عن عبد الله بن سلام رضي الله عنه قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: «يَا أَيُّهَا النَّاسُ، أَفْشُوا السَّلَامَ وَصِلُوا الْأَرْحَامَ، وَأَطْعِمُوا الطَّعَامَ، وَصَلُّوا بِاللَّيْلِ وَالنَّاسُ نِيَامٌ، تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ بِسَلَامٍ».
[صحيح] - [رواه الترمذي وابن ماجه وأحمد والدارمي]
المزيــد ...
আব্দুল্লাহ ইবন সালাম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, “হে লোকসকল! তোমরা পরস্পর সালাম বিনিময় করো, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখো, খাবার খেতে দাও এবং রাতের বেলা মানুষ যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন সালাত পড়ো। তাহলে তোমরা নিরাপদে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।”
[সহীহ] - [এটি ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। - এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন। - এটি দারিমী বর্ণনা করেছেন]
উপরোক্ত হাদীসে চারটি প্রশংসনীয় ও সুন্দর গুণ সম্পর্কে উৎসাহ ও দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। যে ব্যক্তি এসব গুণে গুণান্বিত হবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। সেগুলো হলো, পরস্পর বেশি করে সালাম বিনিময় করা, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা, মানুষকে খাদ্য খাওয়ানো এবং রাতের বেলায় মানুষ যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করা। পরস্পরের মধ্যে সালামের প্রচলন মানে তোমরা বেশি বেশি সালাম প্রচার-প্রসার ও প্রকাশ করো, যাদের খাদ্য প্রয়োজন তাদের খাদ্য দাও, যেমন তোমার পরিবার-পরিজন, ছেলে-মেয়ে এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকে। আর মানুষ যখন রাতের বেলায় ঘুমিয়ে থাকে তখন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য যখন কেউ তাহাজ্জুদের সালাতে দাঁড়ায়, তখন তাঁর বাণী কুরআন তিলাওয়াত ও দো‘আর মাধ্যমে তাঁর নৈকট্য অর্জনে তাঁর সমীপে বিনয়ী হয়, তবে সেটি সর্বোত্তম আমলের অন্যতম। উপরোক্ত আমলসমূহের কারণে সে বিনা শাস্তিতে এবং আযাব ব্যতীত নিরাপদে জান্নাতে প্রবেশ করবে।