عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ المؤْمِنين رَضيَ اللهُ عنها قَالَتْ:
جَاءَتْنِي مِسْكِينَةٌ تَحْمِلُ ابْنَتَيْنِ لَهَا، فَأَطْعَمْتُهَا ثَلَاثَ تَمَرَاتٍ، فَأَعْطَتْ كُلَّ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا تَمْرَةً، وَرَفَعَتْ إِلَى فِيهَا تَمْرَةً لِتَأْكُلَهَا، فَاسْتَطْعَمَتْهَا ابْنَتَاهَا، فَشَقَّتِ التَّمْرَةَ الَّتِي كَانَتْ تُرِيدُ أَنْ تَأْكُلَهَا بَيْنَهُمَا، فَأَعْجَبَنِي شَأْنُهَا، فَذَكَرْتُ الَّذِي صَنَعَتْ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «إِنَّ اللهَ قَدْ أَوْجَبَ لَهَا بِهَا الْجَنَّةَ، أَوْ أَعْتَقَهَا بِهَا مِنَ النَّارِ».
[صحيح] - [رواه مسلم] - [صحيح مسلم: 2630]
المزيــد ...
উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন:
এক মিসকীন মহিলা তার দু’টি কন্যাকে (কোলে) বহন ক’রে আমার কাছে এল। আমি তাকে তিনটি খুরমা দিলাম। অতঃপর সে তার কন্যা দু’টিকে একটি একটি ক’রে খুরমা দিল এবং সে নিজে খাবার জন্য একটি খুরমা মুখ-পর্যন্ত তুলল। কিন্তু তার কন্যা দু’টি সেটিও খেতে চাইল। সুতরাং মহিলাটি যে খেজুরটি নিজে খেতে ইচ্ছা করেছিল, সেটিকে দু’ভাগে ভাগ ক’রে তাদের মধ্যে বন্টন ক’রে দিল। সুতরাং তার (এ) অবস্থা আমাকে মুগ্ধ করল। তাই আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট মহিলাটির ঘটনা বর্ণনা করলাম। নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: “নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য তার এ কাজের বিনিময়ে জান্নাত ওয়াজেব ক’রে দিয়েছেন অথবা তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত ক’রে দিয়েছেন।”
[সহীহ] - [এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।] - [সহীহ মুসলিম - 2630]
মুমিনদের মা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেছেন যে, একজন দরিদ্র মহিলা দুটি কন্যা কোলে নিয়ে তার কাছে কিছু প্রার্থনা করল। তিনি তাকে তিনটি খেজুর খেতে দিলেন। সে তার দুই মেয়েকে একটি করে খেজুর দিল আর নিজে খাওয়ার জন্য মুখে একটি খেজুর তুলে নিল। তখন তার দুই মেয়ে সে যেটি খাওয়ার ইচ্ছে করেছিল সেটি তার কাছে চাইল, তাই সে তাদের মধ্যে খেজুরটি ভাগ করে দিল। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা তার অবস্থা দেখে মুগ্ধ হলেন এবং তিনি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে তার আচরণের কথা উল্লেখ করলেন। তিনি বললেন: এই খেজুর এর বিনিময়ে আল্লাহ তাকে জান্নাত অবধারিত করে দিয়েছেন, অথবা এর মাধ্যমে তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়েছেন।