عن أبي هريرة رضي الله عنه أن النبي صلى الله عليه وسلم قال: « رَغِمَ أنْفُ، ثم رَغِمَ أنْفُ، ثم رَغِمَ أنْفُ من أدرك أبويه عند الكِبر، أحدهما أو كِليهما فلم يدخل الجنة».
[صحيح] - [رواه مسلم]
المزيــد ...
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফু‘ সূত্রে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “সে ব্যক্তির নাক ধূলায় মলিন হোক, সে ব্যক্তির নাক ধূলায় মলিন হোক, সে ব্যক্তির নাক ধূলায় মলিন হোক, যে ব্যক্তি তার পিতামাতা উভয়কে কিংবা একজনকে বার্ধক্যাবস্থায় পেল; অথচ সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারল না ।”
[সহীহ] - [এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
পিতামাতার হক একটি মহান দায়িত্ব। আল্লাহ তাঁর হকের সাথে তাদের হক মিলিত করেছেন। যেহেতু তিনি তাদের মাধ্যমে জিন্ন ও ইনসানকে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ বলেছেন, “তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো, তাঁর সাথে কিছু শরীক করো না এবং পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করো।” (সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৩৬) অতঃএব পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা এবং কথা ও কাজে তাদের প্রতি সদয় আচরণ করার নির্দেশ আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে দিয়েছেন, সন্তানদেরকে সে অসিয়াত করেছেন এবং তাদের থেকে এ বিষয়ে অঙ্গিকারও নিয়েছেন; কেননা তারা সন্তানের লালনপালন করেছেন, তাদেরকে শিক্ষা-দীক্ষা দিয়েছেন, তাদের সুখ-শান্তির জন্য রাতদিন জাগ্রত ছিলেন। সুতরাং ইহসানের বিনিময় কি শুধু ইহসানই নয়? হাদীসের অর্থ হলো, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনবার সে ব্যক্তির জন্য বদ-দো‘আ করেছেন যে তার পিতামাতা দু’জনকে অথবা তাদের একজনকে জীবিত অবস্থায় পেল অথচ তাদের সাথে সদাচরণ, ইহসান ও ন্যায়-সঙ্গত কাজে তাদের আনুগত্য করে জান্নাতে যেতে পারল না। সুতরাং পিতামাতার আনুগত্য, তাদের সাথে সদ্ব্যবহার, তাদের প্রতি ইহসান করা জাহান্নাম থেকে মুক্তির উপায়। পক্ষান্তরে তাদের অবাধ্য হওয়া জাহান্নামে যাওয়ার কারণ -যদি আল্লাহর রহমত প্রাপ্ত না হয়।