হাদীস: নিশ্চয় আদম সন্তানের অন্তরসমূহ রহমানের আঙ্গুলসমূহ থেকে দুই আঙ্গুলের মাঝে রয়েছে একটি অন্তরের মতো। তাকে তিনি যেদিকে চান সেদিকে ফিরান।
«إِنَّ قُلُوبَ بَنِي آدَمَ كُلَّهَا بَيْنَ إِصْبَعَيْنِ مِنْ أَصَابِعِ الرَّحْمَنِ، كَقَلْبٍ وَاحِدٍ، يُصَرِّفُهُ حَيْثُ يَشَاءُ» ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اللهُمَّ مُصَرِّفَ الْقُلُوبِ صَرِّفْ قُلُوبَنَا عَلَى طَاعَتِكَ».
[صحيح] - [رواه مسلم]
المزيــد ...
আব্দুল্লাহ ইবন আমর ইবন ‘আস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফ‘ হিসেবে বর্ণিত, নিশ্চয় আদম সন্তানের অন্তরসমূহ রহমানের আঙ্গুলসমূহ থেকে দুই আঙ্গুলের মাঝে একটি অন্তরের মতো রয়েছে। তাকে তিনি যেদিকে চান সেদিকে ফিরান। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «اللهم مُصَرِّفَ القلوبِ صَرِّفْ قلوبَنا على طاعتك». "c2">“হে আল্লাহ! হে হৃদয়সমূহকে পরিবর্তনকারী! তুমি আমাদের হৃদয়সমূহকে তোমার আনুগত্যের দিকে ফিরিয়ে দাও।”
সহীহ - এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সংবাদ দিচ্ছেন যে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা তাঁর বান্দাদের অন্তরসমূহ ও অন্যান্য অঙ্গে যেভাবে চান কর্তৃত্ব করেন। তার পক্ষে কিছুই অসম্ভব নয় এবং তিনি যা ইচ্ছা করেন তার ব্যত্যয় ঘটে না। বস্তুত বান্দার অন্তরসমূহ তার আঙ্গুলসমূহের মাঝখানে। বান্দার ওপর আল্লাহ তা‘আলা যা লিপিবদ্ধ করেছেন সেই তাকদীর অনুযায়ী তাকে তিনি যেদিকে চান সেদিকে ফিরান। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দো‘আ করেন। "c2">“হে আল্লাহ! হে হৃদয়সমূহকে পরিবর্তনকারী! তুমি আমাদের হৃদয়সমূহকে তোমার আনুগত্যের দিকে ফিরিয়ে দাও।” অর্থাৎ হে ওই সত্ত্বা, যিনি অন্তরসমূহ পরিবর্তন করেন ও যেদিকে চান ফিরান, আপনি আমাদের অন্তরসমূহকে তোমার বন্দেগীর দিকে ফিরিয়ে দিন এবং তাকে আপনার আনুগত্যের ওপর অবিচল রাখুন। আল্লাহর আঙ্গুলসমূহের ব্যাখ্যা তার শক্তি, কুদরাত ও অন্যকিছু দ্বারা করা বৈধ নয়। বরং আল্লাহর সিফাতগুলোকে কোনো প্রকার বিকৃতি, অর্থহীন, আকৃতি বর্ণনা ও উদাহরণ পেশ করা ছাড়া যেভাবে আছে সেভাবেই সাব্যস্ত করা ওয়াজিব।
শব্দার্থ
শ্রেণিবিন্যাসসমূহ
আরো
- হাদীস: পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, এক জুমু‘আ থেকে আরেক জুমু‘আ এবং এক রামাযান থেকে আরেক রামাযান এর মধ্যবর্তী সময়ের জন্য কাফফারা হয়ে যায়, যদি কবীরা গুনাহ থেকে বিরত থাকা হয়।
- হাদীস: কিছু লোক আল্লাহর মাল অন্যায়ভাবে ব্যয়-বন্টন করবে। সুতরাং তাদের জন্য কিয়ামতের দিন জাহান্নামের আগুন রয়েছে।
- হাদীস: তোমরা মৃতদের গালি দিও না; কারণ, তারা স্বীয় কর্মফল পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।
- হাদীস: কোন মুসলিমের জন্য এটা বৈধ নয় যে, সে তার ভাইয়ের সাথে তিন দিনের বেশি কথাবার্তা বলা বন্ধ রাখে। যখন তারা পরস্পর সাক্ষাৎ করে, তখন এ এদিকে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং ও ওদিকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। আর তাদের দু’জনের মধ্যে উত্তম ব্যক্তি সেই হবে, যে সাক্ষাৎকালে প্রথমে সালাম পেশ করবে।
- হাদীস: আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
- হাদীস: আল্লাহর নিকট সেই লোক সবচেয়ে বেশি ঘৃণিত, যে অতি ঝগড়াটে।
- হাদীস: যে লোক তার কোনো ভাইয়ের মান-সম্মানের ওপর (তার অনুপস্থিতে) আঘাত প্রতিরোধ করবে, কিয়ামত দিবসে আল্লাহ তা‘আলা তার মুখমণ্ডল হতে (জাহান্নামের) আগুন প্রতিরোধ করবেন।