عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضيَ اللهُ عنهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ:
«لَوْ يَعْلَمُ النَّاسُ مَا فِي النِّدَاءِ وَالصَّفِّ الْأَوَّلِ ثُمَّ لَمْ يَجِدُوا إِلَّا أَنْ يَسْتَهِمُوا عَلَيْهِ لَاسْتَهَمُوا، وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي التَّهْجِيرِ لَاسْتَبَقُوا إِلَيْهِ، وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي الْعَتَمَةِ وَالصُّبْحِ لَأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا».
[صحيح] - [متفق عليه] - [صحيح مسلم: 437]
المزيــد ...
আবূ হুরাইরাহ্ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
“লোকেরা যদি আযান দেয়া ও সালাতের প্রথম কাতারে কী (ফযীলত) রয়েছে জানত, অতঃপর তা অর্জন করতে লটারির বিকল্প না পেত, তাহলে অবশ্যই তারা লটারি করত।” যোহরের সালাত আউয়াল ওয়াক্তে আদায় করার মধ্যে কী (ফযীলত) রয়েছে, যদি তারা জানত, তাহলে তারা এর জন্য প্রতিযোগিতা করত। আর ইশা ও ফজরের সালাত জামা’আতে আদায়ের কী ফযীলত তা যদি তারা জানত, তাহলে নিঃসন্দেহে হামাগুঁড়ি দিয়ে হলেও তারা উপস্থিত হত।”
[সহীহ] - [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।] - [সহীহ মুসলিম - 437]
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: মানুষ যদি জানত যে আযান ও প্রথম কাতারে নামাজ পড়ার মধ্যে কতটা ফযীলত, কল্যাণ ও বরকত রয়েছে, আর এগুলোর অগ্রাধিকার বা প্রাধান্য দেওয়ার কোনো উপায় না পেয়ে যদি লটারির মাধ্যমে নির্ধারণ করতে হত (কে প্রথম কাতার পাবে), তাহলে তারা অবশ্যই লটারির আশ্রয় নিত। আর যদি তারা নামাজের প্রথম ওয়াক্তে (সময় হওয়ার সাথে সাথেই) তাড়াতাড়ি নামাজে আসার ফযীলত জানত, তাহলে তারা একে অপরের আগে সালাতে উপস্থিত হওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করত। আর যদি তারা এশা ও ফজরের নামাজের সাওয়াবের পরিমাণ জানত, তাহলে তারা হামাগুড়ি দিয়ে হলেও (শিশুর মতো কষ্ট স্বীকার করেও) এ দুটি নামাজ আদায়ের চেষ্টা করত।