عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ:
كُنَّا فِي غَزَاةٍ فَكَسَعَ رَجُلٌ مِنَ المُهَاجِرِينَ رَجُلًا مِنَ الأَنْصَارِ، فَقَالَ الأَنْصَارِيُّ: يَا لَلْأَنْصَارِ، وَقَالَ المُهَاجِرِيُّ: يَا لَلْمُهَاجِرِينَ، فَسَمَّعَهَا اللَّهُ رَسُولَهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَا هَذَا؟» فَقَالُوا: كَسَعَ رَجُلٌ مِنَ المُهَاجِرِينَ رَجُلًا مِنَ الأَنْصَارِ، فَقَالَ الأَنْصَارِيُّ: يَا لَلْأَنْصَارِ، وَقَالَ المُهَاجِرِيُّ: يَا لَلْمُهَاجِرِينَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «دَعُوهَا فَإِنَّهَا مُنْتِنَةٌ» قَالَ جَابِرٌ: وَكَانَتِ الأَنْصَارُ حِينَ قَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَكْثَرَ، ثُمَّ كَثُرَ المُهَاجِرُونَ بَعْدُ، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَيٍّ: أَوَقَدْ فَعَلُوا، وَاللَّهِ لَئِنْ رَجَعْنَا إِلَى المَدِينَةِ لَيُخْرِجَنَّ الأَعَزُّ مِنْهَا الأَذَلَّ، فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: دَعْنِي يَا رَسُولَ اللَّهِ أَضْرِبُ عُنُقَ هَذَا المُنَافِقِ، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «دَعْهُ، لاَ يَتَحَدَّثُ النَّاسُ أَنَّ مُحَمَّدًا يَقْتُلُ أَصْحَابَهُ».
[صحيح] - [متفق عليه] - [صحيح البخاري: 4907]
المزيــد ...
জাবের ইবনু আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন:
তিনি বলেন, এক যুদ্ধে আমরা যোগদান করেছিলাম। জনৈক মুহাজির আনসারদের এক ব্যক্তির নিতম্বে আঘাত করলেন। তখন আনসারী সাহাবী ’’আনসারী ভাইগণ!’’ বলে এবং মুহাজির সাহাবী ’’হে মুহাজির ভাইগণ!’’ বলে ডাক দিলেন। আল্লাহ্ তাঁর রাসূলের কানে এ কথা পৌঁছিয়ে দিলেন। তিনি বললেন, এটা কেমন ডাকাডাকি? উপস্থিত লোকেরা বললেন, জনৈক মুহাজির ব্যক্তি এক আনসারী ব্যক্তির নিতম্বে আঘাত করেছে। আনসারী ব্যক্তি ’’হে আনসারী ভাইগণ!’’ বলে এবং মুহাজির ব্যক্তি ’’হে মুহাজির ভাইগণ!’’ বলে নিজ নিজ গোত্রকে ডাক দিলেন। এ কথা শুনে নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: “এ রকম ডাকাডাকি ত্যাগ কর। এগুলো অত্যন্ত দুর্গন্ধযুক্ত কথা”।
জাবির বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনা্য় হিজরত করে আসেন তখন আনসার সাহাবীগণ ছিলেন সংখ্যায় বেশি। পরে মুহাজিরগণ সংখ্যায় বেশি হয়ে যান। এ সব কথা শুনার পর ’আবদুল্লাহ্ ইবনু উবাই বলল, সত্যিই তারা কি এমন করেছে? আল্লাহর কসম! আমরা মদিনা্য় ফিরলে সেখান হতে প্রবল লোকেরা দুর্বল লোকদেরকে বের করে দিবেই। তখন ইবনু খাত্তাব (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমাকে অনুমতি দিন। আমি এ মুনাফিকের গর্দান উড়িয়ে দেই। নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “উমার! তাকে ছেড়ে দাও, যাতে লোকেরা এমন কথা বলতে না পারে যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাথীদের হত্যা করছেন”।
[সহীহ] - [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।] - [সহীহ বুখারী - 4907]
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যুদ্ধের সফরে ছিলেন, তাঁর সঙ্গে মুহাজির ও আনসার রাদিয়াল্লাহু আনহুম সাহাবাগণ ছিলেন। তখন একজন মুহাজির সাহাবী তাঁর হাত দিয়ে এক আনসার সাহাবীর নিতম্বে আঘাত করলেন। তখন আনসারী বললেন, আমাকে সাহায্য করো, হে আনসারগণ! আর মুহাজির বললেন, আমাকে সাহায্য করো, হে মুগিরগণ! এ কথা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শুনলেন এবং বললেন, এ কী? তারা বলল: একজন মুহাজির সাহাবী তাঁর হাতে এক আনসারী সাহাবীর নিতম্বে আঘাত করেছে, তখন আনসারী বলল, আমাকে সাহায্য করো, হে আনসারগণ! আর মুহাজির বলল, আমাকে সাহায্য করো, হে মুগিরগণ! নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: জাহিলি যুগের এই কুসংস্কার পরিত্যাগ করো, কারণ এটি ঘৃণ্য, অপ্রীতিকর এবং ক্ষতিকর; এটি হলো যখন কেউ পরাজিত হয়, তখন সে তার কওমকে ডাক দেয় এবং তারা তাড়াতাড়ি এসে তার পক্ষে লড়াই করে—এতে সে অত্যাচারী হোক, বা নির্যাতিত, তাদের মূর্খতা ও পক্ষপাতের কারণে। জাবির বলেন: যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনায় মুহাজির হিসেবে আগমন করেন, তখন আনসারগণের সংখ্যা বেশি ছিল; পরে মুহাজিদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। মুনাফিকদের নেতা আবদুল্লাহ ইবন উবাই ইবন সালুল বলল: আবস্থা কি এ পর্যায়ে পৌঁছেছে?! আল্লাহর কসম! যদি আমরা মদীনায় ফিরে যাই, তাহলে সম্মানিতরা — অর্থাৎ আমি ও আমার সহকর্মীরা — লাঞ্ছিতদের মদীনা থেকে বের করে দিবে— অর্থাৎ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তার সাথীদের। উমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন: হে আল্লাহর রাসূল, আমি এই মুনাফিকের গলা কেটে দিব। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: তাকে ছেড়ে দাও, যাতে মানুষ না বলে যে, মুহাম্মদ নিজের অনুসারীদের খুন করে, যদিও সে বাহ্যিক অনুসারী।