عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ:
«مَنْ أَصَابَ حَدًّا فَعُجِّلَ عُقُوبَتَهُ فِي الدُّنْيَا فَاللَّهُ أَعْدَلُ مِنْ أَنْ يُثَنِّيَ عَلَى عَبْدِهِ العُقُوبَةَ فِي الآخِرَةِ، وَمَنْ أَصَابَ حَدًّا فَسَتَرَهُ اللَّهُ عَلَيْهِ وَعَفَا عَنْهُ فَاللَّهُ أَكْرَمُ مِنْ أَنْ يَعُودَ فِي شَيْءٍ قَدْ عَفَا عَنْهُ».
[حسن] - [رواه الترمذي وابن ماجه] - [سنن الترمذي: 2626]
المزيــد ...
আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
“কোন ব্যক্তি হাদযোগ্য অপরাধ করলে এবং দুনিয়াতেই তার উপর হাদ্দ কার্যকর হলে আল্লাহ তা’আলা তার বান্দাকে পরকালে আবার শাস্তি দেয়ার ব্যাপারে অবশ্যই ন্যায়বিচারক। আর কোন ব্যক্তি হাদ্দযোগ্য অপরাধ করলে, আল্লাহ তা’আলা তার অপরাধ গোপন রাখলে এবং ক্ষমা করলে তিনি তাকে ক্ষমা করার পর আবার শাস্তি দেয়ার ব্যাপারে অবশ্যই অধিক দয়াপরবশ”।
[হাসান] - [رواه الترمذي وابن ماجه] - [সুনানে তিরমিযি - 2626]
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব্যাখ্যা করেছেন যে, যে ব্যক্তি এমন পাপ করে যার জন্য শরয়ী শাস্তির প্রয়োজন হয়, যেমন ব্যভিচার এবং চুরি। আর তাকে শাস্তি দেওয়া হয় এবং এই পৃথিবীতে তার উপর শাস্তি প্রয়োগ করা হয়, তাহলে সেই শাস্তি তার পাপ মুছে ফেলবে এবং আখেরাতে তার শাস্তি দূর করবে। কারণ আল্লাহ এতটাই উদার ও করুণাময় যে তাঁর বান্দার জন্য দুটি শাস্তি একত্রিত করতে পারেন না। আর যাকে আল্লাহ এই পৃথিবীতে লুকিয়ে রাখেন এবং সেই পাপের জন্য শাস্তি না দেন, আর আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন, তাহলে আল্লাহ তা‘আলা এতটাই উদার এবং করুণাময় যে তিনি ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং মাফ করে দিয়েছেন এমন পাপের জন্য পুনরায় তাকে শাস্তি দিবেন না।