হাদীস: যাদুকর ছাড়া কেউ যাদু খণ্ডন করতে পারে না।
ورُوي عن الحسن أنه قال: "لا يحل السحر إلا ساحر".
[حسن] - [رواه بنحوه ابن أبي شيبة والخطابي]
المزيــد ...
হাসান থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যাদুকর ছাড়া কেউ যাদু খণ্ডন করতে পারে না।
হাসান - এটি ইবন আবী শাইবাহ বর্ণনা করেছেন।
‘নুশরা’ হলো যাদু ভাঙ্গা। হাসান এর কথার বাহ্যিক অর্থ নুশরাহ নিষিদ্ধ প্রমাণ করে। কারণ, যাদুর চিকিৎসা কেবল সে ব্যক্তি করতে পারে যার কাছে যাদু বিদ্যার জ্ঞান রয়েছে। ফলে এটিই যাদুকে সমপর্যায়ের যাদু দ্বারা ভাঙ্গার নামান্তর। আর তা অবশ্যই শয়তানের কর্ম। ইবনুল কাইয়্যেম রহ. বিষয়টি বিশদভাবে আলোচনা করেছেন, যার সারসংক্ষেপ হলো, যাদুর চিকিৎসা কোনো বৈধ ঔষধ ও কুরআনের তিলাওয়াতের দ্বারা করা বৈধ। আর যাদুর চিকিৎসা যাদু দ্বারা করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
শ্রেণিবিন্যাসসমূহ
আরো
- হাদীস: একদা আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খিদমতে ছিলাম। এমন সময় একজন লোক আমাদের কাছে এসে হাযির হলেন। তাঁর পরিধানের কাপড় ছিল সা’দা ধবধবে, মাথার কেশ ছিল কাল কুচকুচে। তাঁর মধ্যে সফরের কোনো চিহ্ন ছিল না। আমরা কেউ তাঁকে চিনি না।
- হাদীস: হে আমার বান্দারা! আমি অত্যাচারকে আমার নিজের ওপর হারাম করেছি এবং তোমাদের মাঝেও তা হারাম করেছি। সুতরাং তোমরাও একে অপরের প্রতি অত্যাচার করো না। হে আমার বান্দারা! তোমরা সকলেই পথভ্রষ্ট; কিন্তু সে নয় যাকে আমি সঠিক পথ দেখিয়েছি। অতএব, তোমরা আমার নিকট সঠিক পথ চাও আমি তোমাদেরকে সঠিক পথ দেখাব।
- হাদীস: নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা অত্যাচারীকে অবকাশ দেন। অতঃপর যখন তিনি তাকে পাকড়াও করেন, তখন তাকে ছাড়েন না।
- হাদীস: সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়, যে কু-লক্ষণে বিশ্বাস করে বা তার জন্যে কু-লক্ষণ গ্রহণ করা হয় অথবা যে গণনা করে বা তার জন্য গণনা করা হয় অথবা যে যাদু করে বা তার জন্য করা হয়, আর যে ব্যক্তি কোনো যাদুকরের নিকট আসল এবং সে যা বলল, তা বিশ্বাস করল, সে যেন মুহাম্মদের ওপর অবতীর্ণ কুরআনকে অস্বীকার করল।
- হাদীস: যে ব্যক্তি কোনো গণকের কাছে আসলো তারপর তাকে কোনো কিছু জিজ্ঞাসা করল এবং তাকে বিশ্বাস করল। তার চল্লিশ দিনের সালাত কবুল করা হবে না।
- হাদীস: যে ব্যক্তি জ্যোতিষ বিদ্যার কিছু শিক্ষা করলো, সে যেন যাদু বিদ্যার একটা শাখা আয়ত্ত করলো। এখন তা যত বাড়ায় বাড়াক।
- হাদীস: ফরজসমূহের উপর যথেষ্ট করা।