سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «قَالَ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى: يَا ابْنَ آدَمَ إِنَّكَ مَا دَعَوْتَنِي وَرَجَوْتَنِي غَفَرْتُ لَكَ عَلَى مَا كَانَ فِيكَ وَلاَ أُبَالِي، يَا ابْنَ آدَمَ لَوْ بَلَغَتْ ذُنُوبُكَ عَنَانَ السَّمَاءِ ثُمَّ اسْتَغْفَرْتَنِي غَفَرْتُ لَكَ، وَلاَ أُبَالِي، يَا ابْنَ آدَمَ إِنَّكَ لَوْ أَتَيْتَنِي بِقُرَابِ الأَرْضِ خَطَايَا ثُمَّ لَقِيتَنِي لاَ تُشْرِكُ بِي شَيْئًا لأَتَيْتُكَ بِقُرَابِهَا مَغْفِرَةً».
[حسن] - [رواه الترمذي] - [سنن الترمذي: 3540]
المزيــد ...
আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “হে আদম সন্তান! যখন তুমি আমাকে ডাকবে ও আমার ক্ষমার আশা রাখবে, আমি তোমাকে ক্ষমা করব, তোমার অবস্থা যাই হোক না কেন; আমি কোনো পরোয়া করি না। হে আদম সন্তান! তোমার গোনাহ যদি আকাশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়, অতঃপর তুমি আমার নিকট ক্ষমা চাও, তবুও আমি তোমাকে ক্ষমা করব; আমি কোনো পরোয়া করি না। হে আদম সন্তান! তুমি যদি পৃথিবী পরিমাণ পাপ নিয়ে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ কর; কিন্তু আমার সঙ্গে কাউকে শরীক না করে থাক, তাহলে পৃথিবী পরিমাণ ক্ষমা নিয়ে আমি তোমার নিকট উপস্থিত হব।”
[হাসান] - [এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন। - এটি দারিমী বর্ণনা করেছেন]
এ হাদীসটি আল্লাহর রহমত, করম ও অনুগ্রহ যে কত ব্যাপক তার ওপর প্রমাণস্বরূপ। যেসব কারণসমূহ দ্বারা মানুষ ক্ষমা লাভ করে তা এ হাদীসে বর্ণনা করা হয়েছে। আর তা হলো দো‘আ ও ইস্তেগফার। আর এ দু’টি কারণকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে তাওহীদের সাথে। সুতরাং যে ব্যক্তি তাওহীদে বিশ্বাসী হয়ে আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করবে, তাকে তার ক্ষমা চাওয়া ও দো‘আ উপকার করবে। আর শির্কের সাথে দো‘আ ইত্যাদি কোনো কিছুই উপকারে আসবে না।
الذنوب ثلاثة أنواع: الأول: الشرك بالله؛ وهذا لا يغفره الله، قال الله عز وجل: {إنه من يشرك بالله فقد حرم الله عليه الجنة}، الثاني: ظلم العبد نفسه فيما بينه وبين ربه من ذنوب ومعاصي؛ فإن الله عز وجل يغفر ذلك، ويتجاوز إن شاء، الثالث: ذنوب لا يترك الله منها شيئًا؛ وهي ظلم العباد بعضهم بعضًا، فلا بد من القصاص.لاشيء