عن حارثة بن وهب رضي الله عنه مرفوعًا: «ألا أُخْبِركم بأهل الجنة؟ كلُّ ضعيفٍ مُتَضَعَّفٍ، لو أقسم على الله لَأَبَرَّهُ، ألا أُخْبِركم بأهل النار؟ كُلُّ عُتُلٍّ جَوَّاظٍ مُسْتَكْبِرٍ».
[صحيح] - [متفق عليه]
المزيــد ...
হারিসা ইবনে ওয়াহব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফু হিসেবে বর্ণিত, আমি কি তোমাদেরকে অবহিত করবো না যে, কারা জান্নাতী হবে? যারা দুর্বল এবং যাদেরকে দুর্বল মনে করা হয়। যদি সে আল্লাহর ওপর কসম করে তিনি সেটা অবশ্যই বাস্তবায়ন করবেন। আমি কি তোমাদের অবহিত করবো না যে, কারা জাহান্নামী হবে? প্রত্যেক অবাধ্য, আহাম্মক ও দাম্ভিক ব্যক্তি দোযখে যাবে।
[সহীহ] - [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
কতক জান্নাতীদের কিছু গুণাগুণ হলো, মানুষ দুর্বল হবে এবং তাকে দুর্বল মনে করা হবে। অর্থাৎ তার সম্মান ও ক্ষমতার প্রতি গুরত্ব দেওয়া হবে না। অথবা দুনিয়াতে উচ্চ মর্যাদার জন্য চেষ্টা করবে কিন্তু সে নিজে দূর্বল এবং অন্যরা তাকে দুর্বল মনে করবে। যদি সে কোন বস্তুর ওপর সপথ করে তখন আল্লাহ তা তার জন্য সহজ করে দেয়, যাতে সে যার ওপর সপথ করেছে তা বাস্তবায়িত হয়। আর জাহান্নামী হলো, তাদের মধ্যে প্রত্যেক কঠোর ব্যক্তি, মন্দ স্বভাব ও দাম্ভিক যে হকের প্রতি অনুগত নয়। আর সে ব্যক্তি যে মাল একত্র করে এবং তাতে যে যাকাত ওয়াজিব হয় তা প্রদানে বিরত থাকে। আর যে অহংকার বশত হককে প্রত্যাখ্যান করে এবং মানুষের ওপর বড়াই করে। হাদীসটি (জান্নাত ও জাহান্নামীদের) এ গুনগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ করার জন্য নয় বরং হাদীসটি উভয় দলের কতক গুণাগুণ বর্ণনা করার জন্য।