍ فِي السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، ثُمَّ يَتَخَيَّرُ مِنَ الْمَسْأَلَةِ مَا شَاءَ». আল্লাহর নামই হলো সালাম। সকল বড়ত্ব-প্রশংসা,সালাতসমূহ:এমনকি সকল মৌখিক, দৈহিক,আর্থিক ও অন্তর্গত ‘ইবাদত এবং সকল পবিত্র-উত্তম আল্লাহরই জন্য। হে নবী! আপনার উপর আল্লাহর পক্ষ থেকে সবধরনের নিরাপত্তা, রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক।সকল বিপদ থেকে নিরাপত্তা-সালাম আমাদের এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের উপর বর্ষিত হোক।” যখন সে একথাগুলো বলে তখন তা আসমানে ও জমিনের আল্লাহর প্রতিটি নেক বান্দার কাছে পৌঁছে যায়। (পরে সে বলবে:) “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোন প্রকৃত ইলাহ নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল।” এরপর তার যা মন চায় দু’আ করবে।
عربي ইংরেজি উর্দু
তোমরা সিজদায় মধ্যপন্থা অবলম্বন করো। তোমাদের কেউ যেন তার বাহুদ্বয় কুকুরের ন্যায় বিছিয়ে না রাখে।
عربي ইংরেজি উর্দু
ইমাম যখন আমীন বলবে, তখন তোমরাও আমীন বলবে; কেননা যে ব্যক্তির আমীন ফিরিশতাদের আমীনের সাথে মিলবে তার পূর্ব-জীবনের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।
عربي ইংরেজি উর্দু
যখন তুমি সেজদা করো তোমার দুই কব্জিকে যমীনে রাখো আর দুই কনুইকে তুলে রাখো।
عربي ইংরেজি উর্দু
যখন তোমাদের কেউ সেজদাহ করে সে যেন উটের বসার মতো না বসে। আর সে যেন তার দুই হাতকে তার দুই হাঁটু রাখার আগে রাখে।
عربي ইংরেজি উর্দু
ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু তার দুই হাঁটুর পূর্বে দুই হাতকে রাখতেন। আর তিনি বলতেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা করবেতন।
عربي ইংরেজি উর্দু
আমি রাসূলুল্লাহর সাথে সালাত আদায় করি। তিনি ডান দিকে সালাম ফিরিয়ে বলতেন আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ আর বাম দিকে সালাম ফিরিয়ে বলতেন আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।
عربي ইংরেজি উর্দু
আবূ হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের দুই রাকা‘আতে সূরা কাফিরুন এবং সূরা ইখলাস পড়েন। সহীহ মুসলিম।
عربي ইংরেজি উর্দু
(একদিন) কিছু লোক সাহল বিন সা’দ সা’ঈদীর নিকট আগমন করে এবং মিম্বরটি কোন্ কাঠের তৈরি ছিল, এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক হলো । তারা এ সম্পর্কে তাঁর নিকট জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ! আমি সম্যকরূপে অবগত আছি যে, তা কিসের ছিল। প্রথম যেদিন তা স্থাপন করা হয় এবং প্রথম যে দিন এর উপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসেন তা আমি দেখেছি। