শ্রেণিবিন্যাস: . . .
+ -
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:

«إِذَا شَكَّ أَحَدُكُمْ فِي صَلَاتِهِ، فَلَمْ يَدْرِ كَمْ صَلَّى ثَلَاثًا أَمْ أَرْبَعًا، فَلْيَطْرَحِ الشَّكَّ، وَلْيَبْنِ عَلَى مَا اسْتَيْقَنَ، ثُمَّ يَسْجُدُ سَجْدَتَيْنِ قَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ، فَإِنْ كَانَ صَلَّى خَمْسًا شَفَعْنَ لَهُ صَلَاتَهُ، وَإِنْ كَانَ صَلَّى إِتْمَامًا لِأَرْبَعٍ كَانَتَا تَرْغِيمًا لِلشَّيْطَانِ».
[صحيح] - [رواه مسلم] - [صحيح مسلم: 571]
المزيــد ...

আবু সাঈদ আল-খুদরী রদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন:
“তোমাদের কারো সালাতে যদি সন্দেহ হয়—কত রাকা‘আত পড়ছে তিন নাকি চার তা জানে না, সে যেন সন্দেহ পরিহার করে প্রবল ধারণার উপর ভিত্তি করে। তারপর সালামের পূর্বে দু’টি (সাহু) সাজদাহ করবে। যদি সে পাঁচ রাকা‘আত পড়ে থাকে তাহলে তা তার সালাতকে জোড় করবে। আর যদি সালাত চার রাকা‘আত পূর্ণ করার জন্য আদায় করে থাকে, তাহলে সাজদাহ দু’টি হবে শয়তানের জন্য নাকে খত দেয়ার মত অপ্রীতিকর।”

[সহীহ] - [এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।] - [সহীহ মুসলিম - 571]

ব্যাখ্যা

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করেছেন যে, সালাত আদায়কারী ব্যক্তি যখন তার সালাতের মধ্যে সন্দেহে পড়ে যায়, আর সে মনে করতে পারে না যে, সে কত রাকাত সালাত আদায় করেছে, তিন রাকাত নাকি চার রাকাত? তখন সে সন্দিহান অতিরিক্ত রাকাত সংখ্যা গ্রহণ করা থেকে দূরে থাকবে; [যেমন] তিন হচ্ছে নিশ্চিত রাকাত সংখ্যা, সুতরাং সে চতুর্থ রাকাত আদায় করবে এবং সালাম ফিরানোর আগে দুটি সাজদা করবে।
যদি সে প্রকৃতপক্ষে চার রাকাত পড়ে থাকে, তাহলে এক রাকাত যুক্ত হওয়ায় তা পাঁচ রাকাত হয়ে যাবে, আর সাহু সাজদা দুটি এক রাকাতের পরিবর্তে ধর্তব্য হবে, আর তাতে সংখ্যা জোড় হয়ে যাবে, বিজোড় থাকবে না। আর যদি অতিরিক্ত রাকাতটি আদায় করার মাধ্যমে চার রাকাত হয়ে যায়, তবে কোন বাড়তি-কমতি ছাড়াই তার উপরে যতটুকু ফরয ছিল তা আদায় হয়ে যাবে।
সাহুর দুটি সাজদা শয়তানের জন্য লাঞ্ছনা ও অপমানসূচক দন্ড হিসেবে কাজ করে। এর মাধ্যমে তাকে তার উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন থেকে দূরে সরিয়ে অসম্মানের সাথে প্রত্যাখ্যান করা হয়। কারণ সে তার সালাতকে সন্দেহযুক্ত করেছিল, এবং তা নষ্ট করার জন্য সন্দেহে নিপতিত করেছিল। অথচ আদাম সন্তানের সালাত সম্পন্ন হয়ে গেল যখন সে আল্লাহ তা‘আলার সাজদা করার আদেশ মেনে নিল, যে সাজদা ইবলিস অস্বীকার করে অবাধ্য হয়েছিল, যখন আদামকে সিজদার মাধ্যমে আল্লাহর আদেশ পালনে সে অসম্মত হয়েছিল।

হাদীসের শিক্ষা

  1. সালাত আদায়কারী যখন সালাতে সন্দেহে নিপতিত হয় আর তার কাছে কোন দিকই প্রাধান্য পায় না, তখন সে সন্দেহের প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করে নিশ্চিয়তার ভিত্তিতে আমল করবে, এটি হচ্ছে কম সংখ্যা ধরে নেওয়া। এভাবে সে তার সালাত সমাপ্ত করবে, আর সালাম ফিরানোর আগে দুটি সাহু সাজদা দিয়ে সালাম ফিরাবে।
  2. এই দুটি সাজদা হল সালাতের ক্ষতিপূরণের উপায় এছাড়াও শয়তানকে তার উদ্দেশ্য থেকে বিতাড়িত করে অপমানিত ও লাঞ্ছিত অবস্থায় প্রত্যাখ্যান করার পথ।
  3. হাদীসে উল্লেখিত উক্ত সন্দেহ হল কোন প্রাধান্য ছাড়াই দ্বিধান্বিত হওয়া, সুতরাং যদি সন্দেহ থাকে এবং তার কোন একটি প্রাধান্য পায় তবে তার উপর আমল করা হবে।
  4. শরী‘আহর নির্দেশ মেনে ওয়াসওয়াসার বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং এর দিকে ভ্রুক্ষেপ না করার প্রতি উৎসাহ প্রদান।
অনুবাদ: ইংরেজি উর্দু স্পানিস ইন্দোনেশিয়ান ফরাসি তার্কিশ রুশিয়ান বসনিয়ান সিংহলী ইন্ডিয়ান চাইনিজ ফার্সি ভিয়েতনামী তাগালোগ কুর্দি হাউসা পর্তুগীজ মালয়ালাম তেলেগু সুওয়াহিলি পশতু অসমীয়া সুইডিশ আমহারিক ডাচ গুজরাটি কিরগিজ নেপালি ইউরুবা লিথুনীয় দারি সার্বিয়ান সোমালি কিনিয়ারওয়ান্ডা রোমানিয়ান হাঙ্গেরিয়ান চেক الموري মালাগাসি অরমো কন্নড় الولوف আজারী ইউক্রেনীয় الجورجية المقدونية
অনুবাদ প্রদর্শন
শ্রেণিবিন্যাসসমূহ
  • . .
আরো