عَنْ عُثْمَانَ الشَّحَّامِ، قَالَ: انْطَلَقْتُ أَنَا وَفَرْقَدٌ السَّبَخِيُّ إِلَى مُسْلِمِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ وَهُوَ فِي أَرْضِهِ، فَدَخَلْنَا عَلَيْهِ فَقُلْنَا: هَلْ سَمِعْتَ أَبَاكَ يُحَدِّثُ فِي الْفِتَنِ حَدِيثًا؟ قَالَ: نَعَمْ، سَمِعْتُ أَبَا بَكْرَةَ رضي الله عنه يُحَدِّثُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
«إِنَّهَا سَتَكُونُ فِتَنٌ، أَلَا ثُمَّ تَكُونُ فِتْنَةٌ الْقَاعِدُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ الْمَاشِي فِيهَا، وَالْمَاشِي فِيهَا خَيْرٌ مِنَ السَّاعِي إِلَيْهَا، أَلَا فَإِذَا نَزَلَتْ أَوْ وَقَعَتْ فَمَنْ كَانَ لَهُ إِبِلٌ فَلْيَلْحَقْ بِإِبِلِهِ، وَمَنْ كَانَتْ لَهُ غَنَمٌ فَلْيَلْحَقْ بِغَنَمِهِ، وَمَنْ كَانَتْ لَهُ أَرْضٌ فَلْيَلْحَقْ بِأَرْضِهِ»، قَالَ فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللهِ أَرَأَيْتَ مَنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ إِبِلٌ وَلَا غَنَمٌ وَلَا أَرْضٌ؟ قَالَ: «يَعْمِدُ إِلَى سَيْفِهِ فَيَدُقُّ عَلَى حَدِّهِ بِحَجَرٍ، ثُمَّ لِيَنْجُ إِنِ اسْتَطَاعَ النَّجَاءَ، اللهُمَّ هَلْ بَلَّغْتُ؟ اللهُمَّ هَلْ بَلَّغْتُ؟ اللهُمَّ هَلْ بَلَّغْتُ؟»، قَالَ: فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللهِ أَرَأَيْتَ إِنْ أُكْرِهْتُ حَتَّى يُنْطَلَقَ بِي إِلَى أَحَدِ الصَّفَّيْنِ، أَوْ إِحْدَى الْفِئَتَيْنِ، فَضَرَبَنِي رَجُلٌ بِسَيْفِهِ، أَوْ يَجِيءُ سَهْمٌ فَيَقْتُلُنِي؟ قَالَ: «يَبُوءُ بِإِثْمِهِ وَإِثْمِكَ، وَيَكُونُ مِنْ أَصْحَابِ النَّارِ».
[صحيح] - [رواه مسلم] - [صحيح مسلم: 2887]
المزيــد ...
উসমান আশ-শাহহাম (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ও ফারকাদ সাবাখী মুসলিম ইবনু আবূ বকরাহ (রহ.) এর নিকট গেলাম এমতাবস্থায় যে, তিনি তার স্বীয় ভূমিতে বসা ছিলেন। তার নিকট প্রবেশ করলাম। আমরা তাকে প্রশ্ন করলাম, আপনি কি আপনার আব্বাকে ফিতনা সম্পর্কে কোন হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছেন? জবাবে তিনি বললেন, হ্যাঁ! আমি আবূ বকরাহ রদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে এ কথা বর্ণনা করতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
“অচিরেই ফিতনা দেখা দিবে। জেনে রাখ, এটার পর নানা ধরনের ফিতনা এসে পড়বে। সে সময় বসা অবস্থায় থাকা ব্যক্তি চলমান ব্যক্তির তুলনায় উত্তম এবং চলমান ব্যক্তি উক্ত ফিতনার দিকে দ্রুতগামী ব্যক্তির তুলনায় উত্তম। সাবধান যখন ফিতনাহ আপতিত হবে অথবা সংঘটিত হবে, এমতাবস্থায় যে ব্যক্তি উটের মালিক সে তার উট নিয়ে ব্যস্ত থাকুক। আর যার বকরী আছে সে তার বকরী নিয়ে ব্যস্ত থাকুক এবং যার জমিন আছে সে তার জমিন নিয়ে ব্যস্ত থাকুক। এ কথা শুনে তখন জনৈক লোক বলল, হে আল্লাহর রাসূল! যার উট, বকরী ও জমিন কিছুই নেই, সে কি করবে? জবাবে তিনি