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনসারদের অমুক মহিলার (বর্ণনাকারী বলেন, সাহল তার নামও উল্লেখ করেছিলেন) নিকট লোক পাঠিয়ে বলেছিলেন, “তোমার কাঠমিস্ত্রি গোলামকে আমার জন্য কিছু কাঠ দিয়ে এমন জিনিস তৈরি করার নির্দেশ দাও, যার উপর বসে আমি লোকদের সাথে কথা বলতে পারি”। অতঃপর সে মহিলা তাকে আদেশ করেন এবং সে (মদিনা হতে নয় মাইল দূরবর্তী) জঙ্গলের এক গাছের কাঠ দ্বারা তা তৈরি করে নিয়ে আসে। মহিলাটি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট তা পাঠিয়েছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর আদেশে এখানেই তা স্থাপন করা হয়। অতঃপর আমি দেখেছি, এর উপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত আদায় করেছেন। এর উপরেই তাকবীর দিয়েছেন এবং এর উপরেই (দাঁড়িয়ে) রুকূ’ করেছেন। অতঃপর পিছন ফিরে তা থেকে নেমে এসে মিম্বারের গোড়ায় সিজদা্ করেছেন এবং পুনরায় ফিরে সলাত শেষ করেছেন, অতঃপর সালাত শেষ করে সমবেত লোকদের দিকে ফিরে বলেছেনঃ “@হে লোক সকল! আমি এটা এ জন্য করেছি যে, তোমরা যেন আমার অনুসরণ করতে এবং আমার সালাত শিখে নিতে পার”।
عربي ইংরেজি উর্দু
“তোমরা যখন সালাত আদায় করবে, তোমাদের কাতারগুলো ঠিক করে নিবে। অতঃপর তোমাদের কেউ তোমাদের ইমামতি করবে। সে যখন তাকবীর বলবে, তোমরাও তখন তাকবীর বলবে*। সে যখন {غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلا الضَّالِّينَ} [الفاتحة: 7] বলবে তোমরা তখন আমীন বলবে। আল্লাহ তোমাদের ডাকে সাড়া দিবেন। যখন সে তাকবীর বলে রুকু’তে যাবে, তোমরাও তাকবীর বলে রুকু’তে যাবে। কেননা, ইমাম তোমাদের আগে রুকু’তে যাবে এবং তোমাদের আগে রুকু থেকে উঠবে”। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ “এটা ওটার বিনিময়ে, (তথা ইমাম যেমন রুকু সাজদায় আগে যাবে, তেমনি আগে উঠবে)। যখন সে سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বলবে, তখন তোমরা اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ বলবে, আল্লাহ তোমাদের কথা শুনবেন। কেননা আল্লাহ তা’আলা তাঁর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ভাষায় বলছেনঃ سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ (আল্লাহ তার প্রশংসাকারীর প্রশংসা শুনেন)। যখন সে তাকবীর বলবে এবং সাজদায় যাবে, তোমরাও তার পরপর তাকবীর বলে সাজদায় যাবে। কেননা, ইমাম তোমাদের আগে সাজদায় যাবে এবং তোমাদের আগে সিজদা থেকে উঠবে”। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “ওটা ওটার পরিবর্তে।যখন বৈঠকের আসনে থাকবে, তখন তোমাদের প্রথম পাঠ হবে, التَّحِيَّاتُ الطَّيِّبَاتُ الصَّلَوَاتُ لِلهِ، السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِينَ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ অর্থাৎ- সকল প্রকার পবিত্র ও একান্ত মৌখিক, শারীরিক ও আর্থিক ইবাদাতসমূহ আল্লাহরই জন্য। হে নবী! আপনার উপর আল্লাহর পক্ষ হতে শান্তি, রহমত ও বারাকাত নাযিল হোক এবং আমাদের উপর ও আল্লাহর নেককার বান্দাদের উপরও শান্তি বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য মাবূদ নেই এবং আমি এও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল ”।
عربي ইংরেজি উর্দু
