+ -

عن أَبِي حَازِمِ بْن دِينَارٍ:
أَنَّ رِجَالًا أَتَوْا سَهْلَ بْنَ سَعْدٍ السَّاعِدِيَّ، وَقَدِ امْتَرَوْا فِي الْمِنْبَرِ مِمَّ عُودُهُ، فَسَأَلُوهُ عَنْ ذَلِكَ، فَقَالَ: وَاللهِ إِنِّي لَأَعْرِفُ مِمَّا هُوَ، وَلَقَدْ رَأَيْتُهُ أَوَّلَ يَوْمٍ وُضِعَ، وَأَوَّلَ يَوْمٍ جَلَسَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَرْسَلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى فُلَانَةَ -امْرَأَةٍ من الأنصار قَدْ سَمَّاهَا سَهْلٌ-: «مُرِي غُلَامَكِ النَّجَّارَ أَنْ يَعْمَلَ لِي أَعْوَادًا أَجْلِسُ عَلَيْهِنَّ إِذَا كَلَّمْتُ النَّاسَ»، فَأَمَرَتْهُ فَعَمِلَهَا مِنْ طَرْفَاءِ الْغَابَةِ، ثُمَّ جَاءَ بِهَا، فَأَرْسَلَتْ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَمَرَ بِهَا فَوُضِعَتْ هَاهُنَا، ثُمَّ رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى عَلَيْهَا وَكَبَّرَ وَهُوَ عَلَيْهَا، ثُمَّ رَكَعَ وَهُوَ عَلَيْهَا، ثُمَّ نَزَلَ الْقَهْقَرَى، فَسَجَدَ فِي أَصْلِ الْمِنْبَرِ ثُمَّ عَادَ، فَلَمَّا فَرَغَ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ فَقَالَ: «أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّمَا صَنَعْتُ هَذَا لِتَأْتَمُّوا وَلِتَعَلَّمُوا صَلَاتِي».

[صحيح] - [متفق عليه] - [صحيح البخاري: 917]
المزيــد ...

আবূ হাযিম বিন দীনার হতে বর্ণিত:
(একদিন) কিছু লোক সাহল বিন সা’দ সা’ঈদীর নিকট আগমন করে এবং মিম্বরটি কোন্ কাঠের তৈরি ছিল, এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক হলো । তারা এ সম্পর্কে তাঁর নিকট জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ! আমি সম্যকরূপে অবগত আছি যে, তা কিসের ছিল। প্রথম যেদিন তা স্থাপন করা হয় এবং প্রথম যে দিন এর উপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসেন তা আমি দেখেছি। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনসারদের অমুক মহিলার (বর্ণনাকারী বলেন, সাহল তার নামও উল্লেখ করেছিলেন) নিকট লোক পাঠিয়ে বলেছিলেন, “তোমার কাঠমিস্ত্রি গোলামকে আমার জন্য কিছু কাঠ দিয়ে এমন জিনিস তৈরি করার নির্দেশ দাও, যার উপর বসে আমি লোকদের সাথে কথা বলতে পারি”। অতঃপর সে মহিলা তাকে আদেশ করেন এবং সে (মদিনা হতে নয় মাইল দূরবর্তী) জঙ্গলের এক গাছের কাঠ দ্বারা তা তৈরি করে নিয়ে আসে। মহিলাটি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট তা পাঠিয়েছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর আদেশে এখানেই তা স্থাপন করা হয়। অতঃপর আমি দেখেছি, এর উপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত আদায় করেছেন। এর উপরেই তাকবীর দিয়েছেন এবং এর উপরেই (দাঁড়িয়ে) রুকূ’ করেছেন। অতঃপর পিছন ফিরে তা থেকে নেমে এসে মিম্বারের গোড়ায় সিজদা্ করেছেন এবং পুনরায় ফিরে সলাত শেষ করেছেন, অতঃপর সালাত শেষ করে সমবেত লোকদের দিকে ফিরে বলেছেনঃ “হে লোক সকল! আমি এটা এ জন্য করেছি যে, তোমরা যেন আমার অনুসরণ করতে এবং আমার সালাত শিখে নিতে পার”।

