“সর্বোত্তম যিকির হলো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ) আর সর্বোত্তম দু‘আ হলো আলহামদু লিল্লাহ (الْحَمْدُ لِلهِ)।” “আল্লাহর কাছে অধিকতর প্রিয় বাক্য চারটি: سُبْحَانَ اللَّهِ (আল্লাহ নিঙ্কলুষ পবিত্র), وَالْحَمْدُ لِلَّهِ (যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর) وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ (এক আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য মাবূদ নেই) এবং اللَّهُ أَكْبَرُ (আল্লাহ সর্বমহান)। এগুলোর যে কোনটি দিয়ে তুমি শুরু কর, তাতে তোমার কোন ক্ষতি নেই।” “দুটি কালেমা জিহ্বার উপর (উচ্চারণে) খুবই হালকা, মীযানের পাল্লায় অত্যন্ত ভারী, রাহমান (পরম দয়ালু আল্লাহ) এর কাছে খুবই প্রিয় আমার এ কথাগুলো (سُبْحَانَ اللهِ، وَالْحَمْدُ لِلهِ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَاللهُ أَكْبَرُ) অর্থাৎ ‘আল্লাহ সব দোষ থেকে পবিত্র, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর এবং আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য মাবূদ নেই, আল্লাহ সবচেয়ে বড়’ বলা বেশি প্রিয় সে সব কিছু থেকে, যার উপর সূর্য উদিত হয়।” যখন কোনো সম্প্রদায়ের লোক কোনো মজলিসে বসে আর তাতে আল্লাহর যিকির না করে এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর সালাত না পড়ে, কিয়ামতের দিন তা তাদের জন্য হতাশা ও আফসোসের কারণ হবে। স্থায়ী সৎকর্মসমূহ হল, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, সুবাহানাল্লাহ, আল্লাহু আকবর, আল-হামদু লিল্লাহ আর লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ কেউ যখন বলে, (لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ) আল্লাহ ব্যতীত কোনো সত্য ইলাহ নেই আর আল্লাহ মহান। তখন তার রব তার এ কথা সত্যায়ন করে বলেন, (لَا إِلَهَ إِلَّا أَنَا، وَأَنَا أَكْبَرُ) হ্যাঁ, আমি ব্যতীত কোনো সত্য ইলাহ নেই আর আমি মহান।