তিনি রমযান ও রমযান ছাড়া ফরজ হোক বা অন্য কোন সালাত হোক, দাঁড়িয়ে শুরু করার সময় "আল্লাহু আকবার" বলতেন, আবার রুকূ‘তে যাওয়ার সময় "আল্লাহু আকবার" বলতেন। অতঃপর (রুকূ‘ হতে উঠার সময়) سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বলতেন, সিজদা্য় যাওয়ার পূর্বে رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ বলতেন। অতঃপর সিজদার জন্য অবনত হবার সময় আল্লাহু আকবার বলতেন। আবার সিজদা্ হতে মাথা উঠানোর সময় "আল্লাহু আকবার " বলতেন। অতঃপর (দ্বিতীয়) সিজদায় যাওয়ার সময় তাকবীর বলতেন এবং সিজদা্ হতে মাথা উঠানোর সময় তাকবীর বলতেন। দু’ রাক‘আত আদায় করে দাঁড়ানোর সময় আবার তাকবীর বলতেন। সালাত শেষ করা পর্যন্ত প্রতি রাক‘আতে এরূপ করতেন। সালাত শেষে তিনি বলতেন, @যে সত্তার হাতে আমার প্রাণ তাঁর শপথ! তোমাদের মধ্য হতে আমার সালাত আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সালাতের সাথে অধিক সাদৃশ্যপূর্ণ। দুনিয়া হতে বিদায় নেয়ার পূর্ব পর্যন্ত এই সালাতই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সালাত ছিল।
عربي ইংরেজি উর্দু
“মানুষের মাঝে সবচেয়ে খারাপ চোর হলো যে তার সালাতে চুরি করে”। তিনি বলেন, সালাতে কিভাবে চুরি করে? তিনি বললেন, “সে তার রুকু ও সাজদাহ পূর্ণ করে না”।
عربي ইংরেজি উর্দু
سمع الله لمن حمده
عربي ইংরেজি উর্দু
:رب اغفر لي، رب اغفر لي
عربي ইংরেজি উর্দু
তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললেন- হে আল্লাহর রসূল ! শয়তান আমার মাঝে , আমার সালাতের মাঝে ও কিরাআতের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এবং গোলমাল বাধিয়ে দেয় । তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ “@এটা এক (প্রকারের) শয়তান— যার নাম ’খিনযিব’। যে সময় তুমি তার উপস্থিতি বুঝতে পারবে তখন (আউয়ুবিল্লাহ পড়ে) তার অনিষ্ট হতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়ে তিনবার তোমার বাম পাশে থুথু ফেলবে*”। তিনি বলেন, তারপরে আমি তা করলাম আর আল্লাহ আমার হতে তা দূর করে দিলেন।
عربي ইংরেজি উর্দু
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাতের ইচ্ছা করতেন তখন দাঁড়ানোর সময় তিনি তাকবীর বলতেন। অতঃপর যখন রুকূতে যেতেন তাকবীর বলতেন। অতঃপর যখন রুকূ‘ হতে মেরু দন্ড সোজা করতেন তখন سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বলতেন।
عربي ইংরেজি উর্দু
আমি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে থেকে তাঁর সালাত আদায় করার নিয়ম-কানুন ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি। তাঁর দাঁড়ানো (কিয়াম), তাঁর রুকু এবং রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানো, তাঁর সিজদা এবং দুই সিজদার মাঝে বসা, অতঃপর তাঁর দ্বিতীয় সিজদা, তাঁর সালাম ফিরানো এবং সালাম ও সালাত শেষ করে চলে যাওয়ার মাঝখানে বসা এর সবই প্রায় সমান (ব্যবধানে) পেয়েছি।
عربي ইংরেজি উর্দু
আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাসজিদে প্রবেশ করলেন, তখন একজন সহাবী এসে সালাত আদায় করলেন। অতঃপর এসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাম করলেন। তিনি বললেন, ফিরে যাও ও সালাত আদায় কর। কেননা, তুমি সালাত আদায় করনি। তিনি ফিরে গিয়ে পূর্বের মত সালাত আদায় করলেন। অতঃপর এসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাম করলেন। তিনি বললেন, ফিরে গিয়ে সালাত