عَن أَبِي أُمَامَةَ رضي الله عنه قَالَ: سَمِعْتَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ فِي حَجَّةِ الوَدَاعِ فَقَالَ:
«اتَّقُوا اللَّهَ رَبَّكُمْ، وَصَلُّوا خَمْسَكُمْ، وَصُومُوا شَهْرَكُمْ، وَأَدُّوا زَكَاةَ أَمْوَالِكُمْ، وَأَطِيعُوا ذَا أَمْرِكُمْ تَدْخُلُوا جَنَّةَ رَبِّكُمْ».
[صحيح] - [رواه الترمذي وأحمد] - [سنن الترمذي: 616]
المزيــد ...
আবূ উমামাহ রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বিদায় হজের খুতবায় বলতে শুনেছি:
“তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করো, তোমাদের পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করো। তোমাদের রামাযান মাসের সাওম পালন করো, তোমাদের ধন-দৌলতের যাকাত আদায় করো এবং তোমাদের প্রশাসকগণের আনুগত্য করো, তবেই তোমাদের রবের জান্নাতে প্রবেশ করবে।”
[সহীহ] - - [সুনানে তিরমিযি - 616]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দশম হিজরিতে বিদায় হজে আরাফার দিনে খুতবা দিলেন। এ হজকে বিদায় হজ বলে নামকরণ করা হয়; কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হজেই মানুষকে বিদায় জানিয়েছিলেন। তিনি সকল মানুষকে তাদের রবের আদেশ মান্য করে এবং তাঁর নিষেধসমূহ থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে আল্লাহকে ভয় করতে আদেশ করেন। আল্লাহ দিনে রাতে যে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন, তা যেন তারা আদায় করে। তাছাড়া তিনি তাদেরকে রমযান মাসের সাওম পালন করতে, যাকাতের হকদারদেরকে সম্পদের যাকাত দিতে এবং এ ব্যাপারে কৃপণতা না করতে আদেশ করেন। আল্লাহ যাদেরকে তাদের কর্তৃত্বের অধিকারী বানিয়েছেন তাদের আনুগত্য করতে তিনি আদেশ করেন। যে ব্যক্তি উপরোক্ত কাজগুলো করবে, তার প্রতিদান হলো জান্নাতে প্রবেশ।