أَنَّ فَاطِمَةَ رَضيَ اللهُ عنْها أَتَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَشْكُو إِلَيْهِ مَا تَلْقَى فِي يَدِهَا مِنَ الرَّحَى، وَبَلَغَهَا أَنَّهُ جَاءَهُ رَقِيقٌ، فَلَمْ تُصَادِفْهُ، فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لِعَائِشَةَ، فَلَمَّا جَاءَ أَخْبَرَتْهُ عَائِشَةُ، قَالَ: فَجَاءَنَا وَقَدْ أَخَذْنَا مَضَاجِعَنَا، فَذَهَبْنَا نَقُومُ، فَقَالَ: «عَلَى مَكَانِكُمَا» فَجَاءَ فَقَعَدَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا، حَتَّى وَجَدْتُ بَرْدَ قَدَمَيْهِ عَلَى بَطْنِي، فَقَالَ: «أَلاَ أَدُلُّكُمَا عَلَى خَيْرٍ مِمَّا سَأَلْتُمَا؟ إِذَا أَخَذْتُمَا مَضَاجِعَكُمَا -أَوْ أَوَيْتُمَا إِلَى فِرَاشِكُمَا- فَسَبِّحَا ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ، وَاحْمَدَا ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ، وَكَبِّرَا أَرْبَعًا وَثَلاَثِينَ، فَهُوَ خَيْرٌ لَكُمَا مِنْ خَادِمٍ».
[صحيح] - [متفق عليه] - [صحيح البخاري: 5361]
المزيــد ...
’আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত:
একদা ফাতিমাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা যাঁতা ব্যবহারে তাঁর হাতে যে কষ্ট পেতেন তার অভিযোগ নিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আসলেন। তাঁর কাছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট দাস আসার খবর পৌঁছে ছিল। কিন্তু তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে পেলেন না। তখন তিনি তাঁর অভিযোগ ’আয়িশাহর ( রা.) কাছে বললেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে আসলে ’আয়িশাহ (রা.) তাঁকে জানালেন। ’আলী রা. বলেনঃ রাতে আমরা যখন শুয়ে পড়েছিলাম, তখন তিনি আমাদের কাছে আসলেন। আমরা উঠতে চাইলাম, কিন্তু তিনি বললেনঃ তোমরা উভয়ে নিজ স্থানে থাক। তিনি এসে আমার ও ফাতিমার মাঝখানে বসলেন। এমনকি আমি আমার পেটে তাঁর দুপায়ের শীতলতা উপলব্ধি করলাম। তারপর তিনি বললেনঃ “তোমরা যা চেয়েছ তার চেয়ে কল্যাণকর বিষয় সম্পর্কে তোমাদের কি জানাবো না? তোমরা যখন তোমাদের শয্যাস্থানে যাবে, অথবা বললেনঃ তোমরা যখন তোমাদের বিছানায় আশ্রয় নিবে, তখন তেত্রিশবার ’সুবহানাল্লাহ’,তেত্রিশবার ’আল্ হাম্দুলিল্লাহ’ এবং চৌত্রিশবার ’আল্লাহু আকবার’ বলবে। এটা খাদিম অপেক্ষা তোমাদের জন্য অধিক কল্যাণদায়ক”।
[সহীহ] - [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।] - [সহীহ বুখারী - 5361]
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কন্যা ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহা যাঁতা ব্যবহারের ফলে হাতে যে কষ্ট পেতেন তার অভিযোগ করলেন। যখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে বন্দীরা আসল সেই বন্দীদের থেকে একজন খাদিম চাইতে তিনি তাঁর নিকট গেলেন, যাতে সে তার জায়গায় গৃহস্থালির কাজ করতে পারে, কিন্তু তিনি তাঁকে তাঁর বাড়িতে পেলেন না। তিনি আয়েশা রা.কে পেলেন, তাই তাকে এ ব্যাপারে জানালেন। যখন তিনি সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এলেন, আয়েশা রা. তাঁকে জানান যে ফাতিমা তাঁর কাছে একজন খাদিম চাইতে এসেছেন। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাতিমা এবং আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুমার কাছে এলেন, যখন তারা ঘুমের জন্য বিছানায় শুয়েছিলেন, তখন তিনি তাদের মধ্যে বসলেন যে আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের দুই পায়ের শীতলতা তার পেটের ওপর অনুভব করলেন। আর তিনি বললেন: তোমরা আমার কাছে তোমাদেরকে খাদিম দেওয়ার যে চাহিদা পেশ করেছ তার চেয়ে আমি উত্তম জিনিস তোমাদেরকে শিক্ষা দেব না? তারা বলল, অবশ্যই, তখন তিনি সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: যখন রাতে ঘুমের জন্য তোমরা তোমাদের বিছানা গ্রহণ করবে তখন ‘আল্লাহু আকবার’ বলে চৌত্রিশ বার তাকবীর বলবে। আর ‘সুবহানাল্লাহ’ বলে তেত্রিশ বার তাসবীহ পাঠ করবে। এবং ‘আল-হামদুলিল্লাহ’ বলে তেত্রিশ বার তাহমীদ পাঠ করবে। আর এই জিকির তোমাদের জন্য খাদিমের চেয়ে উত্তম।