আদায় কর। কেননা, তুমি সালাত আদায় করনি। এভাবে তিনবার বললেন। সহাবী বললেন, সেই মহান সত্তার শপথ! যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, আমিতো এর চেয়ে সুন্দর করে সালাত আদায় করতে জানি না। কাজেই আপনি আমাকে শিখিয়ে দিন। তিনি বললেন, যখন তুমি সালাতের জন্য দাঁড়াবে, তখন তাক্বীর বলবে। অতঃপর কুরআন হতে যা তোমার পক্ষে সহজ তা পড়বে। অতঃপর রুকু‘তে যাবে এবং ধীরস্থিরভাবে রুকূ‘ করবে। অতঃপর মাথা তুলে সোজা হয়ে দাঁড়াবে। অতঃপর ধীরস্থীরভাবে সাজাদহ করবে ও সাজদাহ্ হতে উঠে স্থির হয়ে বসবে। আর তোমার পুরো সালাতে এভাবেই করবে।
عربي ইংরেজি উর্দু
আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমামাহ বিনতে যয়নাব বিনতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বহন করে সালাত আদায় করতনে।
عربي ইংরেজি উর্দু
রাসূলুল্লাহ সালাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং আবূ বকর ও উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা সালাত আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন দ্বারা আরম্ভ করতেন। অপর বর্ণনায় বর্ণিত: আমি আবূ বকর, উমার ও উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুমের সাথে সালাত আদায় করেছি। তাদের কাউকে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম পড়তে শুনিনি। আর সহীহ মুসলিমের বর্ণনায় বর্ণিত: আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং আবূ বকর, উমার ও উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুমের পিছনে সালাত আদায় করি, তারা আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন দ্বারা সালাত আরম্ভ করতেন। তারা বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম কিরাতের শুরুতে এবং শেষে উল্লেখ করতেন না।
عربي ইংরেজি উর্দু
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজন লোককে সৈন্যদলের আমীর বানিয়ে পাঠান। সে সাথীদের নিয়ে পড়ত, তবে সূরা ইখলাস দ্বারা কিরাত শেষ করতেন।
عربي ইংরেজি উর্দু
আমি ও ‘ইমরান হুসাইন ‘আলী ইবন আবূ ত্বলিবের পিছনে সালাত আদায় করলাম। তিনি সাজদাহ্ করার সময় তাকবীর বলেছেন। উঠার সময় তাকবীর বলেছেন এবং দু’ রাক‘আত শেষে দাঁড়ানোর সময় তাকবীর বলেছেন।
عربي ইংরেজি উর্দু
আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মাগরিবে সূরা আত-তূর পড়তে শুনেছি।
عربي ইংরেজি উর্দু
আমি অবশ্যই তোমাদের নিয়ে সালাত আদায় করবো, বস্তুত আমার উদ্দেশ্য সালাত আদায় করা নয় বরং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে আমি যেভাবে সালাত আদায় করতে দেখেছি, তা তোমাদের দেখানোই আমার উদ্দেশ্য।
عربي ইংরেজি উর্দু
হে আল্লাহ! ক্ষমা করে দিন আমার গুনাহসমূহ- যা পূর্বে করেছি, যা পরে করেছি, যা আমি গোপনে করেছি, যা প্রকাশ্যে করেছি, যা সীমালঙ্ঘন করে করেছি, আর যা আপনি আমার চেয়ে বেশি জানেন। আপনিই অগ্রগামী করেন এবং আপনিই পিছিয়ে দেন, আপনি ব্যতীত কোনো সত্য ইলাহ নেই।
عربي ইংরেজি উর্দু