বললেন: “সে তার তরবারি হাতে ধারণ করতঃ প্রস্তরাঘাতে সেটার ধারালো তীক্ষ অংশ চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ফেলবে। অতঃপর সে নিরাপদে থাকা সম্ভব হলে নিরাপদে থাকুক। অতঃপর তিনি বললেন: হে আল্লাহ! আমি কি পৌছিয়ে দিয়েছি? হে আল্লাহ! আমি কি পৌছে দিয়েছি? হে আল্লাহ! আমি কি পৌছিয়ে দিয়েছি?” এ সময় জনৈক লোক বলল: হে আল্লাহর রাসূল! যদি চাপ সৃষ্টি করে দু’ সারির কোন একটিতে অথবা দু’ দলের কোন এক দলে আমাকে নিয়ে যাওয়া হয়, আর কোন এক লোক তার তরবারি দিয়ে আমাকে আঘাত করে বা তীর এসে আমার গায়ে লাগে এবং আমাকে সে মেরে ফেলে, তবে আমার অবস্থা কি হবে? উত্তরে তিনি বললেন: “তবে সে তার এবং তোমার পাপের বোঝা বহন করবে এবং চিরস্থায়ী জাহান্নামে পতিত হবে।”
[সহীহ] - [এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।] - [সহীহ মুসলিম - 2887]
উসমান আশ-শাহহাম ও ফারকাদ আস-সাবখী মুসলিম ইবনে আবু বাকরা রাদিয়াল্লাহু আনহুকে জিজ্ঞাসা করলেন: তিনি তাঁর পিতা থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোনো হাদীস শুনেছেন কি না, যা মুসলিমদের মধ্যে সংঘটিত ফিতনা ও যুদ্ধ সম্পর্কে। তিনি বললেন: হ্যাঁ, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে তাঁর মৃত্যুর পর ফিতনা সংঘটিত হবে। এই ফিতনায় অজ্ঞ ও অসচেতন ব্যক্তি, যে এর দিকে ঝুঁকছে না এবং তা খুঁজছে না, সে ফিতনায় জড়িত ব্যক্তির চেয়ে উত্তম। আর ফিতনায় জড়িত ব্যক্তি, যে তাতে ধীর পায়ে হাটছে, সে তার চেয়ে উত্তম সে ব্যক্তি যে এর দিকে দ্রুত ধাবিত হচ্ছে এবং তাতে অংশ নিচ্ছে। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই ব্যক্তিকে পথনির্দেশ দিয়েছেন যার যুগে বা যার কাছে ফিতনা সংঘটিত হয়েছে, যদি সে কোনো আশ্রয়স্থল পায়, তাহলে সে যেন সেখানে আশ্রয় নেয়। যার উট চরছে, সে যেন তার উটের কাছে চলে যায়, যার ছাগল চরছে, সে যেন তার ছাগলের কাছে চলে যায়, আর যার জমি ও খামার আছে, সে যেন তার জমিতে চলে যায়। এক ব্যক্তি বলল: হে আল্লাহর রাসূল, যার উট, ছাগল বা জমি নেই, তার ব্যাপারে আপনার কী মত? তিনি বললেন: সে যেন তার অস্ত্র নেয় এবং তা ভেঙে ফেলে বা নষ্ট করে দেয়, তারপর পালিয়ে যায় এবং যদি সম্ভব হয় তাহলে নিজেকে এবং তার সন্তানদের বাঁচানোর জন্য পালিয়ে যাবে। তারপর তিনি তিনবার সাক্ষ্য দিলেন এবং বললেন: হে আল্লাহ, আমি কি আপনার বার্তা পৌঁছে দিয়েছি? হে আল্লাহ, আমি কি আপনার বার্তা পৌঁছে দিয়েছি? হে আল্লাহ, আমি কি আপনার বার্তা পৌঁছে দিয়েছি? তখন এক ব্যক্তি বললেন: "হে আল্লাহর রাসূল! যদি আমাকে বাধ্য করা হয় দুই পক্ষের যেকোনো এক পক্ষে যোগদান করতে, এবং কোনো ব্যক্তি তরবারি দিয়ে আমাকে আঘাত করে বা কোনো তীর এসে আমাকে হত্যা করে, তাহলে এর হুকুম কী?" তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন: সে তার নিজের গুনাহ এবং যাকে হত্যা করেছে তার গুনাহ বহন করবে, এবং কিয়ামতের দিন সে জাহান্নামের অধিবাসীদের মধ্যে গণ্য হবে।