عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِيمَا يَحْكِي عَنْ رَبِّهِ عَزَّ وَجَلَّ، قَالَ: «أَذْنَبَ عَبْدٌ ذَنْبًا، فَقَالَ: اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي، فَقَالَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى: أَذْنَبَ عَبْدِي ذَنْبًا، فَعَلِمَ أَنَّ لَهُ رَبًّا يَغْفِرُ الذَّنْبَ، وَيَأْخُذُ بِالذَّنْبِ، ثُمَّ عَادَ فَأَذْنَبَ، فَقَالَ: أَيْ رَبِّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي، فَقَالَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى: عَبْدِي أَذْنَبَ ذَنْبًا، فَعَلِمَ أَنَّ لَهُ رَبًّا يَغْفِرُ الذَّنْبَ، وَيَأْخُذُ بِالذَّنْبِ، ثُمَّ عَادَ فَأَذْنَبَ، فَقَالَ: أَيْ رَبِّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي، فَقَالَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى: أَذْنَبَ عَبْدِي ذَنْبًا، فَعَلِمَ أَنَّ لَهُ رَبًّا يَغْفِرُ الذَّنْبَ، وَيَأْخُذُ بِالذَّنْبِ، اعْمَلْ مَا شِئْتَ فَقَدْ غَفَرْتُ لَكَ».
[صحيح] - [متفق عليه] - [صحيح مسلم: 2758]
المزيــد ...
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত,
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মহান রব থেকে বর্ণনা করে বলেছেন: “জনৈক বান্দা পাপ করে বলল, হে আমার রব! আমার পাপ মার্জনা করে দাও। তারপর আল্লাহ তা‘আলা বললেন: আমার বান্দা পাপ করেছে এবং সে জানে যে, তার একজন রব আছে, যিনি পাপ মার্জনা করেন এবং পাপের কারণে ধরেন। এ কথা বলার পর সে আবার পাপ করে এবং বলে, হে আমার রব ! আমার পাপ ক্ষমা করে দাও। তারপর আল্লাহ তা’আলা বলেন, আমার এক বান্দা পাপ করেছে এবং সে জানে যে, তার একজন রব আছে যিনি পাপ মার্জনা করেন এবং পাপের কারণে তাকে ধরবেন। তারপর সে পুনরায় পাপ করে বলে, হে আমার রব! আমার পাপ মাফ করে দাও। এ কথা শুনে আল্লাহ তা‘আলা পুনরায় বলেন, আমার বান্দা পাপ করেছে এবং সে জানে যে, তার একজন রব আছে, যিনি বান্দার পাপ মার্জনা করেন এবং পাপের কারণে পাকড়াও করেন। তারপর আল্লাহ তা’আলা বলেন, হে বান্দা! এখন যা ইচ্ছা তুমি আমল করো। আমি তোমার গুনাহ মাফ করে দিয়েছি।”
[সহীহ] - [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।] - [সহীহ মুসলিম - 2758]
এ হাদীসে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মহান রবের থেকে বর্ণনা করে বলেন, বান্দা যখন পাপ করে, অতপর বলে, হে আমার রব! আমার পাপ মার্জনা করে দাও- তখন আল্লাহ তা‘আলা বলেন: আমার বান্দা পাপ করেছে, অপতর সে জানে যে, তার একজন রব আছেন, যিনি পাপ মোচন করেন, তিনি তার পাপ গোপন রাখেন এবং মার্জনা করেন অথবা পাপের কারণে তাকে শাস্তি দেন। তখন তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। অতপর বান্দা আবার পাপ করে। অতপর সে বলে, হে আমার রব! আমার পাপ ক্ষমা করে দাও। তারপর আল্লাহ তা’আলা বলেন: আমার বান্দা পাপ করেছে এবং সে জানে যে, তার একজন রব আছে যিনি পাপ মার্জনা করেন। অতপর তিনি তার পাপ গোপন রাখেন এবং মার্জনা করেন অথবা পাপের কারণে তাকে শাস্তি দেন। তখন আল্লাহ বলেন: আমি আমার বান্দাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। তারপর সে পুনরায় পাপ করে বলে: হে আমার রব! আমার পাপ মাফ করে দাও। এ কথা শুনে আল্লাহ তা‘আলা পুনরায় বলেন, আমার বান্দা পাপ করেছে এবং সে জানে যে, তার একজন রব আছে, যিনি বান্দার পাপ মার্জনা করেন। ফলে তিনি তার পাপ গোপন রাখেন এবং মার্জনা করে দেন অথবা পাপের কারণে শাস্তি দেন। এরপর আল্লাহ বলেন: আমি আমার বান্দাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। তারপর তার এ ধরনের কর্মে আল্লাহ তা’আলা বলেন, হে বান্দা! তুমি যা ইচ্ছে আমল করো। সে এভাবেই পাপ করতে থাকে, অতপর লজ্জিত হয়ে পাপ ছেড়ে দেয় এবং পুনরায় পাপে লিপ্ত না হওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে; কিন্তু নফস তার উপর জয়ী হয়ে যায়, অতপর পুনরায় পাপে লিপ্ত হয়ে পড়ে। সে যখনই এভাবে পাপ করতে থাকবে, আবার তাওবা করবে, আল্লাহ তাকে বারবারই ক্ষমা করে দিবেন। কেননা তাওবা পূর্বের সকল গুনাহ নি:শেষ করে দেয়।
أهمية العلم بالله الذي يجعل العبد عالمًا بأمور دينه فيتوب كلّما أخطأ، فلا ييأس ولا يتمادى.فائدة