হাদীস: তিনি হাজরে আসওয়াদে এসেছেন ও তাকে চুম্বন করেছেন। আর তিনি বললেন, আমি অবশ্যই জানি তুমি একটি পাথর না উপকার করতে পার, আর না অপকার? আমি যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তোমাকে চুম্বন করতে না দেখতাম, তাহলে আমি তোমাকে চুম্বন করতাম না।
عن عمر بن الخطاب رضي الله عنه «أنَّه جَاء إِلى الحَجَر الأَسوَدِ، فَقَبَّلَه، وقال: إِنِّي لَأَعلَم أَنَّك حَجَرٌ، لا تَضُرُّ ولا تَنفَعُ، ولَولاَ أَنِّي رَأَيتُ النبيَّ -صلَّى الله عليه وسلَّم- يُقَبِّلُك مَا قَبَّلتُك».
[صحيح] - [متفق عليه]
المزيــد ...
উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, “তিনি হাজরে আসওয়াদে এসেছেন ও তাকে চুম্বন করেছেন। আর তিনি বললেন, আমি অবশ্যই জানি তুমি একটি পাথর না উপকার করতে পার, আর না অপকার? আমি যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তোমাকে চুম্বন করতে না দেখতাম, তাহলে আমি তোমাকে চুম্বন করতাম না”।
[সহীহ] - [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
শরী‘আতের অনুমোদন ছাড়া সরাসরি আল্লাহর ইবাদত হিসেবে কোন স্থান বা সময় ইত্যাদি কখনোই পবিত্র বা সম্মানিত হতে পারে না। এ কারণেই উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু হাজরে আসওয়াদের নিকট এসে তাকে এমন সব হাজীগণের সামনে চুম্বন করলেন যারা এখনো মুর্তি পুজা ও সম্মানের সাথে পরিচিত। আর তিনি বর্ণনা করলেন যে, তিনি এ পাথরকে তার নিজের পক্ষ থেকে চুম্বন বা সম্মান করেননি অথবা এ জন্য করেননি যে তার দ্বারা কোন উপকার বা ক্ষতি হবে। বরং তা করেছেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যিনি শরী‘আত প্রণেতা তার পক্ষ থেকে ইবাদত হিসেবে। তিনি তাকে চুম্বন করতে দেখেছেন তাই তার অনুসরণ ও অনুকরণে তাকে চুম্বন করলেন। নিজের মতামত বা আবিষ্কার হিসেবে করেননি।
শ্রেণিবিন্যাসসমূহ
আরো
- হাদীস: তোমাদের কাউকে খলীল (বন্ধু) হিসেবে গ্রহণ করা থেকে আমি আল্লাহর কাছে মুক্ত। কেননা আল্লাহ তাআলা আমাকে খলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন। যেমন তিনি ইবরাহীম আলাইহিস সালামকে খলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন। আর আমি যদি আমার উম্মত থেকে কাউকে খলীল হিসেবে গ্রহণ করতাম তাহলে অবশ্যই আবু বকরকে খলীল হিসেবে গ্রহণ করতাম।
- হাদীস: একদা আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খিদমতে ছিলাম। এমন সময় একজন লোক আমাদের কাছে এসে হাযির হলেন। তাঁর পরিধানের কাপড় ছিল সা’দা ধবধবে, মাথার কেশ ছিল কাল কুচকুচে। তাঁর মধ্যে সফরের কোনো চিহ্ন ছিল না। আমরা কেউ তাঁকে চিনি না।
- হাদীস: হে আমার বান্দারা! আমি অত্যাচারকে আমার নিজের ওপর হারাম করেছি এবং তোমাদের মাঝেও তা হারাম করেছি। সুতরাং তোমরাও একে অপরের প্রতি অত্যাচার করো না। হে আমার বান্দারা! তোমরা সকলেই পথভ্রষ্ট; কিন্তু সে নয় যাকে আমি সঠিক পথ দেখিয়েছি। অতএব, তোমরা আমার নিকট সঠিক পথ চাও আমি তোমাদেরকে সঠিক পথ দেখাব।
- হাদীস: নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা অত্যাচারীকে অবকাশ দেন। অতঃপর যখন তিনি তাকে পাকড়াও করেন, তখন তাকে ছাড়েন না।
- হাদীস: আমি তোমাদেরকে আল্লাহভীতি এবং (আমীরের) কথা শোনা ও তার আনুগত্য করার উপদেশ দিচ্ছি; যদিও তোমাদের উপর কোন নিগ্রো দাস আমীর হয়। (স্মরণ রাখ) তোমাদের মধ্যে যে আমার পর জীবিত থাকবে, সে অনেক মতভেদ বা অনৈক্য দেখবে। সুতরাং তোমরা আমার সুন্নাত ও সুপথপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশেদীনের রীতিকে আঁকড়ে ধর এবং তা মাড়ির দাঁত দিয়ে মজবুত করে ধর।
- হাদীস: নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনসার সম্পর্কে বলেছেন, “তাদেরকে কেবলমাত্র মু’মিনই ভালোবাসে এবং তাদের প্রতি কেবলমাত্র মুনাফিকই বিদ্বেষ রাখে। যে ব্যক্তি তাদেরকে ভালবাসবে, আল্লাহও তাকে ভালবাসবেন। আর যে ব্যক্তি তাদের প্রতি বিদ্বেষ রাখবে, আল্লাহও তার প্রতি বিদ্বেষ রাখবেন।
- হাদীস: তুমি তাঁর কাছে যাও এবং তাকে বল, তুমি জাহান্নামীদের অন্তর্ভুক্ত নও, বরং তুমি জান্নাতীদের অন্তর্ভুক্ত”।