عَنْ أَنَسٍ رضي الله عنه قَالَ:
كَانَ أَكْثَرُ دُعَاءِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اللَّهُمَّ رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً، وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً، وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ».
[صحيح] - [متفق عليه] - [صحيح البخاري: 6389]
المزيــد ...
আনাস রদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন:
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সবচেয়ে বেশি পড়া দো‘আ হলো,«اللَّهُمَّ رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً، وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً، وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ» “হে আমাদের রব, আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দিন। আর আখিরাতেও কল্যাণ দিন এবং আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করুন।”
[সহীহ] - [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।] - [সহীহ বুখারী - 6389]
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রায়শই সংক্ষিপ্ত ও বিস্তৃতভাব সম্পন্ন ব্যাপক দুআ পড়তেন, যার মধ্যে নিম্নলিখিত দুআ অন্যতম: "اللهم ربنا آتنا في الدنيا حسنة، وفي الآخرة حسنة، وقنا عذاب النار" “হে আল্লাহ! হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দিন এবং আখিরাতেও কল্যাণ দিন। আর আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করুন।” এই দু‘আর মধ্যে শামিল করে দুনিয়ার যাবতীয় কল্যাণ, যেমন আনন্দ দায়ক প্রশস্ত ও হালাল রিযিক, নেককার স্ত্রী, চক্ষু শীতলকারী ও অন্তর প্রশান্তকারী সন্তান, উপকারী জ্ঞান, নেক আমল ইত্যাদি প্রিয় ও বৈধ চাহিদাসমূহ । আর আখিরাতের কল্যাণকর জিনিসগুলোর মধ্যে রয়েছে কবরের শাস্তি থেকে মুক্তি, কিয়ামতের দিনে (মহান রবের সামনে) দণ্ডায়মান ও জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন, চিরস্থায়ী সুখ (জান্নাত) এবং পরম করুণাময় রবের নৈকট্য অর্জন করে সফলতা লাভ ।