আব্দুল্লাহ ইবন উমার থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুবাতে গিয়ে সালাত আদায় করতে বের হলেন। তিনি বলেন, তখন আনসারগণ এসে তাকে সালাতরত অবস্থায় সালাম দিল। তিনি বললেন, আমি বিলালকে বললাম, তুমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লামকে সালাত অবস্থায় সালামের উত্তর কীভাবে দিতে দেখেছ? তিনি বলেন, এভাবে বলেছেন, স্বীয় কব্জিকে প্রশস্ত করেন এবং তার পেটকে নিচে ও পিটকে উপরে রাখেন। সুনানু আবূ দাউদ।
عربي ইংরেজি উর্দু
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখিছি তিনি মানুষের সালাতের ইমামতি করছেন অথচ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মেয়ের মেয়ে উমামাহ বিনত আবীল আস তার কাঁধে ছিল। যখন তিনি রুকূ‘ করেন তখন তাকে নীচে রাখেন আর যখন সেজদা থেকে উঠেন তখন তাকে আবার তুলে নেন।
عربي ইংরেজি উর্দু
রিফা‘আহ ইবন রাফে‘ আয-যুরাকী থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগনের একজন ছিলেন। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি আসল তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে বসা ছিল। সে তার কাছাকাছি স্থানে সালাত আদায় করল। তারপর সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে তাঁকে সালাম দিলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তুমি তোমার সালাত আবার পড়ো। কেননা তুমি সলাত পড়োনি। তিনি বলেন, তারপর সে ফিরে গেল এবং আগের মতো সালাত আদায় করলো। তারপর আবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট ফিরে এলো। তিনি তাকে বললেন, তুমি তোমার সালাত আবার পড়ো। কেননা তুমি সলাত পড়োনি। সে বললো, হে আল্লাহ্র রসূল! আমাকে শিখিয়ে দিন কীভাবে সালাত আদায় করবো। তিনি বলেন, “তুমি যখন কিবলামুখী হবে তাকবীর (তাহরীমা) বলো, এরপর তুমি সূরা ফাতিহা পড়ো। তারপর কুরআনের যে অংশ তোমার কাছে সহজ সেখান থেকে পাঠ করো। তারপর যখন তুমি রুকূ করবে তখন তুমি তোমার দুই হাত দুই হাঁটুর উপর রাখবে এবং তোমার পিটকে লম্বা করে বিছিয়ে দেবে। তুমি তোমার রুকূর জন্য ধীরস্থিরতা অবলম্বন করো। অতঃপর যখন তুমি তোমার মাথা উঠাবে তখন তুমি তোমার মেরুদন্ড সোজা কর। যাতে হাঁড়গুলো নিজ নিজ জোড়ার স্থানে ফিরে যায়। তারপর যখন সেজদা করবে তখন তুমি তোমার সেজদার জন্য ধীরস্থিরতা অবলম্বন করো। তারপর যখন তুমি তোমার মাথা উঠাবে তখন তুমি তোমার বাম উরুর ওপর বসো। অতঃপর প্রতি রুকু ও সেজদায় তা করো। মুসনাদে আহমাদ। অপর বর্ণনায় বর্ণিত। তিনি বলেন, “আল্লাহর নির্দেশ মত পূর্ণাঙ্গরূপে উযূ না করলে তোমাদের কারো সালাত পরিপূর্ণ হবে না। সে তার মুখমণ্ডল ও দু’ হাত কনুইসহ ধৌত করবে, তার মাথা মাসহ করবে এবং দু’পা গোছা পর্যন্ত ধৌত করবে। তারপর তাকবীর বলবে এবং আল্লাহর প্রশংসা করবে। তারপর তাকে যতটুকু অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং তার জন্য যা সহজ হয় তা থেকে কুরআন পড়বে। তারপর তাকবীর বলবে এবং সেজদা করবে। তারপর চেহারাকে বা কপালকে যমীনে এমনভাবে রাখবে যাতে তার শরীরের জোড়াগুলো স্থীর হয়ে পড়ে এবং ঝুঁকে পড়ে। তারপর তাকবীর বলবে এবং সোজা হয়ে তার আসনে বসবে এবং মেরুদন্ডকে সোজা করবে। এভাবে চার রাকা‘আত সালাতের পদ্ধতি বর্ণনা করেন। এ সব কর্মসমূহ সম্পাদন করা ছাড়া তোমাদের কারো সালাত পূর্ণ হবে না।” সুনানে আবূ দাউদ। অপর বর্ণনায় বর্ণিত: “তারপর তুমি আল্লাহ যেভাবে আদেশ করেছেন সেভাবে ওযূ কর। তারপর তাশাহুদ পড়। ইকামত দাও এবং তাকবীর বলো। যদি তোমার কাছে কুরআন জানা থাকে তা থেকে পড়ো। অন্যথায় আল্লাহর প্রশংসা কর, তার তাকবীর বল এবং তাহলীল পড়ো।” সুনানু আবূ দাউদ।
