كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا عَصَفَتِ الرِّيحُ، قَالَ: «اللهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا، وَخَيْرَ مَا فِيهَا، وَخَيْرَ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا، وَشَرِّ مَا فِيهَا، وَشَرِّ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ»، قَالَتْ: وَإِذَا تَخَيَّلَتِ السَّمَاءُ، تَغَيَّرَ لَوْنُهُ، وَخَرَجَ وَدَخَلَ، وَأَقْبَلَ وَأَدْبَرَ، فَإِذَا مَطَرَتْ، سُرِّيَ عَنْهُ، فَعَرَفْتُ ذَلِكَ فِي وَجْهِهِ، قَالَتْ عَائِشَةُ: فَسَأَلْتُهُ، فَقَالَ: «لَعَلَّهُ، يَا عَائِشَةُ كَمَا قَالَ قَوْمُ عَادٍ: {فَلَمَّا رَأَوْهُ عَارِضًا مُسْتَقْبِلَ أَوْدِيَتِهِمْ قَالُوا هَذَا عَارِضٌ مُمْطِرُنَا} [الأحقاف: 24]».
[صحيح] - [رواه مسلم] - [صحيح مسلم: 899]
المزيــد ...
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে দিন ঝড়ো হাওয়া প্রবাহিত হতো সে দিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন, হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে এ মেঘের কল্যাণ কামনা করছি এবং এর মধ্যে যে সব কল্যাণ রয়েছে এবং যে কল্যাণ নিয়ে তা প্রেরিত হয়েছে তাও এবং আমি আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি এর ক্ষতি থেকে, এর মাঝে যে ক্ষতি রয়েছে তা থেকে এবং যে মন্দের জন্য একে পাঠানো হয়েছে তা থেকেও।
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিয়ম ছিলো যখন ঝড়ো হাওয়া প্রবাহিত হতো তখন তিনি বলতেন, “হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে এ বাতাসের কল্যাণ এবং এর মধ্যে যে সব কল্যাণ রয়েছে তা কামনা করছি। আল্লাহর সৃষ্ট বাতাস দু’ধরনের। প্রথম প্রকার: স্বাভাবিক বাতাস যাতে কোনো ভয়ভীতি নেই। এ বাতাসের জন্য কোনো সুন্নাত যিকির নেই। দ্বিতীয় প্রকার: ঝড়ো হাওয়া, এতে রয়েছে ভয়ভীতি। কেননা আল্লাহ ‘আদ জাতিকে এ ধরনের ঝড়ো হাওয়ার দ্বারা শাস্তি দিয়েছিলেন। (আমরা আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি) সুতরাং যখন ঝড়ো হাওয়া প্রবাহিত হবে তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ অনুযায়ী নিম্নোক্ত দো‘আ পড়ুন: (اللَّهُمَّ إنِّي أسْأَلُك خَيرها وخير ما فيها وخَير ما أُرسِلت به، وأعوذ بك من شرِّها وشرِّ ما فيها وشرِّ ما أُرسِلت به) “হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে এ বাতাসের কল্যাণ কামনা করছি, এর মধ্যে যে সব কল্যাণ রয়েছে এবং যে কল্যাণের উদ্দেশ্যে প্রেরিত হয়েছে তাও এবং আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি এর ক্ষতি ও ধ্বংস থেকে এবং যে মন্দের জন্য একে পাঠানো হয়েছে তা থেকে।” অর্থাৎ এ বাতাসের কল্যাণ কামনা করছি এবং এর মধ্যে যে সব কল্যাণ রয়েছে যা সে বয়ে নিয়ে আসে। (وخير ما أُرسِلَت به) এবং যে কল্যাণের উদ্দেশ্যে প্রেরিত হয়েছে সে কল্যাণও কামনা করছি। কেননা বাতাস কখনো কখনো কল্যাণের উদ্দেশ্যে আবার কখনো অকল্যাণের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করা হয়। সুতরাং আল্লাহর কাছে যে কল্যাণের উদ্দেশ্যে বাতাস প্রেরিত হয়েছে তা কামনা করুন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী (وأعوذ بك من شرِّها وشرِّ ما فيها وشرِّ ما أُرسِلت به) এবং আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি এর ক্ষতি ও ধ্বংস থেকে এবং যে মন্দের জন্য একে পাঠানো হয়েছে তা থেকে। অর্থাৎ ঝড়ো হাওয়ার অকল্যাণ ও তা যে সব অকল্যাণ বয়ে নিয়ে আসে তা থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করুন। কেননা তা কখনো কোনো জাতির জন্য আযাব হিসেবে প্রেরণ করা হয়। সুতরাং তার অকল্যাণ থেকে আশ্রয় চাও। আর মানুষ যখন বাতাসের অকল্যাণ ও তা যে সব অকল্যাণ বয়ে নিয়ে আসে তা থেকে আশ্রয় চায় তাহলে আল্লাহ সে সব অকল্যাণ থেকে দূরে রাখার ব্যাপারে তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যান এবং তিনি এর কল্যাণ দ্বারা তাকে উপকৃত করেন। দেখুন, মিরকাতুল মাফাতীহ, (৩/১১১৫); মির‘আতুল মাফাতীহ, (৫/১৯৭); শরহে রিয়াদুস সালিহীন, ইবন উসাইমীন (৬/৪৭১-৪৭২)।