[সহীহ] - [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।] - [সহীহ বুখারী - 917]

ব্যাখ্যা

একবার কিছু লোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে মিম্বারটি গ্রহণ করেছিলেন সেটি কীসের তৈরি তা জিজ্ঞেস করার জন্যে একজন সাহাবীর নিকট আসলেন। তারা বিষয়টি নিয়ে তর্কাতর্কি ও বাদানুবাদ করলেন। তিনি (সাহাবী) তাদেরকে বললেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনসারদের একজন মহিলা যার একজন কাঠমিস্ত্রি গোলাম ছিল তাকে ডেকে পাঠালেন। তিনি তাকে বললেন, তোমার কাঠমিস্ত্রি গোলামকে আমার জন্য মিম্বার তৈরি করার নির্দেশ দাও, লোকদের সাথে কথা বলার সময় যার উপর আমি বসবো। মহিলাটি সাড়া দিল এবং তার গোলামকে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্যে এক গাছের কাঠ দ্বারা মিম্বার তৈরি করার নির্দেশ দিলেন। যখন সে তৈরি করল মহিলাটি নবী আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট মিম্বারটি পাঠিয়ে দিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর আদেশে মসজিদে যথাস্থানে তা রাখা হলো। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ওপর সালাত আদায় করলেন, তার ওপর তাকবীর দিলেন ও রুকু করলেন। অতঃপর চেহারা ঘুরানো ছাড়াই পিছনের দিকে নেমে আসেন এবং মিম্বারের গোড়ায় সিজদা্ করেন এবং যথাযথ পুনরায় ফিরে সালাত শেষ করে সমবেত লোকদের দিকে ঘুরে বসে বললেনঃ হে লোক সকল! আমি এটা এ জন্য করেছি যে, তোমরা যেন আমার অনুসরণ করতে এবং আমার সালাত শিখে নিতে পার।

অনুবাদ: ইংরেজি উর্দু ইন্দোনেশিয়ান উইঘুর তার্কিশ বসনিয়ান সিংহলী ইন্ডিয়ান ভিয়েতনামী তাগালোগ কুর্দি হাউসা মালয়ালাম তেলেগু সুওয়াহিলি তামিল বার্মিজ থাই পশতু অসমীয়া আলবেনি সুইডিশ আমহারিক ডাচ গুজরাটি কিরগিজ নেপালি ইউরুবা লিথুনীয় দারি সার্বিয়ান সোমালি কিনিয়ারওয়ান্ডা রোমানিয়ান চেক মালাগাসি ইতালীয় অরমো কন্নড় উজবেক ইউক্রেনীয়
অনুবাদ প্রদর্শন

হাদীসের শিক্ষা

  1. মিম্বার গ্রহণ করা ও তার ওপর খতীবের ওঠা মুস্তাহাব। তার ফায়দা হলো (আওয়াজ দূরে) পৌঁছানো ও শোনানো।
  2. শিখানোর জন্যে মিম্বারের ওপর সালাত আদায় করা বৈধ এবং প্রয়োজন হলে মুক্তাদির চেয়ে ইমামের ওপরে ওঠা বৈধ।
  3. মুসলিমদের প্রয়োজনে কারিগর ও ইঞ্জিনিয়ারের সাহায্য গ্রহণ করা বৈধ।
  4. প্রয়োজন হলে সালাতে সামান্য নড়াচড়া করা বৈধ।
  5. সালাতে মুক্তাদির ইমামের দিকে তাকানো বৈধ, যেন তারা তার কাছ থেকে শিখতে পারেন এবং এটা একাগ্রতার পরিপন্থী নয়।
আরো