عربي ইংরেজি উর্দু
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকবীর ও আলহামদু লিল্লাহ রাব্বুল আলামীন কিরাত দ্বারা সালাত আরম্ভ করতেন। আর তিনি যখন রুকূ করতেন তখন তিনি মাথা উপরে তুলতেন না এবং নিচেও ঝুকাতেন না তবে দুইয়ের মাঝামাঝি থাকতেন।
عربي ইংরেজি উর্দু
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে সালাত আদায় করেছি। তিনি তার ডান হাতকে বাম হাতের উপর রাখলেন তার বুকের উপর।
عربي ইংরেজি উর্দু
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আবু বকর ও উমার সালাতকে আল-হামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন দ্বারা শুরু করতেন।
عربي ইংরেজি উর্দু
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের প্রথম দু’ রাক‘আতে সূরাহ্ ফাতিহার সঙ্গে আরও দু’টি সূরাহ্ পাঠ করতেন। আর শেষের দুই রাকা‘আতে সূরা ফাতিহা পড়তেন। আর তিনি আমাদের তিলাওয়াত শুনাতেন।
عربي ইংরেজি উর্দু
আমরা যুহর ও আসরের সালাতে রাসূলে কিয়ামের সময় অনুমান করলাম। যুহরের প্রথম দুই রাকা‘আতে তার কিয়াম ছিল আলিফ লাম মীম সাজদাহ তিলাওয়াত করার সময় পরিমাণ। আর শেষের দুই রাকা‘আতে তার কিয়াম ছিল তার অর্ধেক।
عربي ইংরেজি উর্দু
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সালাতের সাথে অধিক সাদৃশ্য অমুকের মতো আর কারো পিছনে আমি সালাত আদায় করিনি। আমরা সেই লোকের পিছনে সালাত আদায় করলাম। তিনি যুহরের প্রথম দুই রাকা‘আত দীর্ঘ করতেন এবং পরের দুই রাকা‘আত সংক্ষিপ্ত করতেন। আসরকে হালকা করতেন এবং মাগরিবে ছোট সূরাসমূহ (কিসারে মুফাসসাল) পড়তেন। আর এশার সালাতে সূরা শামছ ওয়াদোহাহা ও এ ধরনের সূরা পড়তেন। ফজরের সালাতে দুইটি লম্বা সূরা পড়তেন।
عربي ইংরেজি উর্দু
আমি নবী সাল্লাল্লাহু আরাইহি ওয়াসাল্লামকে মাগরিবের সালাতে সূরাহ তূর তিলাওয়াত করতে শুনেছি। যখন এ আয়াতে পৌঁছলেন (অনুবাদ): “তারা কি সৃষ্টিকর্তা ছাড়াই সৃষ্টি হয়েছে, না তারা নিজেরাই সৃষ্টিকর্তা? তারা কি আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছে বরং তারা বিশ্বাস করে না। নাকি তাদের কাছে রয়েছে তোমার রবের ভান্ডারসমূহ না তাঁরাই ক্ষমতাশালী।” (সূরা তূর, আয়াত: ৩৫-৩৮), তখন আমার অন্তর উড়ে যাওয়ার উপক্রম হলো।
عربي ইংরেজি উর্দু
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সালাত এবং রুকূ ছিল যখন তিনি রুকূ ও সেজদাহ থেকে মাথা তুলতেন এবং দুই সেজদার মাঝখানে বসতেন প্রায় সমান সময়।
عربي ইংরেজি উর্দু
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন রুকূ করতেন তখন আঙ্গুলগুলো ছড়িয়ে দিতেন এবং যখন সেজদা করতেন তখন তার আঙ্গুলগুলো মিলিয়ে রাখতেন।
عربي ইংরেজি উর্দু
