হাদীস: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিগার নামক বিবাহ পদ্ধতি থেকে নিষেধ করেছেন।
عن عبد الله بن عمر رضي الله عنهما : «أن رسول الله صلى الله عليه وسلم نهى عن الشِّغَارِ».
[صحيح] - [متفق عليه]
المزيــد ...
আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে মারফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিগার নামক বিবাহ থেকেনিষেধ করেছেন।
[সহীহ] - [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
বিবাহের ক্ষেত্রে মূল হচ্ছে নারী তার দেহের যে ত্যাগ স্বীকার করবে তার বিনিময়ে মোহর ব্যতীত বন্ধন পূর্ণ হবে না। এ জন্যই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জাহেলি বিবাহ থেকে নিষেধ করেছেন, যার দ্বারা অলীগণ তাদের অধীনে থাকা নারীদের ওপর যুলুম করেন। কারণ, তারা নারীদের স্বার্থ মোহর ব্যতীত তাদের বিয়ে দিত, আর নারীরা শুধু তাদের প্রবৃত্তি ও ইচ্ছা পূরণে নিজেদের দেহের ত্যাগ স্বীকার করত। তাই তারা নারীদের এই শর্তে বিয়ে দিত যে, সেও তাকে তার অধীনে থাকা নারীকে তার নিকট বিয়ে দিবে। এটা নিরেট যুলুম ও আল্লাহর বিধানের বাইরে তাদের লজ্জাস্থানের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা, আর যেটা এরূপ অবশ্যই সেটা হারাম।
শ্রেণিবিন্যাসসমূহ
আরো
- হাদীস: অভিভাবক ছাড়া বিবাহ নয়।
- হাদীস: কোন ঈমানদার পুরুষ কোন ঈমানদার নারী (স্ত্রীকে) ঘৃণা করবে না, যদি সে তার একটি আচরণে অসন্তুষ্ট হয়, তবে অন্য আচরণে সন্তুষ্ট হবে।
- হাদীস: বিবাহিত মহিলাকে তার নির্দেশ ছাড়া বিবাহ দেওয়া যাবে না। আর কুমারী নারীকে তার অনুমতি ছাড়া বিবাহ দেওয়া যাবে না। তার বলল, হে আল্লাহর রাসূল! তার অনুমতি কীভাবে গ্রহণ করা হবে? তিন বললেন, তার চুপ থাকা।
- হাদীস: “তোমরা স্ত্রীদের জন্য মঙ্গলকামী হও। কারণ নারীকে পাঁজরের (বাঁকা) হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর পাঁজরের হাড়ের সবচেয়ে বেশী বাঁকা হল তার উপরের অংশ। যদি তুমি এটাকে সোজা করতে চাও, তাহলে ভেঙ্গে ফেলবে। আর যদি তাকে ছেড়ে দাও তাহলে তো বাঁকাই থাকবে। তাই তোমরা নারীদের জন্য মঙ্গলকামী হও।”
- হাদীস: তোমাদের কেউ কেউ তার স্ত্রীকে দাসদের মত প্রহার করে। অতঃপর সম্ভবতঃ দিনের শেষে তার সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হবে।
- হাদীস: উসমান ইবন মাযউনের জন্য বৈরাগ্যকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি যদি তাকে অনুমতি দিতেন, আমরা অবশ্যই খাসি হয়ে যেতাম।
- হাদীস: নিশ্চয় যামানা (কাল) নিজের ঐ অবস্থায় ফিরে এল যেদিন আল্লাহ তা‘আলা আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন। (অর্থাৎ দুনিয়া সৃষ্টি করার সময় যেরূপ বছর ও মাসগুলো ছিল, এখন পুনর্বার সে পুরাতন অবস্থায় ফিরে এল এবং আরবের মুশরিকরা যে নিজেদের মন মত মাসগুলোকে আগে-পিছে করেছিল তা এখন থেকে শেষ করে দেওয়া হল।) বছরে বারটি মাস; তার মধ্যে চারটি হারাম (সম্মানীয়) মাস।