عن عائشة زوجِ النبي صلى الله عليه وسلم ، أخبرته أنَّ الحَوْلاء بنت تُوَيت بن حبيب بن أسد بن عبد العُزَّى مرَّت بها وعندها رسول الله صلى الله عليه وسلم ، فقلتُ: هذه الحَوْلاء بنت تُوَيت، وزعموا أنها لا تنام الليلَ، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم : «لا تنامُ الليلَ! خذوا مِن العمل ما تُطِيقون، فواللهِ لا يسأمُ اللهُ حتى تسأموا».
[صحيح] - [متفق عليه]
المزيــد ...
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রী আয়েশা তাকে সংবাদ দেন যে, হাওলা বিনতে তুয়াইত ইবন হাবীব ইবন আসাদ ইবন আব্দুল উয্যা তার পাশ দিয়ে অতিক্রম করে যখন তার নিকট রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন। আমি বললাম এ হলো হাওলা বিনতে তুয়াইত। আর তারা ধারণা করত যে, সে রাতে ঘুমায় না। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “সে রাতে ঘুমায় না! তোমরা তোমাদের সক্ষমতা অনুযায়ী আমল করো। আল্লাহর কসম, তিনি ক্লান্ত হন না যতক্ষণ না তোমরা ক্লান্ত হও”।
[সহীহ] - [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
হাওলা বিনতে তুয়াইত আয়েশার পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিল। তখন আয়েশা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললেন, হাওলা বিনতে তুয়াইত সারা রাত সালাত আদায় করে সে রাতে ঘুমায় না। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সারা রাত কিয়ামুল লাইল করাকে অপছন্দ করলেন এবং বললেন, তোমরা তোমাদের সক্ষমতা অনুযায়ী আমল করো। সুতরাং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ মহিলাকে তাকে বেশি আমল করতে না করেন যা তার জন্য কষ্টের কারণ হয় এবং ভবিষ্যতে তা করতে অক্ষম হবে এবং চালিয়ে যেতে পারবে না। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নির্দেশ দেন যে, আমরা যেন এমন আমল করি যা আমরা করতে সক্ষম। “আল্লাহর কসম, তিনি ক্লান্ত হন না যতক্ষণ না তোমরা ক্লান্ত হও।” অর্থাৎ, আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে তোমাদের আমল অনুযায়ী সাওয়াব দেবেন। যতদিন পর্যন্ত তোমরা আমলে লিপ্ত থাকবে আল্লাহ অবশ্যই তার ওপর তোমাদের সাওয়াব দান করবেন। যখন বান্দা আমল করতে করতে ক্লান্ত ও পরিশ্রান্ত হয় এবং আমল করা ছেড়ে দেয় এবং আমল থেকে বিরত থাকে, আল্লাহ তা‘আলা তার এ আমলের সাওয়া বন্ধ করে দেয়। কারণ, বান্দাকে তার আমলের কারণেই বিনিময় দেওয়া হয়ে থাকে। যে ব্যক্তি কোন প্রকার আপরগতা ছাড়া যেমন সফর বা অসুস্থতা ব্যতীত আমল ছেড়ে দেয়, তখন তার সাওয়াব ও বিনিময় বন্ধ হয়ে যায়। ক্লান্ত হওয়ার অর্থের ক্ষেত্রে এ ব্যাখ্যাটিই অধিক গ্রহণযোগ্য যেটি দ্বারা স্পষ্ট হয় যে, আল্লাহ ক্লান্ত হোন। তবে আল্লাহর ক্লান্ত হওয়া আমাদের ক্লান্ত হওয়ার মতো নয়। কারণ আমাদের ক্লান্তি কষ্ট ও অলসতার ক্লান্তি। আর আল্লাহর ক্লান্ত হওয়া এমন একটি গুণ যা তার সাথে খাস এবং তার শানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। বস্তুত আল্লাহ সুবহানাহু তা‘আলার সাথে কষ্ট বা অলসতা সম্পৃক্ত হয় না।