عن عائشة رضي الله عنها قالت: «كان النبي صلى الله عليه وسلم يذكر الله على كل أحْيَانِه».
[صحيح] - [رواه مسلم والبخاري معلقا. للفائدة: التعليق حذف الإسناد]
المزيــد ...

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন, "c2">“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বাবস্থায় আল্লাহর যিকির করতেন।”
সহীহ - এটি বুখারী মু‘আল্লাক হাদীসরূপে দৃঢ় বাক্য দ্বারা বর্ণনা করেছেন।

ব্যাখ্যা

হাদীসটির অর্থ: "c2">“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর যিকির করতেন” অর্থাৎ তাসবীহ, তাহমীদ, তাহলীল, তাকবীর সব ধরনের যিকিরই তিনি করতেন। তিনি কুরআন তিলাওয়াত করতেন। কারণ, কুরআনও আল্লাহর যিকির। বরং তা সব ধরনের যিকিরের মধ্যে উত্তম যিকির। "c2">“সর্বাবস্থায়” অর্থাৎ তিনি সব সময় যিকির করতেন, যদিও তিনি ছোট নাপাক বা বড় নাপাক অবস্থায় থাকতেন। তবে আলেমগণ জুনুবি (গোসল ফরয হওয়া) অবস্থায় আল্লাহর যিকির থেকে কুরআন তিলাওয়াত করাকে বাদ রেখেছেন। সুতরাং জুনুবি ব্যক্তির জন্য কখনো কুরআন তিলাওয়াত করা বৈধ নয়। দেখেও পড়া যাবে না এবং মুখস্থও না। কারণ, আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে হাদীস বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যতক্ষণ নাপাক না হতেন আমাদের কুরআন পড়াতেন। সূত্র: আহমাদ ও সুনানে আরবা‘আ। তবে ঋতুবতী ও প্রসূতি নারীদের তার সাথে সম্পৃক্ত করা যাবে কিনা এ ব্যাপারে আলেমদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। তবে গ্রহণযোগ্য মত হলো, তাদের জন্য না দেখে মুখস্থ কুরআন পড়া যাবে। কারণ, তাদের সময় দীর্ঘ। আর তাদের বিষয়টি তাদের নিয়ন্ত্রণে নয় যেমনটি নাপাক ব্যক্তির বিষয়টি তার নিয়ন্ত্রণে। "c2">“সর্বাবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত বৈধ” নীতি থেকে বাদ যাবে পেশাব-পায়খানা করার সময়, সহবাস করার সময় এবং যে সব স্থান কুরআনের মর্যাদা রক্ষার উপযুক্ত নয় যেমন গোসল খানা, পেশাব-পায়খানার স্থান ইত্যাদি নাপাক স্থানসমূহ।

অনুবাদ: ইংরেজি ফরাসি স্পানিস তার্কিশ উর্দু ইন্দোনেশিয়ান বসনিয়ান চাইনিজ ফার্সি তাগালোগ ইন্ডিয়ান ভিয়েতনামী সিংহলী উইঘুর কুর্দি হাউসা পর্তুগীজ মালয়ালাম তেলেগু সুওয়াহিলি তামিল বার্মিজ থাই জার্মানি জাপানিজ পশতু অসমীয়া আলবেনি السويدية الأمهرية الهولندية الغوجاراتية الدرية
অনুবাদ প্রদর্শন

হাদীসের শিক্ষা

  1. আল্লাহর যিকিরের জন্য ছোট ও বড় নাপাকি থেকে পবিত্রতা অর্জন করা শর্ত নয়। সুতরাং একজন মুসলিমের জন্য আল্লাহর তাসবীহ, তাহমীদ, তাহলীল ও ইস্তেগফার করা এবং গোসল ফরয না হওয়া পর্যন্ত কুরআন তিলাওয়াত করা বৈধ। কারণ, এ বিষয়ে সুন্নাহ বর্ণিত আছে।
  2. হাদীসটির ব্যাপকতা প্রমাণ করে যে, ঋতুবতী ও প্রসুতি নারীর জন্য কুরআন তিলাওয়াত করা বৈধ। তবে তা স্পর্শ করবে না। বরং মোজা ইত্যাদির আড়াল থেকে ধরবে।
  3. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বদা আল্লাহর যিকিরের ওপর থাকতেন।
  4. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াাসাল্লামের অবস্থা সম্পর্কে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা জানতেন।