عنْ ابنِ مَسْعُودٍ رَضيَ اللهُ عنهُ قَالَ:
كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ، فَانْطَلَقَ لِحَاجَتِهِ، فَرَأَيْنَا حُمَّرَةً مَعَهَا فَرْخَانِ، فَأَخَذْنَا فَرْخَيْهَا، فَجَاءَتِ الْحُمَرَةُ فَجَعَلَتْ تَفْرِشُ، فَجَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «مَنْ فَجَعَ هَذِهِ بِوَلَدِهَا؟ رُدُّوا وَلَدَهَا إِلَيْهَا»، وَرَأَى قَرْيَةَ نَمْلٍ قَدْ حَرَّقْنَاهَا، فَقَالَ: «مَنْ حَرَّقَ هَذِهِ؟» قُلْنَا: نَحْنُ. قَالَ: «إِنَّهُ لَا يَنْبَغِي أَنْ يُعَذِّبَ بِالنَّارِ إِلَّا رَبُّ النَّارِ».
[صحيح] - [رواه أبو داود] - [سنن أبي داود: 2675]
المزيــد ...
ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন,
একদা ’আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সফর সঙ্গী ছিলাম। তিনি তাঁর প্রয়োজনে অন্যত্র গেলেন। ’আমরা দু’টি বাচ্চাসহ একটি পাখি দেখতে পেয়ে বাচ্চা দুটোকে ধরে নিলাম। মা পাখিটা সাথে সাথে আসলো এবং পাখা ঝাঁপটিয়ে বাচ্চার জন্য অস্থিরতা প্রকাশ করতে লাগলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফিরে এসে বললেনঃ “কে এর বাচ্চা নিয়ে এসে একে অস্থিরতায় ফেলেছে? বাচ্চাগুলো এদের মায়ের কাছে ফিরিয়ে দাও”। তিনি আমাদের পুড়িয়ে দেয়া একটা পিঁপড়ার টিবি দেখতে পেয়ে বললেনঃ “কে এগুলো পুড়িয়েছে?” ’আমরা বললাম, ’আমরা। তিনি বললেনঃ “আগুনের রব ব্যতীত আগুন দিয়ে কিছুকে শাস্তি দেয়ার কারো অধিকার নেই”।
[সহীহ] - [এটি আবূ দাঊদ বর্ণনা করেছেন।] - [সুনানে আবু দাউদ - 2675]
আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তারা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে এক সফরে ছিলেন, তিনি সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মলত্যাগ করতে বেরিয়ে পড়লেন এবং তার সঙ্গীরা দুটি ছানাসহ একটি লাল পাখি দেখতে পেলেন, তাই তারা তাদের ধরলেন। লাল পাখিটি তার ছানা হারানোর ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে তার ডানা মেলে দিতে শুরু করল এবং ডানা খুলতে শুরু করল। তারপর তিনি সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসে বললেন: তার সন্তানদের কেড়ে নিয়ে কে তাকে দুঃখিত এবং ভীত করেছে?! তারপর তিনি তাকে তা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিলেন। তারপর তিনি একটি পিঁপড়ার গ্রাম দেখতে পেলেন যা আগুনে পুড়া হয়েছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: কে এটা পুড়িয়ে দিয়েছে? তার কিছু সাহাবী বললেন: আমরা। তিনি তাদের বললেন: কাউকে আগুন দিয়ে জীবন্ত যন্ত্রণা দেওয়া স্রষ্টা ছাড়া কারও পক্ষে জায়েয নয়।