হাদীস: আমি কি তোমাকে এমন কাজে পাঠাব না, যে কাজে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে পাঠিয়েছিলেন? তা হচ্ছে: “কোন (জীবের) প্রতিকৃতি বা মূর্তি দেখলে তা মিটিয়ে দিবে এবং কোন উঁচু কবর দেখলে তা সমান করে দিবে।”
قَالَ لِي عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ: أَلَا أَبْعَثُكَ عَلَى مَا بَعَثَنِي عَلَيْهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ أَنْ لَا تَدَعَ تِمْثَالًا إِلَّا طَمَسْتَهُ، وَلَا قَبْرًا مُشْرِفًا إِلَّا سَوَّيْتَهُ.
[صحيح] - [رواه مسلم] - [صحيح مسلم: 969]
المزيــد ...
আবূল হাইয়্যাজ আল আসাদী (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন:
’আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু আমাকে বলেছেন: আমি কি তোমাকে এমন কাজে পাঠাব না, যে কাজে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে পাঠিয়েছিলেন? তা হচ্ছে: “কোন (জীবের) প্রতিকৃতি বা মূর্তি দেখলে তা মিটিয়ে দিবে এবং কোন উঁচু কবর দেখলে তা সমান করে দিবে।”
[সহীহ] - [এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।] - [সহীহ মুসলিম - 969]
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবীদেরকে বিভিন্ন অঞ্চলে প্রেরণ করে আদেশ করতেন: তারা যেন কোন জীবের প্রতিকৃতি - রূহ বিশিষ্ট প্রাণীর প্রতিকৃতি বা মূর্তি- দেখলে তা সরিয়ে ফেলে বা মুছে ফেলে।
এমনিভাবে কোন উঁচু কবর দেখলে তা যেন তারা জমিনের সাথে সমান করে দেয় এবং কবরের উপর নির্মিত উঁচু স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলে অথবা এমনভাবে সমতল করবে যা জমিন থেকে তেমন উঁচু হবে না; বরংেএক বিঘত পরিমান উঁচু হতে পারে।
হাদীসের শিক্ষা
- প্রাণীর প্রতিকৃতি করা হারাম। কেননা এগুলো শিরকের মাধ্যম।
- যার হাতের দ্বারা অন্যায় দূর করার ক্ষমতা আছে তাকে হাতের দ্বারা অন্যায় দূর করার বৈধতা এ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।
- প্রতিকৃতি, প্রতিমা তৈরি ও কবরের উপর স্থাপনা নির্মাণ ইত্যাদি জাহেলী যুগের নিদর্শনসমূহ দূর করার ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের গুরুত্ব হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।
تحريم التصوير ووجوب إزالة الصور ومحوها بجميع أنواعها.ما ادري
تحريم التصوير ووجوب إزالة الصور ومحوها بجميع أنواعها.لا افهم هل الرأس فقط ؟
حرص النبي صلى الله عليه على إزالة كل ما يدل على آثار الجاهلية، من التصاوير والتماثيل والأبنية على القبور.ناقص: وسلم
আরো
- হাদীস: ইয়াহুদী ও খৃস্টানদের ওপর আল্লাহর অভিসম্পাত, তারা তাদের নবীদের সমাধিসমূহকে উপাসনালয়ে পরিণত করেছে।’’ তারা যা করেছে তা থেকে তিনি সতর্ক করছিলেন। যদি তা না হতো তার কবরকে প্রকাশ করা হতো। তবে তিনি আশঙ্কা করছিলেন যে, তার কবরকে সেজদার স্থান বানানো হতে পারে।
- হাদীস: ‘আমি সমস্ত অংশীদারদের অংশীদারি [শিরক] থেকে মুক্ত। যদি কেউ এমন আমল করে যাতে সে আমার সাথে অন্য কাউকে শরীক করেছে, তাহলে আমি তাকে ও তার শির্ককে বর্জন করি।
- হাদীস: তোমাদের কাউকে খলীল (বন্ধু) হিসেবে গ্রহণ করা থেকে আমি আল্লাহর কাছে মুক্ত। কেননা আল্লাহ তাআলা আমাকে খলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন। যেমন তিনি ইবরাহীম আলাইহিস সালামকে খলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন। আর আমি যদি আমার উম্মত থেকে কাউকে খলীল হিসেবে গ্রহণ করতাম তাহলে অবশ্যই আবু বকরকে খলীল হিসেবে গ্রহণ করতাম।
- হাদীস: তোমরা আমার বিষয়ে বাড়াবাড়ি করো না, যেমনটি খৃষ্টানরা ইবন মারইয়্যাম সম্পর্কে বাড়াবাড়ি করেছে। আমি কেবল বান্দা। তাই তোমরা বল, আল্লাহর বান্দা ও তার রাসূল।
- হাদীস: আপনার সুপারিশ দ্বারা কে বেশি সৌভাগ্যবান? তিনি বললেন, যে ব্যক্তি তার অন্তর থেকে একনিষ্ঠভাবে বলে লাইলাহা ইল্লাল্লাহ (আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোনো ইলাহ নেই)।
- হাদীস: যে ব্যক্তি সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ ছাড়া (সত্য) কোনো উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই, আর মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল এবং ঈসা আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল, আর তাঁর বাণী যা তিনি মারইয়ামের মধ্যে নিক্ষেপ করেছেন এবং তাঁর রূহ। আর জান্নাত সত্য ও জাহান্নাম সত্য। তাকে আল্লাহ তাআলা জান্নাতে প্রবেশ করাবেন; তাতে সে যে কর্মই করে থাকুক না কেন।
- হাদীস: যে ব্যক্তি এ অবস্থায় মারা গেল যে, সে আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো শরীককে ডাকে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।