হাদীস: যে ফজরের সালাত পড়ল সে আল্লাহর নিরাপত্তায় থাকবে। সুতরাং আল্লাহ তা‘আলা যেন তার নিরাপত্তার ব্যাপারে তোমাদেরকে পাকড়াও না করেন।
عن جندب بن عبد الله رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : «مَنْ صَلَّى صلاةَ الصُّبْحِ فهو في ذِمَّةِ اللهِ فلا يَطْلُبَنَّكُمُ اللهُ مِنْ ذِمَّتِهِ بِشَيْءٍ، فَإِنَّهُ مَنْ يَطْلُبْهُ مِنْ ذِمَّتِهِ بِشَيْءٍ يُدْرِكْهُ، ثُمَّ يَكُبُّهُ على وَجْهِهِ في نَارِ جَهَنَّمَ».
[صحيح] - [رواه مسلم]
المزيــد ...
জুনদুব ইবন আব্দুল্লাহ- রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু- থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "c2">“যে ব্যক্তি ফজরের সালাত পড়ল সে আল্লাহর নিরাপত্তায় থাকবে। সুতরাং আল্লাহ তা‘আলা তা‘আলা যেন তার নিরাপত্তার ব্যাপারে তোমাদেরকে পাকড়াও না করেন। কেননা আল্লাহ তা‘আলা যাকে তার নিরাপত্তার কারণে পাকড়াও করবেন তাকে ধরে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।”
সহীহ - এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।
যে ব্যক্তি ফজরের সালাত পড়ল সে আল্লাহর চুক্তিতে চলে গেল। যেন সে আল্লাহর সাথে চুক্তি করল যে কেউ তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। সুতরাং কারো পক্ষে তাকে কষ্ট দেওয়া বৈধ নয়। কারণ, তাকে কষ্ট দেওয়া আল্লাহর ওপর সীমালঙ্ঘন করার শামিল এবং সেই নিরাপত্তা চুক্তি ভঙ্গ করা, যা তিনি ফজর সালাত আদায়কারীকে দিয়েছেন। আর যে আল্লাহর অঙ্গীকার ভঙ্গ করে এবং তার ওপর বাড়াবাড়ি করে সে নিজেকে আল্লাহর সাথে যুদ্ধ করার জন্য পেশ করল। আল্লাহর নিরাপত্তা ও আশ্রয়প্রাপ্ত কাউকে কষ্ট দেয়া হলে অল্লাহ তার পক্ষ হতে প্রতিশোধ নেন।
হাদীসের শিক্ষা
- ফজরের সালাতের গুরুত্ব ও ফযীলতের বর্ণনা।
- যে ফজরের সালাত আদায় করল, তাকে কোনো প্রকার কষ্ট দেওয়া বিষয়ে কঠিন সতর্কতা।
- আল্লাহর বিধান ও তার নিষিদ্ধ বিষয় সমূহের হিফাযত করা আল্লাহ কর্তৃক বান্দার হিফাযত ও তার সাহায্য লাভের কারণ হয়।
শ্রেণিবিন্যাসসমূহ
আরো
- হাদীস: মুনাফিকদের ওপর সবচেয়ে কঠিন সালাত হলো, ইশা ও ফজরের সালাত। তারা যদি এ দুই সালাতের ফযিলত সম্পর্কে জানতো তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাতে উপস্থিত হতো। আর আমি ইচ্ছা করেছি যে, সালাত আদায় করার আদেশ দিব ও ইকামাত দেয়া হবে তারপর একজনকে বলব যেন সে মানুষদের নিয়ে সালাত আদায় করে। অতঃপর আমি কতক মানুষ যাদের সাথে থাকবে লাকড়ির বোঝা তাদেরকে নিয়ে সেসব লোকদের কাছে যাবো যারা সালাতে উপস্থিত হয় না এবং তাদের ওপর তাদের বাড়িঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিব।
- হাদীস: পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, এক জুমু‘আ থেকে আরেক জুমু‘আ এবং এক রামাযান থেকে আরেক রামাযান এর মধ্যবর্তী সময়ের জন্য কাফফারা হয়ে যায়, যদি কবীরা গুনাহ থেকে বিরত থাকা হয়।
- হাদীস: ফরজসমূহের উপর যথেষ্ট করা।
- হাদীস: পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক
- হাদীস: আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল! মহান আল্লাহর নিকট কোন্ কাজটি সর্বাধিক প্রিয়?’ তিনি বললেন, “যথা সময়ে সালাত আদায় করা।” আমি নিবেদন করলাম, ‘তারপর কোনটি?’ তিনি বললেন, “মা-বাপের সাথে সদ্ব্যবহার করা।”
- হাদীস: নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাতে সালাত কায়েম, যাকাত আদায় ও প্রতিটি মুসলমানের মঙ্গল কামনা করার শর্তে আমি বায়আত করেছি।’
- হাদীস: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সর্বোত্তম সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো, তিনি বললেন, “দীর্ঘ কিয়ামযুক্ত সালাত।”