عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
«إِنَّ أَوَّلَ زُمْرَةٍ يَدْخُلُونَ الجَنَّةَ عَلَى صُورَةِ القَمَرِ لَيْلَةَ البَدْرِ، ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ عَلَى أَشَدِّ كَوْكَبٍ دُرِّيٍّ فِي السَّمَاءِ إِضَاءَةً، لاَ يَبُولُونَ وَلاَ يَتَغَوَّطُونَ، وَلاَ يَتْفِلُونَ وَلاَ يَمْتَخِطُونَ، أَمْشَاطُهُمُ الذَّهَبُ، وَرَشْحُهُمُ المِسْكُ، وَمَجَامِرُهُمْ الأَلُوَّةُ الأَنْجُوجُ، عُودُ الطِّيبِ وَأَزْوَاجُهُمُ الحُورُ العِينُ، عَلَى خَلْقِ رَجُلٍ وَاحِدٍ، عَلَى صُورَةِ أَبِيهِمْ آدَمَ، سِتُّونَ ذِرَاعًا فِي السَّمَاءِ».
[صحيح] - [متفق عليه] - [صحيح البخاري: 3327]
المزيــد ...
আবূ হুরাইরা রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
“সর্বপ্রথম যে দল জান্নাতে প্রবেশ করবে তাদের মুখমণ্ডল হবে পূর্ণিমার রাতের চন্দ্রের মত উজ্জ্বল। অতঃপর যে দল তাদের অনুগামী হবে তাদের মুখমণ্ডল হবে আকাশের সর্বাধিক দীপ্তিমান উজ্জ্বল তারকার ন্যায়। তারা পেশাব করবে না, পায়খানা করবে না। তাদের থুথু ফেলার প্রয়োজন হবে না এবং তাদের নাক হতে শ্লেষ্মও বের হবে না। তাদের চিরুনি হবে স্বর্ণের তৈরি। তাদের ঘাম হবে মিস্কের মত সুগন্ধযুক্ত। তাদের ধনুচি (১) হবে সুগন্ধযুক্ত চন্দন কাষ্ঠের। বড় চক্ষু বিশিষ্ট হুরগণ হবেন তাদের স্ত্রী। তাদের সকলের দেহের গঠন হবে একই। তারা সবাই তাদের আদি পিতা আদম আলাইহিস সালামের আকৃতিতে হবেন। উচ্চতায় তাদের দেহের দৈর্ঘ্য হবে ষাট হাত।
[সহীহ] - [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।] - [সহীহ বুখারী - 3327]
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, জান্নাতে প্রবেশকারী প্রথম দলটি হবে যাদের চেহারা পূর্ণিমার চাঁদের মতো উজ্জ্বল হবে। তারপর তাদের পরবর্তী দলটি হবে আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো। তাদের মধ্যে কোনো ত্রুটি থাকবে না, তারা প্রস্রাব বা পায়খানা করবে না, থুতু ফেলবে না বা নাক ঝাড়বে না। তাদের চিরুনি হবে সোনার তৈরি, তাদের ঘাম হবে মিস্কের সুগন্ধযুক্ত, এবং তাদের ধূপদানি থেকে সবচেয়ে সুগন্ধি ধূপের সুবাস বের হবে। তাদের স্ত্রীরা হবে ডাগর চক্ষু বিষিষ্ট হুর, তাদের সৃষ্টি হবে একই রকম, তাদের দৈর্ঘ্য ও আকৃতি হবে তাদের পিতা আদম আলাইহিস সালামের মতো, যার দৈর্ঘ্য আকাশে ষাট হাত।