عن أسماء بنت أبي بكر رضي الله عنها قالت: قام رسول الله صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ الفتنةَ التي يُفتن بها المرء في قبره، فلما ذكر ذلك ضَجَّ المسلمون ضَجَّةً حالت بيني وبين أن أفهم كلامَ رسول الله صلى الله عليه وسلم ، فلما سَكَنَت ضَجَّتُهم قلتُ لرجل قريب مني: أيْ -بارك الله لك- ماذا قال رسول الله صلى الله عليه وسلم في آخر قوله؟ قال: «قد أُوحِيَ إليَّ أنكم تُفتَنون في القبور قريبًا من فتنة الدَّجَّال».
[صحيح] - [رواه البخاري مختصرا والنسائي]
المزيــد ...
আসমা বিনত আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা-বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একবার) দাঁড়িয়ে খুৎবাহ দিচ্ছিলেন তাতে তিনি ক্ববরে মানুষ যে কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হবে, তার বর্ণনা দিলেন। যথন তিনি তা আলোচনা করতেছেন মুসলমানগণ ভয়ার্ত হয়ে এত বেশি চিৎকার করতে লাগলেন, তা আমার মাঝে এবং রাসূলের কথা বুঝার মাঝে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করল। তাদের চিৎকার থামছিল না। আমি আমার পাশের এক লোককে জিজ্ঞাসা করলাম, আল্লাহ তোমাকে বরকতময় করুক। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাহ তার কথার শেষাংশে কি বলেছেন? সে বলল, তিনি বলেছেন, আমার কাছে ওহী প্রেরণ করা হয়েছে যে, “দাজ্জালের ফিতনার মতো কাছাকাছি ফিতনা দ্বারা তোমাদের কবরে পরীক্ষা করা হবে।”
[সহীহ] - [এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন। - এটি নাসাঈ বর্ণনা করেছেন।]
আসমা বিনত আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা-বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক দিন দাঁড়িয়ে মানুষের মধ্যে খুৎবাহ দিচ্ছিলেন তাতে তিনি তাদের ওয়ায করছিলেন এবং আখিরাতের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছিলেন। এমনকি তিনি কবর ও কবরের অবস্থা তুলে ধরেন এবং কবরের ফিতনা সম্পর্কে আলোচনা করেন। এখানে কবরের ফিতনা দ্বারা উদ্দেশ্য মুনকার ও নকীর দুই ফিরিশতার রব, দীন ও নবী সম্পর্কে প্রশ্ন করা। একে ফিতনা বলে নামকরণ করা হয়, কারণ এটি একটি মহা ফিতনা যা দ্বারা একজন বান্দার ঈমান ও বিশ্বাস সম্পর্কে পরীক্ষা নেওয়া হবে। যাকে এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার তাওফীক দেওয়া হবে সে কামিয়াব। আর যে ফেল করবে সে ধ্বংস হবে। যখন তিনি তা আলোচনা করলেন মুসলিমগণ কবরের ফিতনা থেকে ভয়ার্ত হয়ে খুব বেশি চিৎকার করতে লাগলেন। তাদের এ চিৎকার আসমা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে রাসূলের কথা বুঝাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করল। তারপর যখন চিৎকার থামল, আসমা রাদিয়াল্লাহু আনহা তার পাশের এক লোককে জিজ্ঞাসা করলেন, আল্লাহ তোমাকে বরকতময় করুক। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাহ তার কথার শেষাংশে কি বলেছেন? সে বলল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা তার কাছে ওহী প্রেরণ করেছেন যে, “মানুষকে দাজ্জালের ফিতনার মতো কাছাকাছি ফিতনা দ্বারা কবরে পরীক্ষা করা হবে। কারণ, দাজ্জালের ফিতনা খুব মারাত্মক ও কঠিন। অনুরূপভাবে কবরের ফিতনা।