عن عُقْبَة بن عامر رضي الله عنه قال: قلت: يا رسول الله ما النَّجَاة؟ قال: «أَمْسِكْ عليك لِسَانَكَ، وَلْيَسَعْكَ بَيتُك، وابْكِ على خَطِيئَتِكَ».
[صحيح] - [رواه الترمذي وأحمد]
المزيــد ...
উকবা ইবন আমের রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! নাজাত কিসের মধ্যে নিহিত? তিনি বললেন, “তুমি তোমার যবানকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখো, তোমার ঘর যেন তোমার জন্যে যথেষ্ট হয় আর স্বীয় গুনাহের জন্য ক্রন্দন কর।”
[সহীহ] - [এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]
এ হাদীসে উকবা ইবন আমের রাদিয়াল্লাহু আনহু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পরকালে নাজাত কিসে নিহিত, সে সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছেন। আর পরকালীন মুক্তি লাভ করার আগ্রহ প্রত্যেক মুসলিমের চরম লক্ষ্য হওয়া চাই। তিনি তাকে বললেন, “তুমি তোমার যবানকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখো”। অর্থাৎ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে নিজের যবান নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখার উপদেশ দিয়েছেন। কেননা যবানের ক্ষতি ভয়াবহ এবং এর অকল্যাণ প্রচুর। সুতরাং মুসলিমের উচিত স্বীয় যবানকে হিফাযত করা এবং আখিরাতের জন্য কল্যাণকর না হলে অযথা কথা বলা থেকে বিরত থাকা। “তোমার ঘর যেন তোমাকে ঘিরে রাখে” অর্থাৎ মানুষ স্বীয় ঘরে অবস্থান করবে এবং বিনা প্রয়োজন তার থেকে বের হবে না। তাতে অবস্থান করাকে বিরক্তিকর মনে করবে না; বরং এটিকে বিশেষ গনীমত মনে করবে। কেননা এটি ফিতনা ও অনিষ্ট থেকে পরিত্রাণের পথ। “আর স্বীয় গুনাহের জন্য ক্রন্দন কর।” অর্থাৎ সম্ভব হলে ক্রন্দন করো। আর কান্না না আসলে তোমার পাপের অনুশোচনায় কান্নার ভান করো। আর তোমার থেকে যা সংঘটিত হয়ে গেছে সেজন্য আল্লাহর কাছে তাওবা কর। কেননা আল্লাহ তা‘আলা তার বান্দার তাওবা কবুল করেন এবং তার গুনাহসমূহ মাফ করেন।