أَنَّ حَمْزَةَ بْنَ عَمْرٍو الأَسْلَمِيَّ رضي الله عنه قَالَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَأَصُومُ فِي السَّفَرِ؟ -وَكَانَ كَثِيرَ الصِّيَامِ-، فَقَالَ: «إِنْ شِئْتَ فَصُمْ، وَإِنْ شِئْتَ فَأَفْطِرْ».
[صحيح] - [متفق عليه] - [صحيح البخاري: 1943]
المزيــد ...
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, হামযা ইবন ‘আমর আল-আসলামী রাদিয়াল্লাহু আনহু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললেন, আমি কি সফর অবস্থায় সাওম পালন করব? তিনি অধিক সাওম পালনকারী লোক ছিলেন। তখন রাসূল বললেন, “যদি তোমার ইচ্ছা হয় তবে সাওম রাখ, আর যদি তোমার ইচ্ছা হয় তবে সাওম ভঙ্গ কর।”
[সহীহ] - [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা সংবাদ দেন যে, হামযা ইবন আমর আল-আসলামী রাদিয়াল্লাহু আনহু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলেন যে, সে কি সফরে সাওম পালন করবে? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে সফরে সাওম রাখা ও না রাখার অবকাশ দিলেন। তিনি বললেন, যদি তোমার ইচ্ছা হয় সাওম রাখো, আর যদি তোমার ইচ্ছা হয় সাওম ভঙ্গ করো। হাদীসে উল্লিখিত সাওম দ্বারা ফরয সাওমকে বুঝোনো হয়েছে। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (অন্য হাদীসে) বলেছিলেন, “এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ ছাড়।” আর সে ফরয সিয়াম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিল তার প্রমাণ হচ্ছে আবূ দাঊদের বর্ণনা। সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার একটি বাহন আছে, আমি এটিকে আমার কাজে ব্যবহার করি, এর উপর সফর করি এবং তা ভাড়া দিই। কখনো এই মাস চলে আসে অর্থাৎ রমাদান মাস। আমি শরীরে শক্তি অনুভব করি, আল-হাদীস। এ থেকে স্পষ্ট হয় যে, সফরে সাওম পালন না করার ব্যাপারে আল্লাহর পক্ষ থেকে ছাড় রয়েছে। সুতরাং যে ছাড় গ্রহণ করল সে সঠিক কাজটিই করল। আবার যে সফরে সাওম পালন করল সেটাও তার জন্যে জায়েয। আর তার সাওমের দ্বারা ফরয আদায় হয়ে যাবে। তাইসীরুল ‘আল্লাম, পৃ. ৩২৫; তাম্বীহুল আফহাম (৩/৪২৯); তা’সীসুল আহকাম (৩/২৩৭)