«إِنَّ أَوَّلَ مَا خَلَقَ اللَّهُ الْقَلَمَ، فَقَالَ لَهُ: اكْتُبْ قَالَ: رَبِّ وَمَاذَا أَكْتُبُ؟ قَالَ: اكْتُبْ مَقَادِيرَ كُلِّ شَيْءٍ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ» يَا بُنَيَّ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ مَاتَ عَلَى غَيْرِ هَذَا فَلَيْسَ مِنِّي».
[صحيح] - [رواه أبو داود والترمذي وأحمد] - [سنن أبي داود: 4700]
المزيــد ...
উবাদাহ ইবন সামিত রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হে বৎস, তুমি কখনো ঈমানের স্বাদ পাবে না, যতক্ষণ না তুমি বিশ্বাস করবে যে, যা তোমাকে স্পর্শ করেছে সেটি কখনো তোমাকে এড়িয়ে যেত না, আর যেটি তোমাকে এড়িয়ে গেছে সেটি তোমাকে কখনো স্পর্শ করত না। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, “প্রথম যেটি আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন, সেটি হচ্ছে কলম। অতঃপর তাকে বলেন, লেখ! সে বলল, হে রব, কী লিখব? তিনি বললেন, কিয়ামত পর্যন্ত প্রত্যেক বস্তুর তাকদীর লিখ।” হে বৎস, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, এই বিশ্বাস ভিন্ন যে ব্যক্তি অন্য কিছুর ওপর মারা যাবে, সে আমার অন্তর্ভুক্ত নয়।” অপর বর্ণনায় এসেছে, “আল্লাহ প্রথমই সৃষ্টি করেছেন, কলমকে, অতঃপর তাকে বলেন, লেখ, তখনই সে কিয়ামত পর্যন্ত যা ঘটবে লিখে ফেলেছে।” ইবন ওয়াহ্হাবের বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি ভালো-মন্দ তাকদীরের প্রতি ঈমান আনবে না, আল্লাহ তাকে আগুন দিয়ে পোড়াবেন।”
উবাদাহ ইবন সাবিত তার ছেলে অলীদকে ভালো-মন্দ তাকদীরের প্রতি ঈমানের অসিয়ত করছেন এবং তাকদীরের প্রতি ঈমান থাকলে দুনিয়া ও আখিরাতে যে ভালো ফল ও উত্তম প্রাপ্তি রয়েছে তার বর্ণনা দিচ্ছেন। আরো বর্ণনা দিচ্ছেন, তাকদীর অস্বীকার করলে দুনিয়া ও আখিরাতে যে অনিষ্ট ও ক্ষতি রয়েছে তার। তিনি যা বলছেন, তার দলীল দিচ্ছেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাত দ্বারা, যা প্রমাণ করছে যে, এই সৃষ্ট জগতের পূর্বেই আল্লাহ তাকদীর নির্ধারণ করেছেন এবং সেটি কলমকে লেখার আদেশ দিয়েছেন। অতএব, কিয়ামত পর্যন্ত আল্লাহর নির্ধারিত তাকদীর ব্যতীত কিছুই সংঘটিত হবে না।