হাদীস: সংক্রমণ বলতে কোন কিছু নেই এবং কুলক্ষণও নেই। তবে আমকে খুশি করে ফাল (শুভ লক্ষণ)। তারা বলল, ফাল কি? তিনি বললেন, ভালো কথা।
«لَا عَدْوَى، وَلَا طِيَرَةَ، وَيُعْجِبُنِي الْفَأْلُ» قَالَ قِيلَ: وَمَا الْفَأْلُ؟ قَالَ: «الْكَلِمَةُ الطَّيِّبَةُ».
[صحيح] - [متفق عليه] - [صحيح مسلم: 2224]
المزيــد ...
আনান ইবন মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে মারফূ‘ হিসেবে বর্ণিত: সংক্রমণ বলতে কোন কিছু নেই এবং কুলক্ষণও নেই। তবে আমকে খুশি করে ফাল (শুভ লক্ষণ)। তারা বলল, ফাল কি? তিনি বললেন, ভালো কথা।
[সহীহ] - [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
যেহেতু উপকার ও ক্ষতি সবই আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত এ কারণে হাদীসটিতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংক্রমণের প্রভাব ও অশুভ লক্ষণকে অস্বীকার করেছেন। আর তিনি শুভ লক্ষণকে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং তাকে তিনি ভালো বলে আখ্যায়িত করেছেন। কারণ, শুভ লক্ষণ হলো কুসংস্কার ও অশুভ লক্ষণের বিপরীতে আল্লাহর প্রতি ভালো ধারণা করা এবং উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সাহসিকতার জোগানদাতা। মোট কথা শুভ লক্ষণ ও অশুভ লক্ষণের মাঝে একাধিক পার্থক্য রয়েছে, তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে: ১- শুভ লক্ষণ আনন্দদায়ক বিষয়সমূহে হয়। আর অশুভ লক্ষণ কেবল এমন বিষয় সমূহে হয় যা কষ্ট দেয়। ২- শুভ লক্ষণে রয়েছে আল্লাহর প্রতি ভালো ধারণা করা। আর বান্দা আল্লাহর প্রতি ভালো ধারণা রাখতে আদিষ্ট। আর অশুভ লক্ষণে রয়েছে আল্লাহর প্রতি খারাপ ধারণা পোষণ। আর আল্লাহর প্রতি খারাপ ধারণা করতে বান্দাকে নিষেধ করা হয়েছে।
হাদীসের শিক্ষা
আরো
- হাদীস: ইয়াহুদী ও খৃস্টানদের ওপর আল্লাহর অভিসম্পাত, তারা তাদের নবীদের সমাধিসমূহকে উপাসনালয়ে পরিণত করেছে।’’ তারা যা করেছে তা থেকে তিনি সতর্ক করছিলেন। যদি তা না হতো তার কবরকে প্রকাশ করা হতো। তবে তিনি আশঙ্কা করছিলেন যে, তার কবরকে সেজদার স্থান বানানো হতে পারে।
- হাদীস: ‘আমি সমস্ত অংশীদারদের অংশীদারি [শিরক] থেকে মুক্ত। যদি কেউ এমন আমল করে যাতে সে আমার সাথে অন্য কাউকে শরীক করেছে, তাহলে আমি তাকে ও তার শির্ককে বর্জন করি।
- হাদীস: তোমাদের কাউকে খলীল (বন্ধু) হিসেবে গ্রহণ করা থেকে আমি আল্লাহর কাছে মুক্ত। কেননা আল্লাহ তাআলা আমাকে খলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন। যেমন তিনি ইবরাহীম আলাইহিস সালামকে খলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন। আর আমি যদি আমার উম্মত থেকে কাউকে খলীল হিসেবে গ্রহণ করতাম তাহলে অবশ্যই আবু বকরকে খলীল হিসেবে গ্রহণ করতাম।
- হাদীস: তোমরা আমার বিষয়ে বাড়াবাড়ি করো না, যেমনটি খৃষ্টানরা ইবন মারইয়্যাম সম্পর্কে বাড়াবাড়ি করেছে। আমি কেবল বান্দা। তাই তোমরা বল, আল্লাহর বান্দা ও তার রাসূল।
- হাদীস: আপনার সুপারিশ দ্বারা কে বেশি সৌভাগ্যবান? তিনি বললেন, যে ব্যক্তি তার অন্তর থেকে একনিষ্ঠভাবে বলে লাইলাহা ইল্লাল্লাহ (আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোনো ইলাহ নেই)।
- হাদীস: যে ব্যক্তি সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ ছাড়া (সত্য) কোনো উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই, আর মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল এবং ঈসা আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল, আর তাঁর বাণী যা তিনি মারইয়ামের মধ্যে নিক্ষেপ করেছেন এবং তাঁর রূহ। আর জান্নাত সত্য ও জাহান্নাম সত্য। তাকে আল্লাহ তাআলা জান্নাতে প্রবেশ করাবেন; তাতে সে যে কর্মই করে থাকুক না কেন।
- হাদীস: যে ব্যক্তি এ অবস্থায় মারা গেল যে, সে আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো শরীককে ডাকে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।