আল্লাহ তা‘আলা রেহেমের (মাতৃগর্ভের জন্যে একজন মালাইকাহ নির্ধারণ করেছেন। তিনি (পর্যায়ক্রমে) বলতে থাকেন, হে রব! এখন বীর্য-আকৃতিতে আছে। হে রব! এখন জমাট রক্তে পরিণত হয়েছে। হে রব! এখন মাংসপিণ্ডে পরিণত হয়েছে। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা যখন তার সৃষ্টি পূর্ণ করতে চান, তখন জিজ্ঞেস করেন, পুরুষ, না স্ত্রী? সৌভাগ্যবান, না দুর্ভাগা? রিযিক ও বয়স কত? আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তার মাতৃগর্ভে থাকতেই তা লিখে দেওয়া হয়।” ফিরিশতাদেরকে আলো থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। জিন্ন জাতিকে সৃষ্টি করা হয়েছে অগ্নিশিখা থেকে। আর আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছে সেই বস্তু থেকে, যা তোমাদেরকে বর্ণনা করা হয়েছে। ‘‘সেই কাফেলার সঙ্গে [রহমতের] ফিরিশতা থাকেন না, যাতে কুকুর কিম্বা ঘুঙুর থাকে।’’ সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি শয়তানের ষড়যন্ত্রকে ওয়াসওয়াসার মাধ্যমে দুর্বল করে দিয়েছেন।” আমাকে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদীস বর্ণনা করেছেন আর তিনি হচ্ছেন সত্যবাদী এবং সত্যবাদী হিসেবে প্রত্যায়িত: “নিশ্চয় তোমাদের যে কোন ব্যক্তি তার মায়ের পেটে চল্লিশ দিন ও চল্লিশ রাত অবস্থান করে এটা এক (প্রকারের) শয়তান— যার নাম ’খিনযিব’। যে সময় তুমি তার উপস্থিতি বুঝতে পারবে তখন (আউয়ুবিল্লাহ পড়ে) তার অনিষ্ট হতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়ে তিনবার তোমার বাম পাশে থুথু ফেলবে কোনো মুসলিম তার ভাইয়ের জন্য তার অবর্তমানে দো‘আ করলে কবুল করা হয়। তার মাথার নিকট একজন ফিরিশতা নিয়োজিত থাকেন, যখনই সে তার ভাইয়ের জন্য নেক দো‘আ করে, তখনই নিয়োজিত ফিরিশতা বলেন, ‘আমীন এবং তোমার জন্যও অনুরূপ। আমি যা দেখছি তোমরা তা দেখছ না, আসমান চিৎকরে উঠছে, আর চিৎকার করাই তার জন্যে ঠিক আছে। তাতে চার আঙ্গুল পরিমাণ জায়গা এমন নেই যেখানে কোনো ফিরিশতা নিজের মাথা আল্লাহর জন্য সাজদার নিমিত্তে অবনত করে নি। ইনি জিবরীল, তোমাকে সালাম পেশ করছেন। নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট জিবরীল এসে বললেন, ‘বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারীদেরকে আপনারা আপনাদের মাঝে কিরূপ গণ্য করেন?’ তিনি বললেন, “সর্বশ্রেষ্ঠ মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত গণ্য করি।” রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন খাবার খেতেন, তখন তার তিন আঙ্গুলই চাটতেন। আপনি যতটা আমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তার চেয়ে বেশী সাক্ষাৎ করতে কিসে আপনাকে বাঁধা দেয়? মনে রাখো, আমার রব আমাকে নির্দেশ দেন যে, আমি যেন তোমাদের শিখাই যা তোমরা জানো না। আজকের এই দিনে তিনি আমাকে যা শিক্ষা দিয়েছেন, তা হচ্ছে: যে সব মাল আমি কোন বান্দাকে দিয়েছি তা হালাল। আমি আমার সব বান্দাদের মুসলিম হিসেবে সৃষ্টি করেছি। শয়তান তাদের কাছে এসে তাদেরকে দীন থেকে বিচ্যুত করেছে এবং আমি তাদের জন্য যা হালাল করি তা সে তাদের জন্য হারাম করে দেয় এবং সে তাদের নির্দেশ দেয় যাতে তারা আমার সাথে শির্ক করে যার ওপর কোন দলীল প্রেরণ করা হয়নি। কোনো ব্যক্তির জামা‘আতের সাথে সলাতের সওয়াব, তার নিজের ঘরে ও বাজারে আদায়কৃত সালাতের সওয়াবের চেয়ে পঁচিশ গুণ বাড়িয়ে দেয়া হয়।