عن النُّعمان بن بَشير رضي الله عنه قال: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ -وَأَهْوَى النُّعْمَانُ بِإِصْبَعَيْهِ إِلَى أُذُنَيْهِ-:
«إِنَّ الْحَلَالَ بَيِّنٌ وَإِنَّ الْحَرَامَ بَيِّنٌ، وَبَيْنَهُمَا مُشْتَبِهَاتٌ لَا يَعْلَمُهُنَّ كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ، فَمَنِ اتَّقَى الشُّبُهَاتِ اسْتَبْرَأَ لِدِينِهِ وَعِرْضِهِ، وَمَنْ وَقَعَ فِي الشُّبُهَاتِ وَقَعَ فِي الْحَرَامِ، كَالرَّاعِي يَرْعَى حَوْلَ الْحِمَى يُوشِكُ أَنْ يَرْتَعَ فِيهِ، أَلَا وَإِنَّ لِكُلِّ مَلِكٍ حِمًى، أَلَا وَإِنَّ حِمَى اللهِ مَحَارِمُهُ، أَلَا وَإِنَّ فِي الْجَسَدِ مُضْغَةً، إِذَا صَلَحَتْ صَلَحَ الْجَسَدُ كُلُّهُ، وَإِذَا فَسَدَتْ فَسَدَ الْجَسَدُ كُلُّهُ، أَلَا وَهِيَ الْقَلْبُ».
[صحيح] - [متفق عليه] - [صحيح مسلم: 1599]
المزيــد ...
নুমান ইবনু বাশীর রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: -এ সময় নু’মান রদিয়াল্লাহু ‘আনহু তাঁর দুই আঙ্গুল দ্বারা উভয় কানের দিকে ইঙ্গিত করেন-:
“নিশ্চই হালাল সুস্পষ্ট এবং হারামও সুস্পষ্ট, আর এ উভয়ের মাঝে রয়েছে বহু অস্পষ্ট বিষয়, অধিকাংশ লোকই সেগুলো জানে না। যে ব্যক্তি এ সব অস্পষ্ট বিষয় থেকে দূরে থাকে, সে তার দীন ও মর্যাদাকে নিরাপদে রাখে। আর যে লোক অস্পষ্ট বিষয়ে পতিত হবে, সে হারামের মধ্যে লিপ্ত হয়ে পড়বে। যেমন কোন রাখাল সংরক্ষিত (সরকারী) চারণভূমির আশ-পাশে পশু চরায়, আশংকা রয়েছে যে, পশু তার অভ্যন্তরে যেয়ে ঘাস খাবে। সাবধান! প্রত্যেক বাদশাহরই সংরক্ষিত এলাকা থাকে। সাবধান! আল্লাহর সংরক্ষিত এলাকা হল তার হারামকৃত বিষয়সমূহ। জেনে রাখো, দেহের মধ্যে এক টুকরা মাংস আছে। যখন তা সুস্থ থাকে, তখন সমস্ত শরীরই সুস্থ থাকে। আর যখন তা নষ্ট হয়ে যায় তখন সমস্ত শরীরই নষ্ট হয়ে যায়। মনে রেখো, তা হল ’ক্বলব’ (হৃদয়)।”
[সহীহ] - [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।] - [সহীহ মুসলিম - 1599]
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হাদীসে বস্তু হালাল-হারাম হওয়ার ব্যাপারে সাধারণ মূলনীতি বর্ণনা করেছেন। ইসলামী শরী‘আতে সকল বস্তু তিন প্রকারের হয়ে থাকে। ১। সুস্পষ্ট হালাল ২। সুস্পষ্ট হারাম ৩। হালাল-হারাম হওয়ার ব্যাপারে অস্পষ্ট , অধিকাংশ মানুষ যার হুকুম জানে না।
সুতরাং যে ব্যক্তি এসব সন্দেহজনক বিষয়সমূহ পরিহার করে, সে ব্যক্তি হারামে পতিত হওয়া থেকে দূরে থেকে তার দীনের ব্যাপারে নিরাপদ থাকে। তাছাড়া সেসব সংশয় পূর্ণ জিনিসে পতিত হওয়ার কারণে মানুষের সমালোচনা থেকে মুক্ত থেকে তার মান-সম্মানও নিরাপদ থাকে। আর যে ব্যক্তি এসব সংশয়পূর্ণ বিষয়সমূহ থেকে বিরত থাকে না, সে হয় হারামে লিপ্ত হয়ে পড়ে অথবা মানুষ (তার সমালোচনা করে) তার সম্মানহানী করে। যে ব্যক্তি সংশয়পূর্ণ বিষয়সমূহে লিপ্ত হয়, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ব্যাপারে একটি উপমা পেশ করেছেন যে, সে ব্যক্তি এমন একজন রাখালের ন্যায় যে সংরক্ষিত (সরকারী) চারণভূমির আশ-পাশে পশু চরায়। এটি সংরক্ষিত চারণভূমির অতি নিকটে হওয়ায় আশংকা রয়েছে যে, তার পশুগুলো এর অভ্যন্তরে গিয়ে ঘাস খেয়ে ফেলবে। এমনিভাবে যে ব্যক্তি সংশয়পূর্ণ বস্তুতে লিপ্ত হয়, সেও উক্ত সন্দেহজনক কাজটির মাধ্যমে হারামের অতি নিকটবর্তী হয়ে পড়ে, হতে পারে যে, সে অচিরেই হারামে নিপতিত হয়ে পড়বে। এরপরে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংবাদ দিয়েছেন যে, মানুষের দেহের মধ্যে এক টুকরা মাংস আছে, যার নাম ক্বলব (অন্তর)। শরীরের সুস্থতা এর সুস্থতার মাধ্যমেই হয়ে থাকে এবং এর অসুস্থতার মাধ্যমেই শরীর অসুস্থ হয়ে থাকে।