+ -

عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ رضي الله عنه عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ:
«إِنَّ الدُّنْيَا حُلْوَةٌ خَضِرَةٌ، وَإِنَّ اللهَ مُسْتَخْلِفُكُمْ فِيهَا، فَيَنْظُرُ كَيْفَ تَعْمَلُونَ، فَاتَّقُوا الدُّنْيَا وَاتَّقُوا النِّسَاءَ، فَإِنَّ أَوَّلَ فِتْنَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ كَانَتْ فِي النِّسَاءِ».

[صحيح] - [رواه مسلم] - [صحيح مسلم: 2742]
المزيــد ...

আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
“দুনিয়া হচ্ছে সুমিষ্ট ও সবুজ-শ্যামল এবং আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে তাতে প্রতিনিধি করেছেন। অত:পর তিনি দেখবেন তোমরা কিভাবে আমল করো? সুতরাং তোমরা দুনিয়ার ব্যাপারে সাবধান হও এবং সাবধান হও নারীজাতির ব্যাপারে। কারণ বনী ইসরাইলের প্রথম ফিতনা ছিল নারীদের মাধ্যমে।”

[সহীহ] - [এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।] - [সহীহ মুসলিম - 2742]

ব্যাখ্যা

নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করেছেন যে, নিশ্চয়ই দুনিয়ার স্বাদ হচ্ছে সুমিষ্ট এবং দেখতে সবুজ-শ্যামল। ফলে মানুষ এর ধোঁকায় পড়ে যায়, এটি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে এবং এটিকে তার সবচেয়ে বড় উদ্বেগ করে তোলে। আর আল্লাহ তা‘আলা আমাদের পরস্পরকে এ দুনিয়াতে প্রতিনিধি বানিয়েছেন, যাতে তিনি দেখে নিতে পারেন যে, আমরা কিভাবে আমল করি? আমরা কী তাঁর আনুগত্য করি, নাকি তাঁর অবাধ্য হই? অতএব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: দুনিয়ার ভোগ-বিলাস ও এর সৌন্দর্য তোমাদের ধোঁকায় ফেলার থেকে সতর্ক হও, অন্যথায় আল্লাহ যা আদেশ করেছন তা পরিত্যাগ করা এবং যা নিষেধ করেছেন তাতে পতিত হওয়ার প্রতি তোমাদেরকে তা উৎসাহী করে তুলবে। আর দুনিয়াতে সবচেয়ে গুরুতর সাবধানতার বিষয় হলো নারী জাতির ফিতনা। কারণ, এটি প্রথম ফিতনা যাতে বনী ইসরাইল লিপ্ত হয়েছিল।

অনুবাদ: ইংরেজি উর্দু স্পানিস ইন্দোনেশিয়ান উইঘুর ফরাসি তার্কিশ রুশিয়ান বসনিয়ান সিংহলী ইন্ডিয়ান চাইনিজ ফার্সি ভিয়েতনামী তাগালোগ কুর্দি হাউসা পর্তুগীজ মালয়ালাম তেলেগু সুওয়াহিলি থাই জার্মানি পশতু অসমীয়া আলবেনি সুইডিশ আমহারিক ডাচ গুজরাটি কিরগিজ নেপালি ইউরুবা লিথুনীয় দারি সার্বিয়ান সোমালি কিনিয়ারওয়ান্ডা রোমানিয়ান চেক الموري মালাগাসি অরমো কন্নড় الولوف আজারী ইউক্রেনীয় الجورجية
অনুবাদ প্রদর্শন

হাদীসের শিক্ষা

  1. হাদীসে সর্বদা তাকওয়া অবলম্বনের ব্যাপারে এবং দুনিয়ার বাহ্যিক রূপ-সৌন্দর্যের মধ্যে ব্যস্ত না হতে উৎসাহিত করা হয়েছে।
  2. নারী জাতির ফিতনা যেমন, তাদের দিকে তাকানো, পর নারী-পুরুষের একত্রে মেলামেশা অথবা এরূপ অন্যান্য ফিতনা থেকে সাবধান করা হয়েছে।
  3. দুনিয়াতে নারী জাতির ফিতনা হচ্ছে সবচেয়ে মারাত্মক ফিতনা।
  4. পূর্ববর্তী উম্মতের দ্বারা ওয়াজ ও নসীহাহ গ্রহণ করা। সুতরাং যে ফিতনা বনী ইসরাঈলদের মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল, সে ফিতনা অন্যদের মধ্যেও সংঘটিত হতে পারে।
  5. স্বামীর জন্যে নারীর ফিতনা হলো সে স্বামীকে তার সাধ্যের বাইরে ভরণপোষণে বাধ্য করে। ফলে তাকে দ্বীনের কাজকর্ম পালন করা থেকে বিরত রাখে এবং তাকে দুনিয়ার সাধনা হাসিলে ধ্বংসাত্মক কাজে ব্যস্ত রাখে। আর পরনারীর ফিতনা বলতে সে পুরুষদের প্রলোভনে ফেলে এবং তাকে সত্য থেকে তাদেরকে বিচ্যুতিতে প্রলুব্ধ করে, যদি নারীরা ঘরের বাইরে যায় এবং পুরুষদের সাথে মিশে, বিশেষ করে যখন তারা খোলামেলা পোষাকে নিজেকে সুশোভিত করে বাহিরে যায়। এগুলো কখনো কখনো যিনায় পতিত করে। সুতরাং মুমিনদের উচিত আল্লাহকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরা এবং নারীর ফিতনা থেকে নাজাত পেতে তাঁর কাছে আশ্রয় চাওয়া।
আরো