عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ رَضيَ اللهُ عنهُما قَالَ:
كُنْتُ عِنْدَ مِنْبَرِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ رَجُلٌ: مَا أُبَالِي أَلَّا أَعْمَلَ عَمَلًا بَعْدَ الإِسْلَامِ إِلَّا أَنْ أُسْقِيَ الحَاجَّ، وَقَالَ آخَرُ: مَا أُبَالِي أَلَّا أَعْمَلَ عَمَلًا بَعْدَ الإِسْلَامِ إِلَّا أَنْ أَعْمُرَ المَسْجِدَ الحَرَامَ، وَقَالَ آخَرُ: الجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللهِ أَفْضَلُ مِمَّا قُلْتُمْ، فَزَجَرَهُمْ عُمَرُ، وَقَالَ: لَا تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ عِنْدَ مِنْبَرِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَوْمُ الجُمُعَةِ، وَلَكِنْ إِذَا صَلَّيْتُ الجُمُعَةَ دَخَلْتُ فَاسْتَفْتَيْتُهُ فِيمَا اخْتَلَفْتُمْ فِيهِ، فَأَنْزَلَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ: {أَجَعَلْتُمْ سِقَايَةَ الْحَاجِّ وَعِمَارَةَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ كَمَنْ آمَنَ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ} [التوبة: 19] الآيَةَ إِلَى آخِرِهَا.
[صحيح] - [رواه مسلم] - [صحيح مسلم: 1879]
المزيــد ...
নু‘মান ইবন বাশির রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন:
একদা আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মিম্বারের নিকটেই ছিলাম। তখন এক ব্যক্তি বলে উঠলো- ইসলাম গ্রহণের পর যদি আমি আর কোন সৎ কাজই না করি তাতে আমার কোন পরওয়া নেই; তবে আমি হাজীদেরকে পানি পান করাব। অপর একজন বলে উঠলো, মুসলিম হওয়ার পর যদি আমি আর কোন সৎ কাজই না করি তাতে আমার কোন পরোয়া নেই, তবে আমি মাসজিদুল হারামের মেরামত প্রভৃতি করে যাব। অপর একজন বলে উঠলো, আল্লাহর পথে জিহাদ করা তোমরা যা যা বলেছে তার চাইতে উত্তম।
তখন উমর তাদেরকে ধমক দিয়ে বলে উঠলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মিম্বারের নিকটে তোমরা চিৎকার করো না। সেটা ছিল জুমুআর দিন। বরং যখন জুমুআর সালাত হয়ে যাবে, তখন আমি তার নিকটে গিয়ে তোমরা যে ব্যাপারে বিতর্ক করছে তা জিজ্ঞেস করে নেবো, তখন আল্লাহ তা’আলা (সে প্রেক্ষিতে) নাযিল করলেনঃ {أَجَعَلْتُمْ سِقَايَةَ الْحَاجِّ وَعِمَارَةَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ كَمَنْ آمَنَ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ} [التوبة: 19] “যারা হাজীদের পানি সরবরাহ করে এবং মসজিদুল হারামের রক্ষণাবেক্ষণ করে তোমরা কি তাদেরকে ওদের সমান করো, যারা আল্লাহ ও পরকালে ঈমান আনে ..." [তাওবাহ:১৯] আয়াতটি শেষ পর্যন্ত।
[সহীহ] - [এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।] - [সহীহ মুসলিম - 1879]
নু‘মান ইবনু বাশীর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা উল্লেখ করেন, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মিম্বরের পাশে বসা ছিলেন, তখন এক ব্যক্তিকে বলতে শুনলেন: আমি মুসলিম হওয়ার পর কোনো আমল না করলেও কিছু আসে যায় না — যদি শুধু হজীদেরকে পানি পান করাতে পারি। আরেকজন বলল: আমি মুসলিম হওয়ার পর যদি কোনো আমল না-ও করি, তবুও কিছু যায় আসে না — যদি কেবল আমি মাসজিদুল হারামকে আবাদ করতে পারি। আরেকজন বলল: তোমরা যা বলেছো তার চেয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করা উত্তম। অতএব উমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু তাদের নবীর মিম্বরের কাছে উচ্চস্বরে কথা বলা থেকে বিরত রাখলেন এবং এটি শুক্রবারের সকালের ঘটনা ছিল। তবে যখন জুম‘আর সালাত আদায় করব, তখন আমি ঢুকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তোমাদের মধ্যকার যে বিষয়ে মতানৈক্য ছিল তা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করব, তখন আল্লাহ তাআলা অবতীর্ণ করলেন:
তোমরা কি হাজীদের পানি পান করান ও মসজিদুল হারাম আবাদ করাকে ঐ ব্যক্তির মত বিবেচনা কর, যে আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান এনেছে এবং আল্লাহর পথে জিহাদ করেছে। তারা আল্লাহর কাছে বরাবর নয়। আর আল্লাহ যালিম কওমকে হিদায়াত দেন না। [আত-তাওবাহ:১৯]