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সালাতের বেজোড় রাক‘আতে (সাজ্দাহ হতে) উঠে স্থীর না বসে দাঁড়াতেন না।
عربي ইংরেজি উর্দু
বনু সুলাইমের কয়েকটি বস্তির ওপর বদ দো‘আ করার জন্যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকূ‘র পরে এক মাস ব্যাপী কুনূত পাঠ করেছেন। তিনি বলেন, তিনি চল্লিশ —রাবী সন্দেহ করছেন অথবা সত্তর জন — কারীকে মুশরিকদের কতক লোকের নিকট পাঠান। এরা তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় এবং তাদেরকে হত্যা করে। অথচ তাদের মাঝে ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মাঝে চুক্তি ছিল। তিনি তাদের থেকে যে কষ্ট পেলেন আর কারো কাছ থেকে এত কষ্ট পেতে আমি দেখিনি।
عربي ইংরেজি উর্দু
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন সম্প্রদায়ের জন্য দো‘আ বা বদ-দো‘আ করা ছাড়া কুনূত পড়তেন না।
عربي ইংরেজি উর্দু
হে পিতা! আপনি অবশ্যই রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আবূ বকর, ‘উমার ও ‘উসমান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুম-এর পিছনে সালাত আদায় করেছেন এবং এই কুফায় ‘আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু-এর পেছনে প্রায় পাঁচ বছর সালাত আদায় করেছেন। তাঁরা কি ফজরের সালাতে দু‘আ কুনূত পড়তেন? তিনি বলেন, হে বৎস! এটা তো বিদ্আত।
عربي ইংরেজি উর্দু
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তাশাহহুদ পড়ার জন্য বসতেন তখন ডান হাত ডান উরুর ওপর এবং বাঁ হাত বাঁ উরুর ওপর রাখতেন। আর শাহাদাত আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করতেন। এই সময় তিনি বৃদ্ধাঙ্গুলি মধ্যমার সাথে সংযুক্ত করতেন এবং বাঁ হাত তার হাঁটুকে গিলে ফেলত (লোকমা বানিয়ে ধরে রাখত)।
عربي ইংরেজি উর্দু
তিনি ফজরের শেষ রাকা‘আতে রুকু‘ থেকে মাথা উঠিয়ে سَمِعَ الله لمن حَمِدَه رَبَّنا ولك الحَمْدُ বলার পর বলেন, “হে আল্লাহ তুমি অমুক অমুককে ধ্বংস কর”। তারপর আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াত নাযিল করেন, “এ বিষয়ে তোমার কোন অধিকার নেই”। আলে-ইমরান: (১২৮)
عربي ইংরেজি উর্দু
হে আল্লাহ! আইয়্যাশ ইবন আবূ রাবী‘আকে মুক্তি দাও। হে আল্লাহ! সালামাহ ইবন হিশামকে মুক্তি দাও। হে আল্লাহ! ওয়ালীদ ইবন ওয়ালীদকে রক্ষা কর। হে আল্লাহ! দুর্বল মুমিনদেরকে মুক্তি কর। হে আল্লাহ! মুযার গোত্রের ওপর তোমার শাস্তি কঠোর করে দাও। হে আল্লাহ! ইউসুফ আলাইহিস সালামের সময়ের দুর্ভিক্ষের মতো তাদেরকে করে দিন।
عربي ইংরেজি উর্দু
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকবীর কিরাত ও আলহামদু লিল্লাহ রাব্বুল আলামীন দ্বারা সালাত আরম্ভ করতেন। আর তিনি যখন রুকূ করতেন তখন তিনি মাথা ঝুকাতেন না এবং খাড়া করে রাখতেন না তবে দুইয়ের মাঝামাঝি থাকতেন।
عربي ইংরেজি উর্দু
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তাকবীর বলতেন তার দুই হাত কান বরাবর উঠাতেন, যখন রুকূ করতেন তখন দুই হাত কান বরাবর উঠাতেন এবং যখন তিনি রুকূ থেকে মাথা উঠাতেন তখন ‘সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলে একই ধরনের আমল করতেন।
عربي ইংরেজি উর্দু