এক মুসলিমের ওপর অপর মুসলিমের পাঁচটি অধিকার: সালামের জবাব দেওয়া, রুগীকে দেখতে যাওয়া, জানাযার সঙ্গে যাওয়া, দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচী দাতার জবাব দেওয়া। আর নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে রোগীকেই সাক্ষাৎ করতে যেতেন, তাকে বলতেন, অর্থাৎ, কোন ক্ষতি নেই, (গোনাহ থেকে) পবিত্র হবে, ইনশাআল্লাহ। যে ব্যক্তি কোন রোগীকে দেখতে যায় অথবা তার কোন ভাইকে আল্লাহর ওয়াস্তে দেখতে যায়, সে ব্যক্তিকে এক (গায়বী) আহবানকারী আহবান ক’রে বলে, ‘সুখী হও তুমি, সুখকর হোক তোমার যাত্রা আর জান্নাতে তোমার একটি প্রাসাদ হোক। হে আল্লাহ, মানবমণ্ডলীর রব্ব। সমস্যা দূর করে দিন, আরোগ্য প্রদান করুন। আপনিই তো একমাত্র আরোগ্য প্রদানকারী। যখন কোনো মুসলিম তার মুসলিম ভাইয়ের রোগে দেখা-শুশ্রুষা করে তখন সে প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত জান্নাতের ফলমূলে অবস্থান করতে থাকে। কোনো মুসলিম যদি অপর কোনো মুসলিম রোগীকে সকাল বেলায় দেখতে যায় তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য সত্তর হাজার ফিরিশতা দো‘আ করতে থাকেন। “হে আল্লাহ! আপনি সা‘দকে আরোগ্য দান করুন, হে আল্লাহ!আপনি সা‘দকে আরোগ্য দান করুন” হে আল্লাহ! আপনি মানুষের রব, ব্যাধি নিবারণকারী, সুস্থতা দান করুন, আপনিই সুস্থতা দানকারী। আপনি ব্যতীত আর কোনো সুস্থতা দানকারী নেই। এমন সুস্থতা (চাই) যা আর কোনো রোগ অবশিষ্ট রাখে না।