শ্রেণিবিন্যাস:
+ -


____

[] - []
المزيــد ...

আবূ আব্দুর রহমান আব্দুল্লাহ ইবনু ’উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি:
«بُنِيَ الإِسْلاَمُ عَلَى خَمْسٍ: شَهَادَةِ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، وَإِقَامِ الصَّلاَةِ، وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ، وَالحَجِّ، وَصَوْمِ رَمَضَانَ» “ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি। -এ কথার সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ছাড়া সত্য কোনো মাবূদ নেই এবং নিশ্চয় মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল। সালাত কায়েম করা, যাকাত দেয়া, হজ করা এবং রমযানের সাওম পালন করা।”

[সহীহ] - [رواه البخاري ومسلم] - [الأربعون النووية - 3]

ব্যাখ্যা

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসলামকে সুদৃঢ় পাঁচটি ভিত্তির উপর তুলনা করেছেন, যা উক্ত ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে। ইসলামের অন্যান্য বিধানগুলো যেন উক্ত ভিত্তির পরিপূরক ও পূর্ণতাদানকারী। এসব রুকনের প্রথমটি হলো: দুটি সাক্ষ্য: আল্লাহ ছাড়া সত্য কোনো মাবূদ নেই এবং নিশ্চয় মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল -এ কথার সাক্ষ্য দান করা। এ দুটি কালিমার সাক্ষ্য দেওয়া মূলত একটি রুকন। একাংশ আরেক অংশ থেকে আলাদা হয় না। আল্লাহর তাওহীদের-একত্বের স্বীকৃতি ও তিনি একমাত্র ইবাদতের উপযুক্ত ।এ স্বীকৃতি সহকারে বান্দাহ এ কালিমা তার মুখে উচ্চারণ করবে, এর দাবি অনুযায়ী আমল করবে এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওয়াতের উপর ঈমান আনায়ন ও তাঁর আনুসরণ করবে । দ্বিতীয় রুকন: সালাত কায়েম করা। আর তা হলো দিনে রাতে পাঁচ ওয়াক্ত ফরয সালাত তার শর্তাবলি, রুকন ও ওয়াজিবসমূহ সহকারে আদায় করা। সেগুলো হলো: ফজর, যোহর, আসর, মাগরিব ও ইশা। তৃতীয় রুকন: ফরয যাকাত দেয়া। এটি মূলত ধন-সম্পদের উপর ফরযকৃতএকটি ইবাদত।শরী‘আহ নির্দিষ্ট নিসাব পরিমাণ সম্পদ কারো কাছে থাকলে,যাকাত পাওয়ার হকদারদেরকে প্রদান করা ফরয করেছে। চতুর্থ রুকন: হজ করা। তা হলো আল্লাহর ইবাদতের উদ্দেশ্যে হজের কার্যাবলি পালনের জন্যে মক্কায় গমন করা। পঞ্চম রুকন: রমযানের সাওম পালন করা। আর তা হলো ইবাদতের নিয়তে রমযান মাসে ফজরের শুরু থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাদ্য, পানীয় ও অন্যান্য সাওম ভঙ্গকারী বিষয়সমূহ থেকে বিরত থাকা।

হাদীসের শিক্ষা

  1. দু’টি কালিমার সাক্ষ্য একত্রে দেওয়া আবশ্যক। সুতরাং একটি বাদে অপরটি বিশুদ্ধ হবে না। এ কারণে দু’টি কালিমার সাক্ষ্যকে একটি রুকন হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
  2. দু’টি কালিমার সাক্ষ্য দ্বীনের মূল। সুতরাং কারো কোন কথা ও আমল এ দু’টি কালিমার সাক্ষ্য দেওয়া ব্যতীত গ্রহণ করা হবে না।
অনুবাদ: ইংরেজি উর্দু স্পানিস ইন্দোনেশিয়ান উইঘুর ফরাসি তার্কিশ রুশিয়ান বসনিয়ান সিংহলী ইন্ডিয়ান চাইনিজ ফার্সি ভিয়েতনামী তাগালোগ কুর্দি হাউসা পর্তুগীজ মালয়ালাম তেলেগু সুওয়াহিলি তামিল বার্মিজ থাই জার্মানি জাপানিজ পশতু অসমীয়া আলবেনি সুইডিশ আমহারিক ডাচ গুজরাটি কিরগিজ নেপালি ইউরুবা লিথুনীয় দারি সার্বিয়ান সোমালি তাজিক কিনিয়ারওয়ান্ডা রোমানিয়ান হাঙ্গেরিয়ান চেক الموري মালাগাসি ফুলানি ইতালীয় অরমো কন্নড় الولوف البلغارية আজারী اليونانية الأكانية উজবেক ইউক্রেনীয় الجورجية اللينجالا المقدونية الخميرية الماراثية
অনুবাদ প্রদর্শন
শ্রেণিবিন্যাসসমূহ
আরো